ফিরে আসছি অফিসে - উত্তরা থেকে । হাতে পয়সা যা ছিল - চা পানি আর সিগারেটের পেছনে চলে গিয়েছে - আছে শুধু মাত্র 20 টাকা! অফিস সেই এসকাটন গার্ডেন রোডে । ভাবছি কিভাবে যাবো - হঠাৎ মাথায় এলো কেন না ভোলভো তে চড়ে যাই?
অসম্ভব গরম - টিকিট কেটে পাশের চায়ের দোকানে বসে শেষ 8 টাকা দিয়ে নিজেকে মারবার জন্য ওষুধ কিনলাম। জখন জালাচ্ছি তখন খেয়াল করে দেখলাম দোকানের মহাজন একটা বাচ্চা ছেলে - বড়জোর 12 কি 13 বছর হবে। দেখে একটু খারাপ লাগলো -এক সময় ইচ্ছে ছিল - কোনো এন জি ও খুলবো, এবং এধরনের ছেলেদের কিছু গতি করবার। সময়, কিংবা টাকা - কোনোটাই হয়ে ওঠেনি করবার মত -এরকম যান্ত্রিক জীবনে কি বা করার আছে? আমি একদিন পিছিয়ে গেলে আরেকজন কাজ নিয়ে যাবে - আর কারই বা টাকার দরকার নেই জীবনে? তবু এদের দেখলে হঠাৎ না পারার কষ্ট জেগে ওঠে নিজের মাঝে - এর সাথে আরো অনেক - তবু এটাই মুখ্য। হয়তো এ কারনেই জখনই সময় পাই, কথা বলি। ওনেক টা এসব কারনেই শুরু করলাম কথা -
তারপর ভাইয়া, তুমি কি পড়াশুনা করছ?
নাহ রে ভাই - যখন আমারে ডাকসিল তখন কোইসিল খালি দুপুর টাইম দেখতে হৈব দোকান - এখন তো আমি থাকি সারা সময়!
হমম.. কেন মহাজন আসে না?
হো আহে - সকালে একবার আহে তারপর খাইতে যায়। দুপুরে একবার আহে আবার যায়গা - গিয়া ঘুমায় - তারপর সন্ধ্যাতে আবার আসে হিসাব নিয়া যায়গা!
তাইলে তো পুরা সময় তুমি দেখো!
হো রে ভাই আর কি কৈতাচি এতোখন ধোইরা?
তা সিগারেট খাওয়া পরে নাকি?
ধুর মিয়া কি যে কন - সিগারেট মানুষ খায় দুঃখে - আমার দুঃখ কি?
বলার সময় তার মুখে বেশ একটা বেহেসতী হাসি ছিল।
আমি সিগারেট ফেলে দিলাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



