=চন্দ্রমল্লিকার পাপড়িতে কী মুগ্ধতা=
হে মহান রব, তোমার সৃষ্টির সৌন্দর্য এই ফুল;
তোমার দয়াতেই সে পাপড়ির ডানা মেলে, ভুল নাই এক চুল;
হে মহান প্রভু, দৃষ্টিতে দিয়েছো তোমার নূরের আলো;
তোমার সৃষ্টি এই দুনিয়া, ফুল ফল দেখি লাগে ভালো।
হে আমার করুণাময় কত রঙের ফুল সৃষ্টি করিয়াছো এই ভুবনে;
কত সুখ অনুভব কত ঘ্রাণ ছড়ানো প্রহর, কত সুখ দিয়েছো এই জীবনে
কৃতজ্ঞতায় পড়ি নুয়ে, ভালোবাসাসি তোমার সৃষ্টি
তোমার দয়াতেই আলো সমেত পেয়েছি এই দৃষ্টি।
০২। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=কাঁটামুকুট ফুলের মত হতো যদি জীবন=
আম্মা আব্বা ভাই বোন নিয়ে ফুটা কাঁটামুকুটের মতই থাকতে চাই
ইচ্ছে করে এমন গা ঘেঁষে থাকি আপনজনদের, উপায় নাই!
জড়াজড়ি সম্পর্কগুলো দূরে চলে যায়,
সময় এসে বিচ্ছেদের বাজনা বাজায়।
ইচ্ছে হয় কাঁটামুকুট হই আমি আম্মা আব্বা ভাইবোন
চাই না এমন দুরুত্ব, যেমন হাতের মুঠোফোন
মুঠোফোনে কণ্ঠ শুনেই থাকতে হয় তুষ্ট,
আব্বাকে মনে পড়লেই বুকে বাড়ে কষ্ট।
০৩। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=আমি সবুজ পাতা তুমি নীল অপরাজিতা=
আমি সজিবতায় মোড়া থাকি হরপল
তুমি নীলাভায় সাজো, তোমা পানে তাকালেই
অনুভব করি আমি দুর্বল;
তুমি যেন নীল অপরাজিতা, বিষ পুষো মনে
আমি সবুজের সজীবতায় মেতে থাকতে গেলেই
আতঙ্ক হয়ে আসো, আমি মরি ভয়ের শিহরণে।
তুমি যেন নীল নীল ফুল, বিষ বিষ অনুভব
মিহি কথা ছাড়া চাই না বন্ধু বিত্ত বৈভব;
চাই তুমি নীল হয়েও কথা ছড়াও গোলাপী
হও আমার সাথে মিষ্টি আলাপী।
০৪। =এক ঝাঁক হিমু ফুল=
ও চন্দ্রপ্রভা তোর নাম দিয়েছি হিমু ফুল
বুঝিস না ভুল,
গায়ে হলুদ পাঞ্জাবি জড়িয়েছিস, উফ কী সুন্দর
তোদের দেখে সুখে উচ্ছল হৃদ বন্দর।
আমি কী রূপা হবো? তাহলে হয়ে যায় সাদা চন্দ্রমল্লিকা
রূপালী পাড়া সাদা শাড়ি পরে, জ্বালাই প্রেমের শিখা;
খুব ইচ্ছে হয় চন্দ্রপ্রভা তোদের ছুঁয়ে দেই
আমি চন্দ্রমল্লিকা..... একটু সুখ শিহরণ নেই।
০৫। =মিষ্টি রঙের গোলাপ দেব=
গোলাপ বেলী গাঁদা দেব, মনটা তোমার দেবে নাকি?
