ভিক্ষা চাইনা মা, কুত্তা সামলান !!!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
গত প্রায় ৫ সপ্তাহ যাবত দেশে চলতেছে ধুন্ধুমার কাণ্ড,কমপক্ষে ২৩০-৩০০ মানুষ প্রান হারিয়েছে নানাভাবে এই সময়ে মুলত রাজনৈতিক সহিংসতায়।তাদের মধ্যে অধিকাংশই রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়, সমর্থক অথবা সাধারন মানুষ।অধিকাংশই নিহত হয়েছেন পুলিশের গুলিতে এবং ৭ জন পুলিশও নিহত হয়েছেন সহিংসতায়।পুড়েছে ট্রেন,বাস, বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়,মানুষের বসতবাড়ি- এমনকি পুলিশ লাইনও।তাই একে ধুন্ধুমার কাণ্ড ছাড়া অন্যকিছু বলা যাচ্ছেনা। আমি পুরোপুরি অরাজনৈতিক এক ব্যাক্তি (বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডায় আর ইদানিং ফেসবুকের স্ট্যাটাস-কমেন্টস এ কিছু লেখা ছাড়া ),তবে আমার দাদা,বাবা,চাচা এবং বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত
তাই একহিসেবে আমি রাজনৈতিক সুবিধাভোগী ব্যাক্তি হিসেবেও কারো কারো কাছে বিবেচ্য হতে পারি
।কিন্তু সত্যিকার ভাবেই আমি আসলেই রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ্য ওরফে আমজনতা। তো আমজনতা হয়েও বুদ্ধিজীবীর মতো ভাব নিয়ে আমি ৫ সপ্তাহ আগে একটা গবেষণার পরিকল্পনা নিলাম ও সেই অনুযায়ী আচরন ও পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলাম।শাহবাগের আন্দোলনের সাথে কিছুদিন স্রোতে গা ভাসিয়ে চললাম, কিছুদিন শাহবাগের বিপরীতমুখী স্রোতে তাল মেলালাম, কিছুদিন আমজনতার কাতারে থাকলাম, বাকিটা সময় বুদ্ধিজীবী ভাব নিয়ে থাকলাম। আমার হিসেবে শাহবাগের আন্দোলনে গা ভাসানো খুবই সহজ কাজ ছিল প্রথম ২/৩ সপ্তাহ - হাজার হোক নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা তকমাটা খুব অল্প পরিশ্রমেই লাগান গেছে।রাজিব হায়দার( নাস্তিক ব্লগার থাবা বাবা) খুন হবার পর অবশ্য ব্যাপারটা আর এতোটা সহজ থাকলনা।নানা বিতর্ক শুরুও হল এই আন্দোলন নিয়ে।আস্তিক-নাস্তিক বিতর্ক যার প্রধানতম। ২-৩ সপ্তাহ পর ২টি দিকে যাওয়া সহজ হল অনেকটাই - একটা হল চুপচাপ আমজনতার কাতারে আবার ভিড়ে যাওয়া ,আরেকটা হল শাহবাগের বিরোধীদলের পক্ষ নেওয়া। তবে গত ২ সপ্তাহ হল সবচাইতে কঠিন সময় ।আমি নিজে বাসাবন্দি ছিলাম হরতালের কারনে আর সংবাদপত্র এবং ইন্টারনেট , টিভি চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে বুঝার চেষ্টা করেছি দেশের অবস্থা। আমজনতার বক্তব্য আমি পরিস্কার বুঝতে পেরেছি আর কারোটা না পারলেও ( কারন বক্তব্যটা আমার নিজেরও ) - ১৯৭১ সালে যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে তাদের বিচার আমরা চাই অবশ্যই কিন্তু তার আগে চাই শান্তি, নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা ।রাজনীতির খেলায় যার মন চায় জিতুক, ক্ষমতায় যার মন চায় সে যাক,যে নেতা হইতে চায় - হউক, আমরা সাধারন জনগণ বাঁচতে চাই, দু-মুঠো খেয়ে পড়ে বাঁচতে চাই। রাস্তার পাশে হাঁটতে গিয়ে হটাৎ ছুটে আসা গুলিতে মরতে চাইনা,হরতাল সমর্থকদের লাগিয়ে দেয়া আগুনে পুড়ে মরতে চাইনা, অহেতুক পুলিশের নির্মমতার শিকার হতে চাইনা, চাইনা দুর্বৃত্তদের হাতে জবাই হতে! আরেকটু সোজা বাংলায় বলি? - " ভিক্ষা চাইনা মা, কুত্তা সামলান !!! " ।
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।