©কাজী ফাতেমা ছবি
তোমরা ভার্চুয়ালে ঘুরলে দোষ নেই, এপাড়া ওপাড়া হাঁটলে দোষ নেই,
তোমরা, মানে যুবক তরুণ আর প্রৌঢ়
অথচ একটা মেয়েকে অনলাইন দেখলেই হারিয়ে ফেলো খেই?
প্রশ্নবানে করো জর্জরিত-কামনা বাসনা সব বুঝি অন্তর্গূঢ়?
অনলাইনে দেখালেই কী কেউ অনলাইনে থেকে যায় দিবানিশি?
কী রাত কী দিন ম্যাসেজবক্সে গুনগুন করেই যাও
কত গল্প শুনাও কত কাব্য কত শব্দ আওড়ে যাও, ঠোঁট যেনো মধুর শিশি,
মুঠোফোনে ওয়াইফাই নেট অন, তাই হয়তো কাউকে নেটে দেখতে পাও।
অতঃপর বলে যাও, বুঝি বুঝি সব বুঝি, অন্য কারো সাথে করো চ্যাট
নিজেরা যেমন, ভাবো অন্যদেরকেও তাই, নষ্ট মনের ঘ্রাণ পড়ে ছড়িয়ে,
নেটে নেই অসময়ে বললেও তবু তোমরা উল্টা তীর ছুঁড়ো
লজ্জায় মাথা হয় হেট;
মিথ্যা অপবাদ তুলে সহসা মনটা দাও বিষে ভরিয়ে।
তোমরা ছেলেরা, হাতে অঢেল সময়, অবসর অফুরন্ত,
তোমাদেরকে সামলাতে হয় না রান্নাঘর, সামলাতে হয় না সন্তান,
যে মেয়ে অফিসপাড়ায় কাজের ভারে নুয়ে পড়ে,
অতপর সাঁঝে বাসায় ফিরে হেঁসেলে ঢুকে, আর তখন তোমাদের মনে নামে বসন্ত,
তোমাদের মন নদীতে কত শত আনন্দ কলতান।
পুরুষ, অফিস আর বাজার করে দিয়েই দায়িত্ব ফেলো ঝেঁড়ে,
অথচনারীর অফিস শেষেও দায়িত্ব থেকে যায় হাজার,
সন্তান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, কে কী খাবে, অফিস ফেরত নারী
আয়েশে বিছানায় বসে না থেকে রান্নাঘরে বসে হাঁটু গেঁড়ে,
আর তোমরা পায়ের উপর পা তুলে টিভির রিমোট টিপো,
অথবা নাচ গান ভার্চুয়াল আড্ডায় বসাও রঙ্গ রসের বাজার।
এ কথা মাথায়ই আসে না, তোমাদের সহধর্মিনী রান্নাঘরের ৫০ ডিগ্রি উত্তাপে আছে দাঁড়িয়ে
এদিকে কে নেটে, কে দিলো না ম্যাসেজের রিপ্লাই এ নিয়ে বানাও বানোয়াট গল্প,
ওয়াইফাই অন করা মুঠোফোনে, অনলাইন দেখানোটা কী নয় স্বাভাবিক?
কত মিথ্যাই বলো বাড়িয়ে,
যাও না রান্নাঘরের দুয়ারে, দেখো কতটা উত্তাপ বেয়ে পড়ছে গৃহীনির কপাল বেয়ে, অনুভব করো অল্প।
রোজ রোজ এসব ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যানের উত্তর কে বা চায় দিতে,
দিনভর কাজের ধকল আর ক্লান্তি মুছে দিতে কেউ নেট লাইনে আসে,
তিতে করে দাও তার সময়টুকু,
প্রেমের বেড়াজালে আটকাতে তারে চাও, বানাতে চাও প্রাণের মিতে,
অন্য নারীর রিনিঝিনি হাসিতে মন গলাতে চাও কেনো,
অস্পৃশ্য অদৃশ্য ভালোবাসায় কী আর আছে মোহ, যাও হাসি মুখে দাঁড়াও এখনি স্ত্রীর পাশে।
(২১/০৯/২০১৯)
এই লেখাটি জুইতসই হয়নি বলে দিতে মন চাইছিলো না। কিন্তু জুল ভার্ণ ভাইয়া বলেছিলো দেয়ার জন্য। তাই দিলাম। একদিন মন জ্বালাইয়া পুড়াইয়া দিছিল মানুষ তাই লিখছিলাম।
লেখাটা জুলভার্ণ ভাইয়াকে উৎসর্গকৃত।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৬