
মাইক্রোসফ্ট এর নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮, ২০১২ সালে বাজারে আসবে বলে আশা করা যায়। নতুন অপারেটিং সিস্টেম কে বলা হচ্ছে উইন্ডোজ-৯৫ এর পর থেকে সবচেয়ে বড় উইন্ডেজ অপারেটিং সিস্টেম, যখন ডেস্কটপ পিসি অনেক বেশি প্রাধান্য বিস্তারকারী এবং অধিকাংশ ল্যাপটপ এর মূল্য ৳ ৩০০০ ডলার এর কাছাকাছি।

উইন্ডোজ ৮: মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ ৮ এর জন্য নতুন টাচ ইন্টারফেইস যুক্ত করেছে। নতুন এ এস (অপারেটিং সিস্টেম) এ. আর এম এবং ইন্টেল প্রসেসর দুটোর সাহায্যেই চলবে। এছাড়া উইন্ডোজ ৮ এর ও এস এক্স-স্টাইল, ম্যাক এ্যাপ্লিক্যাশন স্টোর, এবং মাইক্রোসফ্ট এর অনলাইন সেবা যেমন স্কই ড্রাইভ, অফিস-৩৬৫ আরও আধুনিক ভার্সন থাকবে বলে আশা করা যায়। অন্যান্য অগ্রগতির মধ্যে রয়েছে ইউ.এস.বি-৩ সমর্থন, এক্সপ্লোরার এর ওভার হোলড, ভার্সন এবং উইন্ডোজ ফাইল ম্যানেজম্যান্ট টুল। উইন্ডোজ
৮ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
উইন্ডোজ ৮ এর সংস্পর্শে থাকুনঃ মাইক্রাসফ্ট উইন্ডোজ ৮ এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাটকীয় পরিবর্তন হলো উইন্ডোজ ফোন-৭ এর ইন্সফায়ারড টাচ ইন্টারফেইস এর ক্ষেত্রে। উইন্ডোজ ৮ এর নতুন স্টার্ট স্ক্রীন বড় প্যানেল যুক্ত যেটা টাচস্ক্রীন এর জন্য আদর্শ বলা যেতে পারে কিন্তু এটা মাউস এর সাহায্যেও চালানো যাবে।
মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ ৮ এর স্টার্ট স্ক্রীনঃ ট্রাডিশনাল উইন্ডোজ ইন্টারফেইস এর স্টার্ট বাটন, টাস্ক বার এবং ডেস্কটপ এখনও থাকবে এবং আপনি যখনই লেগাসি এ্যাপ্লিক্যাশন যেমন, মাইক্রোসফ্ট এক্সেল ২০১০ লোড করবেন তখনই তা স্ক্রীনে ভেসে উঠবে। এছাড়া ট্রাডিশনাল উইন্ডোজ এ্যাপ্লিক্যাশন এর পাশাপাশি আপনি উইন্ডোজ ৮ এর স্পর্শযোগ্য এ্যাপ্লিক্যাশন ব্যাবহার করতে পারবেন।
এ.আর.এম এবং ইন্টেলঃ উইন্ডোজ ৮ এর টাচ সেনট্রিক ইন্টারফেইস কম্পিউটার অনুরাগীদের মধ্যে ট্রাডিশনাল মাউস এবং কী বোর্ড দিতে পারে, তবে এটার ইউজার ইন্টারফেইস (ইউ.আই) ট্যাবলেট জগতে মাইক্রোসফ্টকে প্রতিদ্বন্দিতা করতে সাহায্য করবে। মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম এমনভাবে পরিকল্পনা করেছে যাতে এটা শুধু ইন্টেল এর এক্স ৮৬ চিপ এর সাথে নয় বরং এ. আর. এম প্রসেসর এর সাহায্যে ও কাজ করতে পারে।
এ.আর. এম প্রসেসরঃ যাহোক সবচেয়ে বড় কথা ভোক্তারা এ.আর.এম বেইজড উইন্ডোজ ডিভাইস কে সুযোগ দিতে ইচ্ছুক কিনা। অ্যাপল এর আই-প্যাড ওয়ান প্যানেল টাচ ট্যাবলেট এর জন্য নতুন প্রজেন্মের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। সমালোচক ও যন্ত্র প্রস্তুতকারক একমত যে ভোক্তারা চলমান মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যেমন আই.ও.এস অ্যান্ড্রয়েড এবংব্লাবারী প্লে-বুক এর কিউ-এন-এক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম খুঁজছে। ২০১২ সালেই বুঝা যাবে মাইক্রোসফ্ট তার নতুন টাচ ওভারলে দিয়ে ট্যাবলেট জগতে সফল হতে পারবে কিনা।
