somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কিশোর মাইনু
মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

অপয়া ১৩-র উপাখ্যান

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমাদের মানুষের অনেক জিনিস নিয়ে অনেক কুসংস্কার ভুল ধারণা আছে। সংখ্যা ও বাদ পড়েনি কুসংস্কারের হাত থেকে। যেমন, বাংলাদেশ-ভারতে ৪২০-র কথায় ধরি। ৪২০সংখ্যাটাকে আমরা গালি বানিয়ে ফেলেছি রীতিমত। ৪২০ নিয়ে ও একটি পোস্ট দিয়েছিলাম।এখানে ক্লিক করে পোস্টটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। যাই হোক কুসংস্কারের ক্ষেত্রে ধরলে ১৩কে নিয়ে যে পরিমাণ বাড়াবাড়ি চলে তার ধারে কাছেও নেই অন্য কোন সংখ্যা। প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করত, ১৩তম ধাপটি জীবনের শেষ ধাপের একটি চক্র। তাদের বিশ্বাস- চক্রের ১২টি ধাপ জীবিত অবস্থায় সম্পন্ন হয়। সুতরাং ১৩ নম্বর ধাপ মৃত্যুকেই নির্দেশ করে। তাই ১৩-কে তারা মৃত্যু ও ধ্বংসের প্রতীক মনে করত। এভাবেই ১৩ সংখ্যাটির সাথে আনলাকি বা অশুভ কথাটির ইতিহাসের গোড়াপত্তন হয়েছিল মিশরে।

যা থেকে পরবর্তীতে গ্যালোচ-র আইডিয়া পাওয়া যায়। একজন ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলোনোর স্থানটিকে গ্যালোচ বলা হয়ে থাকে। কোনো অপরাধী ব্যক্তির তার জীবনের শেষ পরিণতি হচ্ছে এই গ্যালোচ। এই ফাঁসির স্থানটি ১৩টি ধাপের সিঁড়ি দিয়ে তৈরি একটি মঞ্চ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, একজন মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলানোর জন্য ১৩টি ধাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

নর্স মিথোলজির এক কাহিনীতে অনিন্দ্য সুন্দর মোহময় এক জ্যোৎস্নাস্নাত রাতে ১২ জন দেবতার নৈশ ভোজের আয়োজন চলছিল। রাতে খাবার টেবিলে একসাথে বসলেন সকলে। ঠিক তখনই বিনা আমন্ত্রণে সেই ভোজ সভায় উপস্থিত হলেন ১৩তম ব্যক্তি। সকলেই হতচকিত। কারণ সেই ১৩তম ব্যক্তি ছিলেন খারাপ কাজের দেবতা স্বয়ং লোকি। অশুভের সূচনা হলো এর পরপরই। লোকি শুরু করেন যত অশান্তি। লোকির প্ররোচনায় শীত ও অন্ধকারের দৃষ্টিহীন দেবতা হোড ভালো কাজের দেবতা ব্লাডারকে হত্যা করে। সেদিন পুরো স্বর্গপুরীতে নেমে এসেছিল শোকের মাতম। সেই থেকে ১৩তম জনের উপস্থিতি অর্থ পরের বছর আর কোনো মৃত্যু সংবাদ!!! তবে ১৩ সংখ্যার গায়ে পাকাপাকিভাবে অশুভ-র সিল লেগে যায় মুলত "লাস্ট সাপার"-র পরে।

