somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনেক আগের একটি প্রেম বিষয়ক ঘটনা

০৪ ঠা মে, ২০১০ দুপুর ২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ অনেক ওল্ড একটি সত্য ঘটনার কথা আপনাদের বলব। পত্রিকায় অনেকে হয়ত পড়ে থাকবেন। সেই যে ভারতের বিখ্যাত ব্যবসায়ীর মেয়ে নোরা; লাখো যুবকের আরাধ্য সুন্দরী। মনে পড়ছে? না পড়লে অবশ্য ক্ষতি নেই তেমন একটা। আমি তো জানাচ্ছিই সবাইকে। তার আগে একটি প্রার্থনা:

Dear God,

Give us some sense of humour
Give grace to see a Joke
Give us time to pass it
To another Folk..............

আসা যাক আসল কাহিনীতে।

অনেক পাণিপ্রার্থীর অজস্র ফুল, চিঠি, এসএমএস, এমএমএস, ইমেইলকে ইগনর করে প্রেমের দেবতাদের অসন্তোষের শিকার মেয়েটির জীবনে একদিন প্রেম এলো। একেবারে ভাংচুর প্রেম যাকে বলে। পাত্রটি কে শুনবেন না? তার বাবার বাগানের মালী!

সেই "রাজকুমারী- চাষার ছেলে"- টাইপ প্রেম। দু'জন দুজনার প্রেমে হাবুডুবু। ডুবে মরার জন্যও প্রস্তুত। এই না হলে প্রেম!

বেশী সময় লাগল না বাপের কানে যেতে। মেনে নিতে পারলেন না তিনি স্বভাবতই। ভদ্রলোক আসলেই ভদ্রলোক, তবু লোকে কি বলবে? একমাত্র মেয়ের আবদারে মন গলল না তার।

মেয়েও জেদী। বিয়ে যদি করতেই হয়, এই ছেলেকেই করব।

অবশেষে তারা পালিয়ে গেল।

তারপর শুরু হল খোঁজ আর খোঁজ। কোথাও পাওয়া গেল না তাদের।

একমাস কেটে গেল। মন নরম হল বিত্তবান বাবার।জানালেন তিনি মেনে নেবেন ওদের। সব পত্রপত্রিকা আর রেডিও-টিভিতে খবর চলে গেল। এক সপ্তাহ পার হবার আগেই ফিরে এল নোরা বাড়িতে। সংগে ভাগ্যবান প্রেমিক।

ভদ্রলোক তার কথা রাখলে। মেয়ের বিয়ের আয়োজন করলেন শুভলগ্ন দেখে।

কিন্তু সুখ সইল না কপালে। বিয়ের আসরে হামলা চালাল মুখোশধারী একদল লোক। বর-কণে পাশাপাশি বেস ছিল, ছেলেটাকেই গুলি করল ওরা। প্রেমিকার বুকে লুটিয়ে পড়ল সে। রক্তে ভিজে গেল নোরার বিয়ের শ্বেত-শুভ্র ড্রেসটা।

মেয়েটা বিলাপ করল না। কাঁদলো না একফোঁটা। শক্ত হয়ে রইল।

ঘুমের ইনজেকশন দেয়া হল তাকে। ঘুমালোও সে।

কিন্তু জেগে উঠলো এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে। দেখল, ধবধবে সাদা কাপড় পরে এক বুড়ি এসেছে তার ঘরে। "তোমার কাপড়ে রক্ত কেন?" বিচিত্র কন্ঠের বুড়ি বলল, "রক্ত ধুয়ে ফেল। নইলে ভয়ংকর অভিশাপ নেমে আসবে।"

মাকে জানালো মেয়েটা স্বপ্নের ঘটনাটা। বাবাকেও। তারা পাত্তা দিলেন না খুব একটা। মনে মনে খুশি তারা উটকো ঝামেলা থেকে বেঁচে গিয়ে।

পরের রাতে মা বাবা দুজনেই বুড়িকে দেখলেন স্বপ্নে। রেগে আছে বুড়ি। বলছে রক্ত পরিষ্কার করার জন্য। ভয়ংকর অভিশাপের কথাও মনে করিয়ে দিল আর একবার।

এইবার পাত্তা না দিয়ে পারা গেল না। ভাল করে ধোয়া হল বিয়ের পোষাক।

সে রাতে আবার বুড়িকে দেখা গেল, স্বপ্নে অবশ্যই। " এখনও রক্ত! শেষবার সাবধান করছি। ভয়ংকর অভিশাপ নেমে আসবে! ভয়ংকর অভিশাপ!"

ভয়ংকর অভিশাপের ভয়ে এবার সবাই মিলে চেষ্টা করল কাপড় থেকে রক্ত পরিষ্কার করার। সে রাতে বুড়ি আর এলো না স্বপ্ন। পরদিন সকালে চলে এল সশরীরে!

বুড়ির হাতে একটা ঝোলা।

" তোমরা অনেক চেষ্টা করেছ। তাই অভিশাপ থেকে তোমাদের বাঁচানোর জন্য আমি নিজেই চলে এলাম। কিন্তু রক্ত তো যায়নি এখনও।"

ঝোলার ভিতর হাত গলিয়ে একটা প্যাকেট বের করল বুড়ি। দিল মেয়ের মায়ের হাতে। " অভিশাপ থেকে রক্ষা পেতে চাইলে এটা ব্যবহার কর।"
বুড়ি চলে গেল। হাতে নিরমা ওয়াশিং পাউডারের প্যাকেটেটা নিয়ে মহিলা আপনাদের মত হা করে তাকিয়ে রইল ।

(Repost)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১০ বিকাল ৪:৪৭
২২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাস বিজয় উৎসব শুরু করেছে, ইসরায়েল বলছে, "না"

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮



গতকাল অবধি হামাস যুদ্ধবিরতী মেনে নেয়নি; আজ সকালে রাফাতে কয়েকটা বোমা পড়েছে ও মানুষ উত্তর পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। আজকে , জেরুসালেম সময় সন্ধ্যা ৮:০০টার দিকে হামাস ঘোষণা করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×