somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

=মেঘের কাছে রোদ্দুরের চিঠি-১০ (এসো ওড়বো ডানা মেলে)=

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



#মেঘের_কাছে_রোদ্দুরের_চিঠি_১০
#এসো_ওড়বো_ডানা_লাগিয়ে
কিবায় বন্ধু থাকো ভুলে দিবারাতি আমায়-তোমার পথেই মন আমার কেনো রাখি থামায়!

পাইছো টা কি হুহ-আমার কথা মনেই পড়ে না তোমার কী করে । কেনো? ভালা ভালা খুব ভালা। মনে রাখার দরকার নাইক্কা । আর এটা আমি চাইও না - আমি কারো মনে থাকতে চাই না। আমি স্বাধীন হু হাহাহাহা । নাটাইবিহীন ঘুড়ি। যেমন ইচ্ছে তেমন উড়বো-যখন ইচ্ছে যেথায় খুশি সেথায় থামবো। আমার গতিবিধি আমার নিয়ন্ত্রণেই থাকুক।

কেউ তার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিক সেটা আমি চাইনে। বুঝতে পারছো মেঘ- রোদ্দুর স্বাধীন ভাবে তার আকাশে উড়তে থাকুক নিরবধি। দূরে থেকেই ভালবাসো - আমায় নিয়ে নীলে ভাস। স্বপ্ন নিয়ে চোখে ঘুরো। রোদ্দুর শুধু তার রাজ্যেই সে একাকি বিচরণ করবে। রোদ্দুরের স্বপ্নগুলো আর রঙিন হবে না। ফিকে স্বপ্ন কারো সাথে ভাগ করার ইচ্ছে নেই আর। তাই ভাবছি এখন থেকে আমি একার পৃথিবীতে একাই বিচরণ করব মুগ্ধতা কুঁড়াবো।

রোদ্দুর পাখি একা একা
তার আকাশে উড়ুক
নাটাইবিহীন ঘুড়ি হয়ে
ইচ্ছো মতো ঘুরুক।

তার রাজ্যের রাণী সে যে
রাজার নাইকো শাসন
অকারণে কেউ ছাড়বে না
শাসন শোষন ভাষন।

রংধনু রং মনের মাঝে
সাজাবে সে একা
নিজের মাঝেই রোদ্দুর রাণী
আঁকবে গো সুখ রেখা।

কেউ না থাকুক আশে পাশে
নিয়ে ভালোবাসা
হতে পারে রোদ্দুর সোনা
একাই প্রেমের চাষা।

খুব গরম পড়ছে হাঁসফাঁস সময় ভালো লাগে না। অস্থির লাগে। কিন্তু অস্থিরতা অন্য কারণেওপ হতে পারে। সে তুমি বুঝে নাও। না বুঝলেও নাই- কেমন আছো তুমি মেঘ? ব্যস্ততা বুঝি ঘিরে ধরেছে। মানুষ ব্যস্ত থাকবে এটা স্বাভাবিক।

ব্যস্ততার মাঝেও কিন্তু সময় বের করে নেয়া উচিত। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা উচিত নয় কারো সাথে আত্মীয় স্বজন সবার সাথেই । তাহলে সম্পর্ক সুন্দর থাকে। এটা আমি তোমাকে বলছি না আমাকেও বলছি। আমি খুব স্বার্থপর হয়ে গেছি। ইদানিং মানুষের সাথে যোগাযোগের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছি এটা ঠিক নয় জেনেও। এতটা স্বার্থপর আগে ছিলাম না সে তুমি যদি জানতে। কেনো জানি বুক থেকে দয়া মায়াও উঠে যাচ্ছে ।

কী দুঃসহ সময় মাঝে মাঝে আসে। আর আমি আসলেই এমন দুঃসহ মধ্যেই কাটাতে কাটাতে আজ এই পর্যায়ে। এখন কিছু সম্পর্কের সাথে চুম্বকের উল্টো পিঠ হয়ে গেছি। ইচ্ছে করেও ভালোবাসতে পারছি না-কাছে ঘেঁষতেও পারছি না। আমার খুব কান্না পাচ্ছে মেঘ। আমি খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছি। শুনেছি সম্পর্কগুলো নাকি ভালোবাসা দিলে কঠিন মানুষগুলোও ভালো হয়ে যায় কিন্তু আমার মন সেদিকে যেতে চাচ্ছে না। কি করবো তুমিই বলো। আর এভাবে কেনো আমি কষ্ট পাচ্ছি। কাছের বন্ধুটি প্রায়ই পরামর্শ দিচ্ছে আমি যেনো ভালোবেসে সব আদায় করে নেই। কিন্তু কাউকে আমার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝাতে পারব না।