যিশু-র লাস্ট সাপারে ১৩তম ব্যক্তি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন জুডাস ইস্কারায়োট। পরবর্তীতে জুডাস ইস্কারায়োটই যীশুর সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন। যীশুকে যেদিন শূলে চড়ানো হয় সেদিন ছিল শুক্রবার, তারিখটিও ছিলো ১৩। তখন থেকেই ১৩নিয়ে এত বেশী বাড়াবাড়ি হওয়া শুরু হয়েছে যে ১৩-ভীতি আলাদা একটা রোগ ই হয়ে গিয়েছে। "১৩" সংখ্যাকে ধরা হয় দুর্ভাগ্যের সংখ্যা আর এই ১৩ সংখ্যার প্রতি ভয়কে বৈজ্ঞানিক নামে বলা হয় "ট্রিসকেইডিকাফোবিয়া(triskaidekaphobia) trɪskaɪˌdɛkəˈfoʊbiə, ˌtrɪskə-/, tris-kye-dek-ə-foh-bee-ə Or tris-kə-dek-ə-foh-bee-ə; গ্রীক tris অর্থ "three", kai অর্থ "and", deka অর্থ "10" and phobos অর্থ "fear" or "morbid fear।

কিছু কিছু মানুষ আবার আরো একধাপ এগিয়ে শুক্রুবারকেও অশুভ বানিয়ে দিল। ফলাফল আরো একটা কুসংস্কার-''Friday the 13th", আরো একটা ভীতি/রোগ, আরো একটা বৈজ্ঞানিক নাম "প্যারাসকভিডেক্যট্রিয়াফোবিয়া"-"paraskevidekatriaphobia" গ্রীক শব্দ Paraskeví (Παρασκευή), অর্থ "শুক্রবার", ও dekatreís (δεκατρείς), অর্থ "১৩" , আবার একে ফ্রিগাট্রিসকেইডেকাফোবিয়া-"friggatriskaidekaphobia" ও বলা হয়ে থাকে। কারণ নর্স দেবী Frigg এর নামানুসারে ইংরেজিতে Friday শব্দ আসে।


এমনেই মানুষ ভয়ে বাচে না, তার উপর মড়ার উপর খড়ার ঘা হিসেবে আরো বেশ কিছু কাকতাল এসে হাজির হল ১৩কে অপয়া প্রমাণিত করার জন্য। যেমন, অ্যাপেলো ১৩, সবাই জানে এটা সম্পর্কে। মুভিও বানানো হয়েছে এটার কাহিনী নিয়ে। কিন্তু এতগুলোর মধ্যে স্রেফ এটাকেই ব্যার্থ হতে হল?!?!? চাঁদে যাওয়ার এই Apollo 13 Mission টি সফল হয়নি অক্সিজেন টেঙ্কের একটি বিস্ফরণ (oxygen tank explosion) জনিত দূর্ঘটনার জন্য। চাঁদে মানুষ যাওয়ার একমাত্র ব্যর্থ Mission এই Apollo 13।

মজার বিষয় হচ্ছে Apollo 13 launch pad থেকে 13:13 (CST) hours military timeএ launch করে। Apollo 13 এর Earth orbit insertion time ছিলো 02:25:40 p.m যোগকরে দেখেন (০+২+২+৫+৪+০) = ১৩। আবার Apollo 13 এর Splashdown time ছিলো 01:07:41 p.m যোগকরে দেখেন (০+১+০+৭+৪+১) = ১৩। Apollo 13 কিন্তু দূর্ঘটনাতে পতিত হয় ১৯৭০ সালের এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখে। আর এপ্রিলের ১৩ তারিখ হচ্ছে বছরের ১০৩তম দিন।
উরুগুয়ের এয়ার ফোর্স ফ্লাইট ৫৭১ বিমানটিতে আন্দিজ পর্বতে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়। একই দিনে সোভিয়েত এরোফ্লেট রানওয়ে থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে একটি লেকের ধারে বিস্ফোরণ ঘটে। ১৭৪ জনের মৃত্যু হয় ঐ ঘটনায়। সেইদিন ছিল ১৩ তারিখ। তখন থেকে মানুষ বিশ্বাস, এই ১৩ নম্বরই ছিল অঘটনের যত মূল।

