somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ আনন্দ ধরে রাখা যায় না। সত্যি এ এক অনন্য অসাধারণ জয়। ( শুধু ক্রিকেট পাগলদের জন্য। )

০৩ রা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এখন উৎসবের নগরী মুম্বাই, উৎসবের দেশ ভারত। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন শচিন টেন্ডুল কারের দল ভারত। অনেক স্বপ্ন দেখেছি , অনেক অনেক বছর অপেক্ষায় ছিলাম এই দিনটির জন্য। অবশেষে সত্যিই সেই স্বপ্নের দিনটির দেখা পাইলাম। আমি আজ আনন্দিত, গর্বিত এবং উল্লাসিত যে আমার প্রিয় ক্রিকেট দল স্বপ্নের নায়ক শচিন টেন্ডুল কারের দল ভারত আজ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উহু ভাবতে কেমন যেন লাগছে। সত্যিই এ এক অনন্য অসাধারন অনুভুতি। অনেক অনেক অপেক্ষার অবসান হল আজ।


প্রিয় দলের বিশ্বকাপ জয় এ রকম ভাগ্য কয় জনের ভাগ্যেই বা জুটে। যুগের পর যুগ অপেক্ষা করেও যা অনেকেই পায় না। তা আজ আমার হাতের মুঠোয় আমি এখন বলতি পারি আমার প্রিয় দল ভারত এখন বিশ্ব চ্যম্পিয়ন। ভারতের সাফল্য ব্যার্থতা নিয়ে বন্ধুদের মাঝে কত তর্ক বিতর্কই না হয়েছে। তখন শুধু ভাবতাম ইস ভারত যে কবে বিশ্বকাপ জিতবে। সেই মহেন্দ্রক্ষন টি এখন আমার।


এখানে প্রশ্ন জাগতে পারে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাতে আমার এত আনন্দ কেন?
কারন আমি ভারতীয় ক্রিকেট দলকে সাপোর্ট করি সেই ছোট সময় থেকেই এবং একদিন ভারত চ্যাম্পিয়ন হবে এটা আমার স্বপ্ন ছিল, দীর্ঘ অপেক্ষার পার আজ তার অবসান হল।
বলে রাখা প্রয়োজন। অনেকেই বলে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করা যবে না। কারন তারা ৭১ এ বাংলাদেশের লাখ লাখ নারী পুরুষ হত্যা করেছে।
ভারতকে সাপোর্ট করা যাবে না কারন তারা সিমান্তে মানুষ খুন করেছে।
শ্রীলংকে সাপোর্ট করা যাবে না কারন তারা ৭১ এ পাকিস্তানকে অর্থের বিনিময়ে তাদের নৌ ও বিমান ঘাটি ব্যবহার করতে দিয়েছে সুতরাং এসব দলকে সাপোর্ট করা ঠিক কি বে ঠিক সেটা অনেক তর্কের ব্যাপার।
আমি বলি কি খেলা কে শুধু খেলাকেই সিমাবদ্ধ রাখেন।


আমি শুধু ক্রিয়েটিয় দৃষ্টিকোন থেকেই ভারতকে সাপোর্ট করি। সেই ছোট সময় থেকেই শচিনের চোখ জুরানো স্কায়ার কাট, শক্তিশালি কাভার ড্রাইভ, দুর্দান্ত ফ্লিক বিশুদ্ধ ব্যাটিং এবং একের পর এক সেঞ্চুরী দেখতে দেখতেই আমি মুলত ভারতের অন্য ব্যাটসম্যানদের প্রেমে পড়ে যাই এভাবেই আমার ভারতের সাপোর্টার হয়ে ওঠা।


যে কোন ম্যচেই ভারতের হার আমাকে ব্যাথিত করে। যারা পাকিস্তান বা অন্য কোন দলের সাপোর্টার তারই হয়ত বুঝতে পাড়বেন প্রিয় দল হারলে কতটা খারাপ লাগে এবং জিতলে কতটা ভাল ফুরফুরে লাগে। যাহোক আজকে আমার খুব আনন্দ লগছে। স্বপ্নের মত লাগছে সত্যিই ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন?? ঘোর কাটতেই চায় না।