ভাল্লাগছে না এমন জীবন
কষ্টের বোঝা ঘাড়ে
তালা মেরে সুখ পালিয়ে
গেলো কখন দ্বারে।

কেউ বুঝে না আমার কথা
মনে যে যন্ত্রনা
কে ফুঁকেছে এমনতরো
বিষাদের মন্ত্রণা।

ভালোবাসা মরে গেছে
বিষাদ মনের ভিতর
সময়গুলো করে রাখে
আমায় যেনো নিথর।

এদিক সেদিক পারছি নেকো
এখন আমি নড়তে
যেদিক তাকাই বিষন্নতা
আসছে তেড়ে ধরতে।

ও মেঘ তুমি দাওনা বলে
কোথায় যাবো আমি
ইচ্ছে লাগে নিরবতায়
একবার গিয়ে থামি।

পাশে আমার এসো নেকো
উদাস হতে আবার
আমার কাছে নেইকো কিছু
তোমাকে তা দেবার।

দম বন্ধ হয়ে আসে মাঝে মাঝে। ইচ্ছে করে কোথাও হারিয়ে যাই একা একা । কিন্তু শক্ত পিছুটান-যেতে পারি না ছেড়ে। পিছুটান স্বর্গ হয়ে আছে দাঁড়িয়ে মন দুয়ারে। এ নিয়েই বাঁচি -মনের ভিতর মন- তুমি জানো মেঘ আমার মনের ভিতর আরেকটা মন আছে- এক মন দিয়ে আত্মজদের কলিজা থেকে ভালোবাসা এনে দেই। আরেক মত থাকে সদা বিষণ্নতায় ডুবে। সে মনের খবর কেউ রাখে না। সে মন এখন শুকনো চৈত্রের খরা নদী। জলে নেই উপছে পড়া উচভলতার ঢেউ।

তবু ঝরে জল- নদীর বুক ভেসে যায় জলশূণ্যতা তবু। তৃষ্ণায় কাতর মন খুঁজে ফিরে ভালোবাসা। শুধু ভালোবাসার একফোঁটা জল। কিন্তু সে মন চুপসে গেছে তাই আর ভালোবাসাও চায় না। কেউ না আসুক কেউ না বাসুক। সে মন একাকিত্ব বরণ করে নিয়েছে। বিরহ নেই বিষাদ নেই আছে কবিতায় ভরা অথৈ শব্দের ঢেউ আর ঢেউ। এখানেও জোয়ার আছে কথার জোয়ার। তাই এই মনের কাছে কারো আসতে মানা। তুমি ভালো থাকো মেঘ-সবাই ভাল থাকুক। আমি ভাল আছি কি নেই সে জানার কারো অধিকার দিবো না। রোদ্দুর চায় না কেউ জিজ্ঞাস করুক কেমন আছো! রোদ্দুর কাছে এ উত্তর নেই। তাই উত্তর পাবে না কখনো। প্রশ্ন করতে এসোনা।

এসো নাকো মন দুয়ারে
অপেক্ষাতে দাঁড়িয়ে
পারব নাকো দুয়ার খুলে
দিতে এই হাত বাড়িয়ে!

মনের ঘরটি আঁধার কালো
আলো নিভে গেছে
আঁধার নিয়ে একলা একা
আছি আমি বেঁচে।

নিজের মাঝে নিজে আছি
ভালোই আছি সুখে
ফিরে যেয়ো এসে তুমি
মনের দুয়ার ঠুকে!

আজ উঠতে হচ্ছে। সময় খুব অল্প। অনেক কাজ হাতে। আজ অফিস আছে কিন্তু ছুটিতে থাকতে হবে। এখন স্কুলের বারান্দায় বসে আছি আর তোমাকে চিঠি লিখছি। উত্তর দিয়ো, ভালো থেকো তুমি - ভালোবাসা দিয়ো, নিয়ো আসছি -রোদ্দুর।

পুনশ্চঃ বেশি বিজি থাকা ভালা না মেঘ, একবার সময় করে এসো, উড়বো - ডানা লাগিয়ে। নিরাপদে থেকো- অকে

২৪-৯-২০১৬

(কাল্পনিক।চিঠি)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০০
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×