Columbia Space Shuttle নভোযানটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল ১৬ জানুয়ারি ২০০৩। সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে, তারিখটির সবকটি সংখ্যা যোগ দিলে দাঁড়ায় ১+৬+১+২+০+০+৩ = ১৩! মহাকাশ থেকে ফেরার সময় নভোযানটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। বিষ্ফোরণের কারণে Columbia Space Shuttle নভোযানটি ধ্বংস হয়ে যায়। নভোযানে অবস্থানকারী সকল ক্রুর দুঃখজনক মৃত্যু ঘটে।
মারহাবা! মারহাবা! আর কি লাগে?!?!? এত এত কাকতালের পর মনে ভয় ডুকলে দোষের কিছু না। যার ফলাফল নিচের উদাহারণগুলো-

ঔপনিবেশিক শাসক হিসেবে ব্রিটিশদেরকে মুক্তমনা বলা হলেও ১৩-এর কুসংস্কার থেকে তারাও মুক্ত নয়। ব্রিটেনে ১৩ নম্বর বাড়ি অন্য বাড়ির তুলনায় দামে কম। জুপলা নামের সম্পত্তি বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এক জরিপ চালানো হয়। জরিপে দেখা যায়, ইংল্যান্ডে ১৩ নম্বরধারী বাড়িগুলোর আর্থিক মূল্য একই মানের অন্য বাড়িগুলোর তুলনায় গড়ে প্রায় চার হাজার পাউন্ড কম।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বত্রিশতম প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ১৩ নিয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বাধিক দীর্ঘমেয়াদে চারবার নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট ১৩ তারিখে কোথাও সফরে যেতেন না, এমনকি হোয়াইট হাউস থেকে শুরু করে কোনো দাওয়াতেও কখনো ১৩ জন অতিথি নির্বাচন করতেন না।
কানাডার ওন্টারিওতে ১৩নং মহাসড়ক বলে কিছু নেই বা ছিলও না। জাপানে ১৩নম্বর লিফট নেই, ১২তালার পরের তালাটি আপনি ১৪পাবেন। ১৩ নাম্বার দোকান, বাসা কিছুই খুজে পাবেন না। ফর্মুলা ওয়ানে ১৩নাম্বারে কোন গাড়ি থাকেনা।


