ভ্রুর তিন ভাঁজ পেখম মেলে
উদাসীন পাখির মতো।
একা একা পার হয়ে যেতো কতো সময়?
কত চাওয়া পাওয়ার অবসান ঘটেছে
আমার স্বার্থের এই নগরে,
সাঁতার না জানা মাঝির মতো
কত নদীতে ডিঙি বেয়েছি?
কাদাঁখোচা পাখি যেমন কাদাঁয় দাগ করে যায় ,তেমন বহু দাগ আমার শরীরেও আছে,
নির্ধাধায় সব এই তো মেনে নিয়েছি।
সব সহ্য করার অভ্যাস ছিলো,
লৌহের মতো শক্ত হয়েই ছিলাম,
সব কিছু আজম্ন কাল ধরে তো
একই ভাবে মাথা পেতে নিয়েছি।
সমস্ত যন্ত্রনা মাথা পেতে নিয়েছি,
পুরো পৃথিবীর যাবতীয় গ্লানি দুঃখ,বেদনা,
সুতোয় বেধেঁ ঘুড়ির মতো উড়িয়েছি,
মেনে নিয়েছি হাসিমুখে।
শুধু তোমার না থাকাকে মেনে নিতে পারি নি,
তোমার না থাকাই ভেঙে দিয়েছে অধিক,
তোমার শুন্যতা জুড়েই বিনষ্ট
নগরে প্রথম সাইনবোর্ড ।
তোমার গল্প জুড়েই হতাশা,
তোমার নাম জুড়ে এক পৃথিবী কান্না,
আর নীরব আত্নচিৎকার।
যেনো মাকড়সার জাল মুখে জড়িয়ে গেছে,
শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে জলে ডুবে।
একা হয়ে গেছি কবরস্থানে
রেখে আসা লাশের মতো।
এতোটা একা হয়নি আগে,
যতটা তুমি করে দিয়েছো।
এক পৃথিবী ভর্তি যন্ত্রনা এতো
কাদাঁয় নি যতটা তুমি কাদিঁয়েছো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১