বৃহস্পতিবার রাজধানীতে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক এক আলোচনা সভায় মরিয়ার্টি একথা বলেন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের মতো স্বল্প উন্নত দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্র"তি যুক্তরাষ্ট্র ভঙ্গ করেছে বলে কয়েকজন আলোচকের সমালোচনার জবাবে মরিয়ার্টি বলেন, "বাংলাদেশী রপ্তানিকারকরা চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। তাদের প্রতিযোগিতা মাদাগাস্কারের সঙ্গে নয়।"
১৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক না থাকলে ক্ষুদ্র রপ্তানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো এবং এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ টিকে থাকতে পারবে আশা ব্যক্ত করে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মরিয়ার্টি বলেন, "আপনারা তা করে দেখিয়েছেন।"
মরিয়ার্টি বলেন, বাংলাদেশী রপ্তানিকারকরা নয় মার্কিন ভোক্তারা এ ১৫ শতাংশ শুল্ক দিচ্ছে। এটা প্রত্যাহার করা হলে বাংলাদেশ তেমন সুবিধা পাবে না।
অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের দাবি কোনো সুবিধা চাওয়া নয়।
স্বল্প উন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশকে উন্নত দেশগুলোর মতো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের জন্য ১৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক দিতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এম এ তাসলিম বলেন, ডব্লিউটিও'র নিয়ম অনুযায়ী স্বল্প উন্নত দেশ হিশেবে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্র"তি ভঙ্গকারী একমাত্র পশ্চিমা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। অন্যান্য সব পশ্চিমা দেশ এ শর্ত পূরণ করলেও যুক্তরাষ্ট্র তা করেনি।
আলোচনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির ও জায়েদ ই সাত্তার।
বাণিজ্য মন্ত্রী ফারুক খান প্রধান অতিথি ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিশেষ অতিথি হিশেবে আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