এতক্ষণ ১৩-র কুকীর্তির কথা বললাম। বেচারা মাইন্ড করে বসলে আবার সমস্যা। শালার কিছু Brain Teaser বলে দেখি পটাইতে পারি কিনা।
এই Palimdromic Pattern টা দেখুন-
১৩*৬২=২৬*৩১
১৩*৯৩=৩৯*৩১
১৩হল দুই অংকবিশিষ্ট প্রথম ফিবোনাচ্চি সংখ্যা। ১৩ হল প্রথম দুটি মৌলিক সংখ্যা ২,৩ -র বর্গের যোগফল। 2nd Primitive Pythagorean Triple(৫,১২,১৩) -র অতিভুজের মান ১৩। আবার এর প্রতিটি সংখ্যার আগে ১যোগ কর দিলেই 13th PPT(১৫,১১২,১১৩) পাওয়া যায়। ১৩-র সাথে এর অংকগুলোর গুণফল যোগ করলে বর্গসংখ্যা পাওয়া যায় আবার যোগফল বিয়োগ করলেও বর্গসংখ্যা পাওয়া যায়।
১৩+(১.৩)=৪^২
১৩-(১+৩)=৩^২
এটা খুবই দূস্প্রাপ্য ব্যাপার। চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
আবার যেসব অংকগুলোর যোগফল একটি বর্গসংখ্যা তার মাঝে প্রথম Non-Trivial সংখ্যাটি হল ১৩। দুটি ক্রমিক সংখ্যার বর্গের যোগফল এবং দুটি ক্রমিক সংখ্যার বর্গের বিয়োগফল আকারে লেখা যায় এমন ২য় সংখ্যাটি হচ্ছে ১৩।
২^২+৩^২=৭^২+৬^২=১৩
১৩ হচ্ছে একমাত্র পূর্ণ সংখ্যা যা এবং যার চতুর্ঘাত উভয়ই দুটি ক্রমিক সংখ্যার বর্গের যোগফল।
১৩^৪=১২০^২+১২১^২
১৩^২কে ৭থেকে ১৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর যোগফল আকারে লিখা যায়। আবার ১-১৩ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর যোগফল ১-৬ পর্যন্ত সংখ্যার বর্গের যোগফলের সমান।
১৩^২=৭+৮+৯+...+১৮+১৯
১+২+৩+...+১১+১২+১৩=১^২+২^২+...+৫^২+৬^২
১৩^২ কে ১৩থেকে ক্রমিক সাতটি মৌলিক সংখ্যার যোগফল আকারে লেখা যায়।
১৩+১৭+১৯+২৩+২৯+৩১+৩৭=১৩^২=১৬৯
এটা হল তিন অংকের প্রথম বর্গসংখ্যা যারর অংকগুলো ছোট থেকে বড় সাজানো আছে। এরকম স্রেফ আর দুটি আছে তিন অংকের-২৫৬,২৮৯।
এবার প্যাটার্ন দেখি কিছু। ১৩-র বিপরীত পৌনপুনিকদশমিক সংখ্যা ১/১৩=০.০৭৬৯২৩০৭৬৩২০.....
৭৬৯২৩০-র সাথে ১৩-র মেলবন্ধণে তেরী হয় অদ্ভুদ এক প্যাটার্ন।
৭৬৯২৩*১৩=০৯৯৯৯৯৯
৭৬৯২৩*২৬=১৯৯৯৯৯৮
৭৬৯২৩*৩৯=২৯৯৯৯৯৭
৭৬৯২৩*৫২=৩৯৯৯৯৯৬
৭৬৯২৩*৬৫=৪৯৯৯৯৯৫
৭৬৯২৩*৭৮=৫৯৯৯৯৯৪
৭৬৯২৩*৯১=৬৯৯৯৯৯৩
৭৬৯২৩*১০৪=৭৯৯৯৯৯২
৭৬৯২৩*১১৭=৮৯৯৯৯৯১
৭৬৯২৩*১৩৯=৯৯৯৯৯৯
গুণফলের দুপাশের অংকগুলো দেখুন। কিছু পরিলক্ষিত হয়???


এত কিছু দেখেই মনে হয় ইতালি আর তিব্বত ১৩কে সৌভাগ্যের সংখ্যা হিসেবে বেছে নিয়েছে। ইতালির কাম্পানিয়ায় কারো সৌভাগ্য কামনায় বলা হয় ট্রেডেসি, যার অর্থ ১৩। থাইল্যান্ডে এপ্রিলের ১৩তারিখ বছরের নতুন দিন হিসেবে পালন করা হয়, যার নাম সংক্রান্দিন।


যুক্তরাস্ট্র গঠিত হয়েছিল ১৩টি রাজ্য নিয়ে। তাই যুক্তরাস্ট্রের প্রথম পতাকায় ছিল ১৩টি তারা। রাজ্য বাড়ার সাথে সাথে তারার সংখ্যা ও বেড়েছে। আমার জানামতে এখন রাজ্য ও তারার সংখ্যা ৫০টি। যুক্তরাস্ট্রের জাতীয় পতাকায় লাল-সাদা ডোরা ১৩টি। যুক্তরাস্ট্রের রাস্ট্রীয় সিলমোহরে ঈগলের এক পায়ে ১৩টি জলপাই, সাথে ১৩টি পাতা, অন্য হাতে ১৩টি তীর এবং মাথার উপরে ১৩টি তারা।


তথ্যসুত্র:
১) Click This Link
২) Click This Link
৩) Click This Link
৪) Click This Link
৫) Click This Link
৬) পাই-জিরো টু ইনফিনিটি
৭) গণিতের পাটশালা(পোর্টাল)
৮) উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:০২
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×