গোলাপ নিয়ে হাতে বন্ধু দেবে নাতো আমায় ফাঁকি;
মনদানিতে রেখে দিয়ো, ভালোবাসার জলও দিয়ো;
তোমায় তবে ডাকবো গোলা তুমি আমার ওগো প্রিয়।
কী বাহানায় শব্দ বুনি মিথ্যে কথা কাব্য গড়ি,
তুমি নও প্রকৃতি আমার সুখে থাকার আস্ত বড়ি,
তবু কেন মন চায় তোমায় গোলাপ দিয়ে ভালোবাসি
দেখতে ইচ্ছে ঠোঁটে তোমার সুখ মুগ্ধতার আলতো হাসি।
০৬। =মন বসন্ত রঙে সেজেছে আজ=
সবুজ জামায় গাঁদা রঙ ফুল, মন যেন বসন্ত;
রঙের ছোঁয়ায় উড়াল পাখি আজ এ মনতো,
গাঁদার পাপড়ি ছুঁয়েছে মন, মনে জমা ফাগুন রঙ
মন জমিনে প্রকৃতি বসালো সুখের আড়ং।
চিরল চিরল পাতা তার, বাসন্তি রঙ ফুল;
ভীষণ সৌন্দর্য ছড়ানো এ বেলা, মনে সুখ অতুল;
না, ছিঁড়ো না ফুল, দিয়ো না গেঁথে চুলে;
দিয়ো না গাঁদা ছিঁড়ে হাতে আমার তুলে।
০৭। =তুমি তো ঘ্রাণ বুঝো না, বুঝো না মনের রঙ=
গোলাপের ঘ্রাণ তোমার মন ছুঁয় না, তোমার জন্য প্লাস্টিকের গোলাপ,
আমি যা বলি তাতেই বলো পাগলের প্রলাপ;
তুমি রঙ বুঝো, বুঝো না ঢঙ,
সেজে থাকো সারাক্ষণই এ কেমন শঙ!
তুমি সবুজ পাতা ছুঁয়ে দেখো না, অনুভবে পাথর
হও না বন্ধু আমার প্রেমে কাতর;
তোমার জন্য ঘ্রাণহীন গোলাপ এই নাও,
মন দেয়ালে এবেলা রঙীন প্রেম ব্যানার টানাও।
০৮।৷ =ঝরা পাতার গল্প অথবা ঝরা ফুল=
একদিন ঝরে যেতেই হয়, আয়ূ ফুরালে;
পাতাদের রঙ কমলা হয়, বয়সের রঙ কী তবে?
বয়স ফুরালে জরাজীর্ণ মুখোচ্ছবি আর
পাতারা নেয় রঙবাহারী রূপ!
একদিন ঝরা পাতার হয় অবসান
ধুলোয় মিশে অথবা পথিকের পায়ের তলায় হয় চিড়েচেপ্টা
আর মানুষের আয়ূ ফুরালে দেহে তার পোকামাকড়ের ঘরবসতি
এই জীবন ফুরোবে...... বয়সের রঙ কী তবে বাসন্তি?
জীবনের রঙ কী লাল নাকি কমলা।
০৯। =বিন্দু বিন্দু স্নিগ্ধতা=
ভালো লাগে পাতার উপর জলবিন্দু,
ছুঁয়ে দিলেই মনে সুখ সাত সিন্ধু,
সবুজে রাখলে চোখ, আহা চোখ ফিরে পায় জ্যোতি,
পাতায় ছড়িয়ে থাকলে জলবিন্দু, জেগে উঠে নরম অনুভূতি।
অনুভবে সুখ জলবিন্দু তুললেই আঙ্গুলের ডগায়,
শান্তির শিহরণ জাগে সারা গায়,
বিন্দু বিন্দু সুখ তুলে রাখি
মনে জলবিন্দুর ছবি আঁকি।
১০।৷ =একটি ঘ্রাণ মাখানো প্রহর তোমায় দিলাম=
মন করে নাও বিস্তির্ণ, আকাশের মতন
কিছু প্রেম পুষো বুক পিঞ্জরে যতন
আমি তোমায় একটি ঘ্রাণ মাখানো প্রহর দেবো,
দেবো বেলীর শুভ্রতা, মনে মাখিয়ো,
একদিন আধবেলা আমার কথা ভেবো।
মনটা করে নিয়ো
ও প্রিয়
সবুজ যেমন, সজীব ফুরফুরে;
থেকো না এবেলা দূরে।