অপেক্ষার সিঁড়ি বেয়ে এসে এই যে দু দন্ড,কথা বলে গেলে
তুমি কি জানো, মন সুস্থতার পথে হেঁটে যায় আনমনে
কখনো কি অনুভব করেছিলে-আমি নেই অথবা আছি
বুকের বামে কিংবা দু চোখের তারায় মুগ্ধতার ছবি হয়ে?
তুমি ভালোবেসেছিলে বলেই তো ভালোবাসতে পারি
তুমি বললে অকারণে হেসে দেই, বলো কেনো হাসি!
জানি না কারণ, মন আয়নায় দেখি শুধু তুমি।
তবে নাম দিয়ে দাও হাসি কন্যা- কি দিবে?
এই যে দীর্ঘশ্বাসের ঢেউ, সে দীর্ঘশ্বাস নয়, বুক ভরা সুখ নিঃশ্বাস
স্বস্তি মনের কোণায় কোণায়, ভালোলাগায় ভরপুর সান্ধ্যবেলা।
ভাবলে বেশী, তুমি কাছে নেই! অস্থির সময় কাঁপিয়ে দিয়ে যায়
ভুমিকম্প শিরায় শিরায়-এই যে মাথা ঘুরে গেলো, টের পাও?
তবুও বলছো দূরের তুমি-দূরেই রয়ে যাবে জীবনভর।
আমি তবে নিথর পায়ে আগাই কি করে, সম্মুখের আবছা পথে?
জীবন ডাক দিয়ে যায়, টেনে নিয়ে যায় সময়, তবুও আবেগ
তবুও আবেগ ঝরে বুকের বাম অলিন্দে, আহা কত প্রেম জমা।
তুমি এসো না, মন দেউড়ির খিল আঁটলাম
জানি হারিয়ে যাবে, না ছোঁয়ার পলগুলোতেও আছো সঙ্গে
তোমাকে বন্দি করলাম, হ্যাঁ বন্দি করলাম বুক পিঞ্জরে।
যদি চাও কাছে এসে ছুঁয়ে দিতে, সে আমি চাইনে বাপু
তুমি হারিয়ে যাবে, হারিয়ে যাও, ছুঁতে এসো না চোখে।
কল্প প্রেমী, কল্পতেই যেয়ো মন ক্যানভাসে স্বপ্ন এঁকে
আর রঙধনুর রঙ ছড়িয়ে দিয়ো চোখে মুখে আর মনে
সাতটি রঙের আয়নায় তোমায় দেখে যাবো অবিরত।
আমি ভালোবাসি তোমায়,
বড্ড ভালোবাসি-তুমি তা কি জানো?
(০৪-০১-২০১৭)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৭