জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমার অনুপ্রেরণা সেই ছোটবেলা থেকে। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধার কোন সীমা নেই ।তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবন প্রতিটি তরুন রাজনিতিকের আদর্শ হওয়া উচিত অবশ্যই। এমনকি যারা বিএনপি করে তাদেরও।কিউবা,চিন,ভেনেজুয়েলা,ইরান এইসব দেশের অর্থনৈতিক,সামরিক আর সামাজিক ও রাষ্ট্রনৈতিক দিক নিয়ে আমরা প্রায়ই নানা ভালো ভালো কথা বলে থাকি।একবারও কি চিন্তা করি তাদের শাসনব্যাবস্থা কিরূপ? মানবাধিকার পরিস্থিতি? কিন্তু তারা কিন্তু মাথা উচু করে পৃথিবীর বুকে দাড়িয়ে আছে। তাঁবেদার রাষ্ট্র হিসেবে কেউ তাদের আঙ্গুল তুলতে পারবেনা। এর কারন তাদের শাসকদের জাতীয়তাবোধ- যার ফলশ্রুতিতে জনগনের মাঝেও জাগ্রত হয়েছে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ । এতসব কথা অবতারনা করার কারন- অনেকেই বাকশালের কথা শুনতেই আঁতকে উঠেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কেন এমনটা চিন্তা করেছিলেন? নিজের কাছে প্রশ্ন করেছেন কখনও? তাঁর আঙ্গুলিহেলনে বাংলাদেশ তখন চলত, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য তাঁর এমন কিছু করার দরকার পড়ার কথা না। তাহলে কেন??? ঐযে দেশগুলর কথা উল্লেখ করলাম তাদের শাসনব্যাবস্থার কথাটা একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে জানা যায় গনচিনের প্রতি তাঁর মুগ্ধতার কথা- কিভাবে পাকিস্তানের প্রায় সমসাময়িক সময়েই তারা স্বাধীন হয়েও মাত্র এক দশকে তারা অর্থনৈতিক,সামরিক ও জনগনের দেশাত্মবোধের দিক থেকে এগিয়ে গিয়েছিল যোজন যোজন দূর?- বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রথম চিন সফরের সময় দেখেছেন মুগ্ধ হয়ে আর ভেবেছেন। কম্যুনিজম নয় কিন্তু পরিবর্তিত কোন উপায়ে দেশকে যুদ্ধপরবর্তী দুর্দশা থেকে টেনে তুলতে হবে- জনগনের মধ্যে দেশ গড়ার এক অভূতপূর্ব উদ্দীপনা জাগিয়ে তুলতে হবে, দেশের পুনর্গঠন ও উন্নয়নে সমগ্র দেশবাসিকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। বাকশাল কোন দমননীতি কিংবা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার পরিকল্পনা ছিলনা, ছিল মুক্তিযুদ্ধের ও মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী শোকাহত বাংলাদেশী জাতির ঘুরে দাড়িয়ে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার পূর্বপ্রস্তুতির পরিকল্পনা।দুঃখজনকভাবে বঙ্গবন্ধুর সেই সুযোগ আর হয়নি, আর হলেও বাকশাল বাস্তবায়নে সফলতা আসতে যথেষ্টই বাধা ছিল সেইসময় বঙ্গবন্ধুর আশে পাশে ও প্রশাসনে থাকা কিছু বিষাক্ত সাপ। যারা বঙ্গবন্ধুর অজান্তে তাঁর নামকে পুঁজি করে মেতে উঠেছিল বাংলাদেশকে ধ্বংসের কুচক্রান্তে।আমি কারো নাম উল্লেখ করছিনা কারন তাদের চেনা কঠিন কিছু নয়। যে কেউ একটু পড়াশুনা করলেই জানতে পারবে সেইসব কালসাপদের কথা। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ৭১ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর আশে পাশে কাছে কোন বন্ধু- সত্যিকার অনুসারি ছিলেন না, বঙ্গবন্ধুর ব্যর্থতা যদি কিছু থেকে থাকে তবে এই সময়ে তাঁর বন্ধু ও শত্রু-সুবিধাবাদি চিনতে পারার ব্যর্থতা।আর আসলে দেশের মানুষের প্রতি তাঁর মায়া-মমতা-দরদ ছিল অসীম। তাই অনেককে হাতে-নাতে ধরেও তিনি পরে মাফ করে দিয়েছেন।আমার এই লেখা অনেকের গাত্রদাহের কারন হতে পারে, তাতে আমার কিছুই আসে যায় না। যা আমি সত্য বলে মনে করি তা স্পষ্ট করেই বলি ও বলতে চাই। - জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।