এই বিশ্বকাপটা ভারতের জন্য যতটা জরুরী ছিল অন্য দলের জন্য ততটা না। কারন নিজেদের মাঠে খেলা্, সবচেয়ে বড় জরুরী ছিল শচিন টেন্ডুলকারের জন্য এই বিশ্বকাপটি জেতা। তা না হলে যে মহানায়কের উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ না জেতার এক ফোটা কালিমা লেগে থাকতো। এটিই শচীনের শেষ বিশ্বকাপ। ২১ বছররের দীর্ঘ ক্যারিয়রে ব্যাটিংয়ের যাবতীয় রেকর্ড যার দখলে আগামি ৫০০ বছরেও এরকম একজন ব্যাটসম্যান জন্ম নেব কি না সন্দেহ। এরকম একজন সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যানের বিশ্বকাপ জয়ের সাক্ষী হতে পারবে না তা হতে পারে না। তাই ভারতের খেলোয়ারেরা চোয়াল বদ্ধ প্রতিজ্ঞা করেছিল যে অনন্ত শচিনের জন্য হলেও বিশ্বকাপ জিততে হবে এবং তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পরেছে। বিশ্বকাপটা মুলত শচিনকেই উৎসর্গ করা হয়েছে। আজ আমি খুশি এই ভেবে যে আমার স্বপ্নের নায়ক শচিন টেন্ডুলকারের জীবনে আর কোন অপুর্ণতাই রইল না। আর মাত্র একটি সেঞ্চুরি করলেই হয়ে যাবে শত তম সেঞ্চুরীর অলংঙ্ঘনীয় রেকর্ড । রেকর্ড তৈরী হয় ভাঙ্গার জন্যেই কিন্তু শচিনের এই রেকর্ড শত শত বছর ধরে টিকে থাকবে। আমি গর্বিত যে এরকম এক মহা নায়কের খেলা দেখতে পেরে শচিন মানেই হচ্ছে বিশুদ্ধ ব্যাটিংয়ের এক অপরুপ কারিশমা।


আজকে যদি সে শততম সেঞ্চুরি পেয়ে যেত তাহলে আজকের ম্যাচটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট ওয়ানডে ম্যাচের স্বীকৃতী পেত।

আমি শ্রীলংকাদের টার্গেট দিয়েছিলাম ২৬০ রান যা হোক তারা ১৪ রান বেশি করেছিল। কিন্তু ভারতীয় বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপের কাছে এটা কোন ব্যাপারই হবে না ভাবছিলাম। কিন্তু শেওয়াগ যখন ০ রানে আউট হল তখন কছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছিলাম। ১৮ রান করে যখন শচিন আউট হল!!!! ওহ সে কথা আর বলে লাভ নেই যারা ক্রিকেট পাগল তারাই হয়ত বুঝতে পারবেন তখন আমার অবস্থা কি হয়েছল। সত্যি কথা বলতে কি ভরতের জয়ের কথা যতটা না চিন্তা করেছি তার চেয়ে বেশী চিন্তা করেছি বিশ্বকাপ ফাইনালে শচিনের শততম সেঞ্চুরি হউক। যা হোক এখন ভালই হয়েছে সেঞ্চুরি পরেও করা যাবে সময় তো আর শেষ হয়ে যায় নি।


যা হোক ভারত কাপ জিতে তরা আবারও প্রমান করল যে বিশ্বের সেরা ব্যাটিং কেবল ভরতীয় দলেই মানায় এটা তাদের ঐতিহ্য । তা না হলে কিভবে অল্প রানের মধেই দুই মহা তারকার বিদ্বায়ের পর ম্যাচ জিতে। ভরত জিতবে এ বিশ্বাস তাদের সেরা ব্যাটিং লাইন আপের প্রতি আমার সবসময়ই ছিল। কিন্তু এত সহজে ম্যাচ জিতবে তা কল্পনাও করি নি। ধনী গাম্ভির কে অনেক ধন্যবাদ। প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠার জন্য।
তবে ম্যান অব দা ম্যাচ দুনো জন কে দিলে ভাল হত।
ধনীর উইনিং শর্ট। আহ্ কি মজা । যাকে বলে ধোনির হেলিকাপ্টার শর্ট।



ওহ মুরালীর জন্য খারাপ লাগতেছে। বোলিংয়ে আরেক লিজেন্ড মুরালিধরনের আজেকে শেষ ম্যাচ। কিন্তু ব্যেচারা আজকে একটি উইকেটও পেল না!!!!! আর ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের ছায়ায় সে ঢাকা পড়ে গেল। মুরালি মন খারাপ করে না তুমি একবার বিশ্বাকাপ জয়ের স্বাদ পাইছ। :):)

আশাকরি ভারত আগামি ১০ বছর ক্রিকেট বিশ্বকে শাসন করবে। তবে আমাদের বাংলাদেশের কাছে হারবে। আমারও আসিতেছি ওয়েট করতে থাকো বাচাধনেরা।

আর হ্যা যাবেন না কিন্তু আপনাদের সকলের জন্য কিছু মিষ্টান্নোর ব্যাবস্থা করয় হয়েছে। প্রিয় দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বলে কথা।



একাই আবার সব খাইয়েন না। নিজেও খান এবং অন্যদেরও খেতে দিন।



ভাই: অনেক বানান ভুল আছে পরে ঠিক করমুনে এখন ঘুমে ধরছে। কষ্ট করে পড়ে নিবেন। গুড বাই .... টা টা

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:৫৬
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×