নাগেশ্বরীর বনে কালবোশেখি উড়ছে , নির্ভুল গোলাপের মতো টগবগ ফুটছে গাঢ় লিকার, সরসর বাতাসের মাতম, জানালায় সশরীরে আসে শিহরণ, ফুটছে দুধের পাত্র, উপচে পড়ছে সর- আইবুড়ো বেলীফুলের মতো রঙ, শয্যায় বর্বর আরাম এনে দেয় নকশি কাঁথা, একফোটা উত্তাপ একগুচ্ছ লজ্জাবতী পাখির সমান। গোলাপটি নির্ভুল, বেলিফুলটি নির্দোষ। তাই উপাখ্যানটি সুরভিত ছিলো। অথচ গল্পটি জন্ম দিচ্ছে একটি প্রতিহিংসার ফুল। প্রতিহিংসার ফুলটি খোঁপায় ফোটাচ্ছে নিকষ অন্ধকার ঘন সৌরভ। এই অন্ধকার আলো ফোটাচ্ছে; উত্তাপে ঘন হচ্ছে তাই কোথাও প্রেম কোথাও ভাঙন।
এক গ্লাস আঁধারে, একটুকরো হাসি, একচামচ ভাঙন, নদী, মেঘ, বৃষ্টি, একগুচ্ছ কদম, একটি সুরভিত সত্য ও তারো চেয়ে কটকটে সুগন্ধি মিথ্যের মিশ্রণ ভালোবেসে সাড়ে তিনহাজার বছর নাড়ালে টগবগ ফুটতে ফুটতে উপচে পড়ে একটি নারী! নারী নয় নারীর মতো অবয়ব। অবয়বটি উপচে পড়ছে নাগেশ্বর বনে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




