©কাজী ফাতেমা ছবি
=ফ্রেমবন্দির গল্প=
গত এপ্রিল মাসে আম্মাকে নিয়ে গিয়েছিলাম ইসলামিয়া ইস্পাহানী চক্ষু হাসপাতাল চোখ দেখাতে। সেখানে চোখ দেখাতে অনেক ঘুরাঘুরি করতে হয়। ফাইল কাগজপত্র এখান থেকে সেখানে, সেখান থেকে ওখানে এমন ঘুরতেই থাকে যার কারণে পুরো একটা দিন মাটি হয়। যাই হোক হাসপাতালটা আসলেই খুব সুন্দর। আমার খুব ভালো লেগেছে। সেখানে কেবল গাছ আর গাছ। রাতেও বেশ ভালো লাগে। সুন্দর লাইটিং সিস্টেম পরিবেশ বদলে দেয়। মনোরম পরিবেশে দু'দন্ড বসলেও শান্তি।
আম্মাকে সিরিয়ারে দেখাতে গিয়ে অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়েছে অনেকক্ষণ। ফাঁকে উঠে একটু ঘুরলাম হাসপাতালের পিছন দিকটায়। কী সুন্দর গাছগাছালি আর কত রঙ বেরঙের ফুল ফুটে আছে মাশাআল্লাহ। আমি মুগ্ধ হতে ভালোবাসি আর প্রকৃতি হচ্ছে আমার সত্য ভালোবাসা। সব কিছু ভুলে যাই এতটুকুন স্পর্শ পেলে প্রকৃতির।
আমি হলাম ছবি পাগলা, একখান মোবাইল থাকলেই হলো। হাজার হাজার ক্লিক পড়ে যায় এটা সেটাতে । সেদিনও তেমন করে অনেক ছবি উঠিয়েছি। তার মাঝে এই হলুদ কসমস ফুল। আরেকটা ব্যাপার হলো আমার ছবি তোলার ভাগ্যটা কেমন যেনো, সেই দুপুরের রোদ বেলা হয় আমার ছবি উঠানোর মুহুর্ত, যার ফলে ছবির রঙ অনেক উজ্জ্বল হয়ে যায়। এগুলো এডিট করা যায় না, সে আরেক ঝামেলা। হাঁটতে হাঁটতে এই কসমস বাগানে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি। হাওয়ার দোলনায় ওরা দুলছে আহা কী মনোলোভা দৃশ্য, না দেখলে বুঝা যাবে না । ফটো তুলতেছি এমন সময় হাজির এই ভোলতা আমরা হবিগঞ্জে বলি বলা, কামড় দিলে খবর আছে হাহাহা।
আমার সাথে যারা ছিলো তারা ভয়ে দূরে সরে গেলো কিন্তু আমি নাছোরবান্দা ফটোও তুলবো আবার ভিডিও-ও করবো। ছবি তোলার ব্যাপারটা হলো একলা থাকার । কিন্তু যখনই ছবি তুলবো হাজার বাঁধা এসে পড়ে সামনে। এই আয় আয় সময় নাই আর ছবি তুলতে হবে না। তাড়াতাড়ি আয়। কত ছবি তুলছি -এই যা ছবি তোলার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে কাছের মানুষরা হাহাহা। তবুও ফাঁকফোঁকরে অনেক উঠায় ফেলি।
। আমার মুগ্ধতাদের আপানারও দেখুন ভালো লাগবে। রাতের ছবিগুলোর গল্প না হয় আরেকটি আরেকটা পোস্টে দেয়া যাবে। রাতের ছবিগুলোও বেশ সুন্দর আসছে মাশাআল্লাহ।
১।
হলুদ আলোর প্রহর দিলাম, বন্ধু নেবে তুমি?
দখল দেবে আমায় তুমি, তোমার বুকের ভুমি?
কসমস ফুলের রঙও দেবো, মুগ্ধ করবে আঁখি?
বুক পকেটে রাখবে তোমার, সুবাস নেবে মাখি?
আমার দেয়া হলুদ আলো, চোখে দেবে ছুঁয়ে?
প্রেম দেখবে কী চোখের আয়নায়, একটুখানি নুয়ে।
সোনার আলোর প্রহর দিলাম, নাও না বুকে তুলে
বন্ধু তুমি যেয়ো না আর, এই আমাকে ভুলে।
দিনদুপুরে দেবে হানা, আমার মনের ঘরে
কসমস ফুল দেবে তুলে, আমার আঁচল ভরে?
মুগ্ধতার চোখ নেবে তুমি, চুপ তাকিয়ে চোখে
একটু তাকাও দেবো তোমায়, অলীক মন্ত্র ফুঁকে।
২।
ভ্রমর এসে ফুল ছুঁয়ে যায়, ছুঁও না চোখের পাতা
ছন্দ ছাড়া থাকে খালি, আমার কাব্যের খাতা;
কেমন তুমি ছুঁও না তো মন, দাও না আলোর প্রহর
পাথর ভরা মনের শহর, সেথা নেই প্রেম লহর।
তুমি যদি ফুল হও বন্ধু, আমি হবো ভ্রমর
মন ভরা কী তোমার বাপু, সাগর সম গুমর?
উড়ে এসে বসবো বুকে, ভ্রমর হবো আমি
তোমার আমার সময়গুলো, হীরার চেয়ে দামী।
সোনার আলোর প্রহর আমার, মন ভ্রমরার গুঞ্জন
তুমি হয়ো শালিক পাখি, হবো আমি খঞ্জন।
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস)
১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
৯।
১০।
১১।
১২।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৩