৪১।
আমি সবুজঘাস,পেলব অঙ্গে সাজাই মৃদু প্রেম,
তুমি ভানু-বুকে আঁচড়ে পড়ো-পুড়ি,
এসো বিকেল রোদ নিয়ে
বিপন্ন সময় স্বস্তির শ্বাস নিয়ে বাঁচি ফের!
৪২।
উঠো দেখো,কে যেনো রুয়ে থুয়েছে সোনালুর সারি সারি বৃক্ষ
চল সোনা আলোর পথ ধরে হাঁটি,
হলুদআলো মুঠোয় নিয়ে ফিরে আসি আর
চোখে বুনি সোনালু ফুল স্বপ্ন।
৪৩।
তোর ধূসর রঙা মনে বুনবো সবুজ প্রেম,
উর্ধ্বমুখী শুয়ে নীলে চোখ রাখ্
আল্ট্রাভায়োলেটে মন ভিজিয়ে জারুল প্রেম শিখ্
তোকে পুড়াব সবুজে নয় পার্পলে।
৪৪।
একটু উষ্ণতা খুঁজি,পাষান তুমি-
বৃষ্টি ভেজা দিনের ওম পেতে,
দিলে না পেতে তোমার কবোষ্ণ বক্ষ
তোমার ঘুম ঝিঁঝি'রা খাক!
নির্ঘুম কাটুক এই রাত।
৪৫।
নীল ঢাকা মেঘের চাদরে-বৃষ্টি'রা উঁকি মারে ক্ষণে ক্ষণে,
গোধুলী রঙ ছিনিয়ে নিয়ে মেঘরা হাসে,
আমিও হাসি কেননা এমন মিষ্টি রাত আমিও ভালবাসি।
৪৬।
নীলে নীল বুকের সবুজ জমিন
বর্ষায় যদি হয় চৈত্রের খরা
তবে সেথায় প্রেম বীজ বুনব কী করে!
শ্রাবণ হও
এবার মন জমিনে!
আগাছা নয়,অপরাজিতা হয়ে এসো
৪৭।
ফাঁকহীন রঙ বদলের খেলায় তোমার রঙে মন মিলাতে পারি না,
হও গহীন সমুদ্দুর,
নীলজোয়ারে ভাসাও ডুবাও,
নীলে হই লীন,
পাহাড় হয়ে ছায়া দিতে পারতে তো, না কী!
৪৮।
আকাশের রঙ বেগুনি হলে কী জারুল সাজতো আকাশি শাড়িতে!
তুমি আকাশ ছুঁয়ে হাত রাঙিয়ে দাও বেগুনি চুড়ি দিয়ে,
জীবনে রঙ দাও,
রঙহীন জীবন জোলো বড়! (জোলো-জলমিশ্রিত)
৪৯।
একমুঠো কমলা আলো ছিটিয়ে দাও চোখের পাতায়,
মেঘ জমেছে বড়,
জল গড়িয়ে পড়ার আগেই দাও এক ফালি বাসন্তি রঙ স্বপ্ন বসুন্ধরা
রোদ্দুর উঠুক মনে।
৫০।
নারিকেল পাতার ফাঁক গলে জোছনার আস্ফালন,
হাওয়া এলেই নড়ে যায় পাতা,
শশি হেসে বলে পাগলী আলো কেনো এত ভালবাসিস!
যেতে তো হবে তোকে আঁধারের টানেই!
৫১।
নীলজল ঢেউয়ে চেপে সমুদ্র বিলাসী হই ইচ্ছে,
সে জল চোখে খেলে ঢেউ,
ফেনা মাখা কষ্ট ঢেউ আঁচড়ে পড়ে বুকের চুরাবালিতে
ঢেউয়ের গায়ে যেনো ব্যথার রঙ আঁকা।
৫২।
আঁধার খুঁজোতো?
তবে আমি জোনাক হয়ে যাই,
জ্বলোনিভু আলোয় মুগ্ধতার পথ দেখাবো,
তুমি চিনে নিয়ো আমায়,
যে তোমার মনগলিতে সন্তর্পণে হেঁটে বেড়ায়।
৫৩।
কিবা চাওয়ার আছে,
এটুকুই চেয়েছি অনুভূতিতে আলতো ছুঁয়ে ভালবেসে মন রাখো মনের উলটো পিঠে,
ঘুম ভেঙ্গে যদি দেখতাম এক গুচ্ছ লাল গোলাপ,অভিমান হতো ভেঙ্গে চুরমার।
৫৪।
কিছু রঙ দিলাম হাওয়ায় ছড়িয়ে,
লালনীল হলুদ কমলা রঙের আবরণে ঢেকে যাক্ ঘোর অমানিশা- জীবনের,
মোহে হও আচ্ছন্ন,মুহুর্ত'টা ছুঁয়ে থাকো আলগোছে!
৫৫।
সাহারার বালি বুকে নিয়ে শুধু আমার হও,
হিমালয় ভালবাসি,
ক্লান্ত নুপূর খসেছে,সুর নেই,
মরীচিকা হাহাকার,তৃষ্ণা মিটাতে বরফ হয়ে দাঁড়াও,পারবে?
৫৬।
শহর নেতিয়ে পড়ে রাতের কাঁধে-
আঁধারে ঢাকবে শহর,
শহর চষে বেড়ানো মানুষদের চুপ সমর্পণ আঁধারের কাছে-
যা চিরস্থায়ী আবাসের পূর্ব প্রস্তুতি।
৫৭।
আকাশী রঙও ফিকে হয়,
সহসা কালো মেঘের হামলা,
মেঘের ঘর্ষনে বজ্র-চোখ বন্ধ জীবন,
ভিতরে ঝড়
ভাল লাগেনা কিছুতেই অথচ ভাল না লাগার কোন কারণ নেই!
৫৮।
যখন মন খারাপের দল মনে দেয় খোঁচা-
হাজার রঙ এনে দাও
মন তো রঙ ছোঁয় না,
ফ্যাকাশে সময় আঁকড়ে ধরে কিছুক্ষণ না হয় কাঁদি,
এই একমুঠো রোদ্দুর দিবে?
৫৯।
লিখে দিয়ো গোপনে নামহীন তুমি কিছু জ্বালাময় শব্দ,
তোমার অব্যক্ত ঘৃণার শব্দ ছড়ানোর ব্যবস্থা করলুম,
সারারাহ ডট কমের ঠিকানা কি তুমি চাও? হাহাহা!
৬০।
শহর আমার ডুবে যাচ্ছে,
চারিদিকে থৈ থৈ জল-
জলের ঢেউ কেটে রিক্সা আর যন্ত্রযানগুলো ছুটে চলেছে নিরন্তর;
মেঘের গর্জন-তুমুল বৃষ্টিতে থেমে নেই পথ চলা -
তুমিও কি কোথাও ব্যস্ত আছো রাস্তায়-
গন্তব্যে পৌঁছার আশ্বাসে প্রহর গুনছো?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