এমনই ঘটনা ঘটেছে সউদি আরবের ধর্ষিত নারীর ক্ষেত্রে। দেড় বছর আগে পূর্ব অঞ্চলীয় কাতিফ শহরে ১৯ বছরের এক সংখ্যালঘু শিয়া নারী ১৪ বার গণধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষিতা সেই নারী কোর্টে মামলা করলে সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। কোর্ট ধর্ষণকারীদের এক থেকে পাচ বছর মেয়াদে জেল দেয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে কোর্টে উত্থাপনের অপরাধে ধর্ষিতাকে ৯০টি বেত্রাঘাতের রায় দেয়া হয়।
কোর্ট আরো বলেছে, ধর্ষিতা যখন ধর্ষণকারীদের খপ্পরে পড়ে তখন সে বেগানা পুরুষ অর্থাত পরপুরুষের সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিল। যা সউদি আরবের আইনে ধর্তব্য অপরাধের মধ্যে পড়ে।
ধর্ষিতার আইনজীবী আবদেল রহমান আল লাহেম ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আপিল করলে কোর্ট ধর্ষিতার সাজা দ্বিগুণ করে ২০০টি বেত্রাঘাত ও ছয় মাসের জেল দেয়। বিচারক রায়ে বলেছেন, মিডিয়ার সামনে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করে কোর্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালানোয় এ সাজা দেয়া হলো। ধর্ষিতার মামলা পরিচালনার অপরাধে কোর্ট তার আইনজীবী লাহেমের লাইসেন্সও বাতিল ঘোষণা করে এবং তাকে ডিসিপ্লিনারি সেশনের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয়।
আইনজীবী লাহেম বলেন, আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে দেয়া রায় সম্পূর্ণরূপে ইসলামী শরিয়া ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী। তিনি বলেন, যেখানে শুধু ধর্ষণকারীদের সাজা দেয়ার কথা সেখানে কোর্ট ধর্ষিতাকে সাজা দিয়ে সউদি আরবের প্রচলিত আইনও লঙ্ঘন করেছে।
লাহেম বলেন, এমন একটি ঘৃণ্য অপরাধের বিচার না পেয়ে আমি হতাশ। আমি উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। তিনি তার লাইসেন্স বাতিলের রায়কেও অবৈধ বলে দাবি করেন।
সূত্র- যায়যায়দিন
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