এ্যাপ্লিক্যাশন স্টোরঃ আপনি এমন একটা সম্পূর্ণ উইন্ডোজ ৮ এর এ্যাপ্লেক্যাশন স্টোর আশা করতে পারবেন যাতে এক ক্লিকেই আপনার ডিভাইস এর জন্য নতুন সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করতে পারেন। আগস্টের প্রথম দিকে, মাইক্রোসফ্ট তার বিল্ডিং উইন্ডোজ-৮ ব্লগ প্রকাশ করে যাতে নতুন অপারেটিং সিস্টেম এর জন্য কর্মরত বিভিন্ন প্রকৌশলী সংঘ সর্ম্পকে বিস্তারিত বলা আছে। এছাড়া এ্যাপ্লিক্যাশন স্টোর' দল সম্পর্কে একটি তালিকাও আছে। এটা স্পষ্ট নয় যে কি ধরনের এ্যাপ্লিক্যাশন স্টোর দল কাজ করছে তবে এটি ম্যাক এ্যাপ্লিক্যাশন স্টোর এর মত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি যেটা ম্যাক পিসি এর চলমান অপারেটিং সিস্টেম এক্স ১০.৬ স্রো লেপার্ড) এবং ১০.৭ (লায়ন) এ পাওয়া যায়।
এ্যাপ্লিক্যাশন প্রিভিউঃ এ্যাপ্লিক্যাশন এর কথা বলতে গেলে, মাইক্রোসফ্ট এর অংশীদারেরা উইন্ডোজ ৮ এর জন্য একটি স্পর্শ-ভিত্তিক এ্যাপ্লিক্যাশন এর নকশা প্রনয়নে কাজ করে যাচ্ছে। উইন্ডোজ ৮ এর একটি নকল রূপ এমন একটা এ্যাপ্লিক্যাশন দেখায় যেটা থেকে অনুমেয় যে এই এ্যাপ্লিক্যাশন এর সাহায্যে উড্ডয়নকালে সংবাদ, আবহাওয়া ও ভিডিও দেখার মাধ্যমে বিনোদনের সুযোগ করে দিবে। ইউ.এস.বি -৩ সমর্থনঃ ইউ.এস.বি-৩ বর্তমান ইউ এস ২ এর চাইতে দশ গুন বেশি গতিতে তথ্য স্থানান্তরের সুযোগ করে দিবে, এছাড়া ইউ.এস.বি-৩ তুলনামূলকভাবে কর্ম শক্তি খরচ করবে।
উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার ফাইল ম্যানেজমেন্ট বেসিকঃ নতুন উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার এর ফাইল ম্যানেজম্যান্ট বেসিক যেমন কপি, মোভ, রিনেইম এবং ডিলিট ফাংশন এ অগ্রগতি থাকবে যার ৫০ শতাংশই উইন্ডোজ ৭ এর রীতি অনুযায়ী করা। নতুন ইন্টারফেইস এ সকল বেসিক ফাইল ম্যানেজম্যান্ট ফাংশন একাধিক উইন্ডোজের বদলে একটি উইন্ডোতে থাকবে। এটির সাহায্যে কয়েকটি বড় ফাইল যেমন ছবি ও ভিডিও আরও সহজ ও কার্যকরভাবে মুভ করানো যাবে। এছাড়া কপি অথবা মুভ করানোর সময় ইতোমধ্যে কত বাইট পর্যন্ত গেছে তা গ্রাফসহকারে দেখা যাবে। এছাড়া মাইক্রোসফ্ট তার ফাইলনেইম কলিশন ডায়ালগ এ অগ্রগতি সাধন করেছে।
এক্সফ্লোরিং রিবনস্ঃ উইন্ডোজ ৮ এর এক্সপ্লোরার সংকলন এ মাইক্রোসফ্ট এর রিবন ইন্টারফেইস ও যুক্ত করা হয়েছে যাতে ফাইল ম্যানেজম্যান্ট টুল আরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ কার্যকর হয় এতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশের বিবরণ সংক্রান্ত তথ্য থাকবে এবং এটি পূনরায় উইন্ডোজ এক্স পি এর জনপ্রিয় ফিচারগুলো পরিচয় করিয়ে দিবে। মাইক্রাসফ্ট প্রশস্ত পর্দায় প্রদর্শনের জন্য এক্সপ্লোরারকে যতটুকু সম্ভব সম্পূর্ণতা দানের চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া পাওয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ২০০টি কী বোর্ড শটকাট যুক্ত করা হয়েছে। নতুন উইন্ডোজ ৮ এর এক্সপ্লোরার এর ফাইল মেনুর নিচে লম্বালম্বিভাবে তিনটি প্রধান ট্যাব থাকবে যেমন-হোম, শেয়ার এবং ভিউ। উইন্ডোজ ৮ এর এক্সপ্লোরার এর প্রাথমিক হোম ট্যাব-এর ৮৪ শতাংশ নির্দেশই থাকবে যা ব্যাবহারকারীরা সাধারণত ব্যবহার করেন। এছাড়া মাইক্রোসফ্ট "কপি পাথ" নামক নির্দেশের যতটুকু সম্ভব উন্নয়নের চেষ্টা করা হয়েছে যাতে একটি ফাইল এ দ্রুত প্রবেশের জন্য ফাইল পাথ অন্য এক্সপ্লোরারে পেষ্ট করা যায়। শেয়ার ট্যাবে এক ক্লিকের মাধ্যমেই 'ই-মেইল' এ প্রবেশ করা যাবে এবং 'জি' নির্দেশ দেওয়া যাবে। এছাড়া এতে অন্যান্য অপশন যেমন 'বার্ন টু ডিস্ক' একটি প্রিন্ট অফশনও থাকবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



