©কাজী ফাতেমা ছবি
চিঠি পাওয়া সেই প্রহরগুলো, কারো কী আছে মনে?
শিষকলমে লিখা আঁকাবাঁকা সাদা পাতায়,
ভালোবাসি ভালোবাসি, সদ্য কলি মন,কাঁপাকাঁপি সুখ শিহরণে
যেনো সুর কলরব সুখ গুঞ্জন,
কত কাব্য লিখা হয়ে যেত মনের খাতায়!
ডাকপিয়নের ঝুলি হতে বের করা সেই চিঠি পাওয়ার ক্ষণ,
মনে কী পড়ে কারো কৈশোর বেলার প্রেম
ভালোবাসি এই কথাটি পড়তে কী যে ভালো লাগতো তখন
না না লোভ ছিলো না পেতে হীরে মতি হেম।
চিঠির পাতায় থাকতো লিখা,
-প্রিয়তমা তুমি
আমার রূপকথার সেই রাজকন্যা,
কেমন আছো-আমার নাম কী দখল নিয়েছে তোমার মনোভূমি?
প্রিয়তমা তুমি আমার রাণী অনন্যা।
-তুমি আমার গল্পমালা, ঠাকুরমার ঝুলি
ইচ্ছে বড় দেখি তোমায় চোখের সম্মুখ
কখনো দেখোনি পিছনে আমায় মুখটা তুলি
তোমাকে দেখতে তবু থাকি অপেক্ষায় উন্মুখ।
-প্রিয়তমা
করো ক্ষমা
অদৃশ্য সে আমি, দেখলে তোমায় থামি
ভাবো নি আমায় মৌনতার চাদরে শুয়ে
উচ্ছ্বল তুমি খঞ্জন পাখি, কত যে পাগলামি
তোমার চোখে ইচ্ছে রাখি স্বপ্নগুলো রুয়ে।
-প্রিয়তমা
মনে রেখো জমা
চিঠির শব্দ, করো লব্ধ-বড্ড ভালোবাসি
উত্তর চিঠি দিয়ো তবে, মেঘের খামে
ঠিকানায় নাম লিখো আকাশ, ঠোঁটে রেখে হাসি
উড়িয়ো হাওয়ায়, তাকিয়ো ফিরে ডানে বামে.....
-প্রিয়তমা,
তুমি আমার সুখের তিলোত্তমা
শব্দে শব্দে লিখে দিলাম ভালোবাসির গল্প
স্মৃতির ঝাপিতেঁ রেখে দিয়ো জমা
ভেবে নিয়ো রূপকথার রাজকুমার আমি-তোমার চোখের কল্প।
-
-
মনে পড়ে দিনগুলো সেই,
এখন আর এখানে নেই
কেউ লিখে না চিঠি, কেউ বাসে না ভালো
দু:স্বপ্ন আর চোখজুড়ে বিষাদ মেঘ কালো,
আবেগগুলো যায় হারিয়ে, সময় যায় সাথে
কেউ বলে না আলতো করে ধরবো হাতে?
যে যার মতন স্বার্থ নিয়ে-আছে বেঁচে
কেউ বা রাণী কেউ বা রাজা, কেউ বা বাঁচে কাপড় কেঁচে
রান্নাবাটি জীবনযাপন
কেউ হয় না আর এমন আপন।
ভালোবাসি হায় কবিতার নাম
বেঁচে থাকে সবাই একা, সুখ অথবা দু:খ বনাম।
(১১-০৭-২০১৯)
লিখা চুরি হইছে। প্রমাণ রাখলাম
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩৮