গত শনিবার জেনেবায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জাই লেভরভ দু’জনে মিলে সিরিয়ার আসাদ সরকারকে পরবর্তী পাচ দিনের মধ্যে তাদের কেমিক্যাল উিইপনসের স্টকপাইলের ঘাটিগুলোর সন্ধান দেয়ার যে চরমপত্র দিয়েছেন তাকে রাশিয়ার কূটনৈতিক সাফল্য বলা যায় । উল্লেখ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট তার জনগনের উপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন এই অপরাধের শাস্তি দেয়ার জন্য আমেরিকা ও বৃটেন যুক্তভাবে সিরিয়ায় হামলা চালাবে । ওবামা বার বার হুমকি দিচ্ছেন সিরিয়ায় মিসাইল হামলা চালানো হবে । সিরিয়ার পক্ষ শক্তভাবে নিয়েছিলেন ইরান। ইরান বলেছিল সিরিয়ায় হামলা হলে ইরানও তার পাল্টা জবাব দেবে। অপর দিকে রাশিয়া ও চীন কূটনৈতিকভাবে এই সমস্যার সমাধানের পথ খুজছিলেন। এই দু’দেশ আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে সিরিয়ায় হামলা হলে তার পরিণতি ভাল হবে না । বজ্জাত আমেরিকা ইরাকেও একই অজুহাতে হামলা চালায়ে সাদ্দাম হোসেনকে মৃত্যুদন্ড দেয় । সেই নাটকটিই সিরিয়ায় মন্ঞ্চস্থ করতে চেয়েছিল আমেরিকা । উদ্দেশ্য ছিল সিরিয়াকে ধ্বংশ করে ইরানকে আক্রমণ করা । কারণ মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে । আর ইরান আমেরিকার তাবেদার নয় । তাই ইসরাইল ও আমেরিকা চায় ইরানকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংশ করতে। আরেকটি কারণ হচ্ছে ইরান ও সিরিয়া প্যালেস্টাইনদেরকে ইসরাইলের হাত থেকে রক্ষার জন্য সাহায্য করে আসছে। সবচেয়ে বিস্ষয়কর ব্যাপার হল ইসরাইল ও আমেরিকার সাথে সাথে সৌদি আরব , কাতার ও কুয়েতের মত মুসলিম দেশও ইরান ও সিরিয়া আক্রমণের জন্য চাপ দিচ্ছে। সৌদির বাদশা ইসরাইলের সাথে গোপন বৈঠক করে ইসরাইলকে সাথে নিয়ে আমেরিকাকে চাপ দিচ্ছে ইরান ও সিরিয়া আক্রমণ করার জন্য । তাই সৌদি সিরিয়ার বিদ্রোহীদেরকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে । সিরিয়ায় কেমিক্যাল হামলাও সৌদিই কাজ । অথচ সৌদি কি না ইসলামের রক্ষক । ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় আমেরিকা ইরানকে ধ্বংশ করার জন্য ইরাকের হাতে কেমিক্যাল অস্ত্র তুলে দিয়েছিল । পরবর্তীতে এই অস্ত্রের অভিযোগেই ইরাককে ধ্বংশ করা হয় । এমনই একটি ঘটনা ঘটতে ছিল সিরিয়ায়ও । ইরাক, আফগানিস্থান ও পাকিস্থানকে ড্রোন হামলায় কার্যত ধ্বংশ করা হয়েছে । এর পরও পশ্চিমাদের ক্ষুধা মেটেনি । এখন ইরান ও সিরিয়াকে ধ্বংশ করার যাবতীয় পায়তারা তৈরী করেছে । প্রশ্ন হচ্ছে সিরিয়া যদি কেমিক্যাল হামলা চালিয়ে নিরপরাধ মানূষ হত্যা করে থাকে তাহলে আমেরিকা প্রসাশন যে মিসাইল হামলা চালাবে তাতে কি সাধারণ মানূষ মৃত্যু বরণ করবে না ? যদি নিরপরাধ মানূষের মঙ্গলই চাই তাহলে মিসাইল হামলা কেন ? আলোচনার মাধ্যমেই তার সমাধান হওয়া উচিত । যেহেতু আমেরিকার উদ্দেশ্য হচ্ছে আসাদের হত্যাসহ সিরিয়াকে ধ্বংশ করে ইরানকে নিশ্চিন্ন করা সেহেতু তারা আলোচনা বাদ দিয়ে সরাসরি মিসাইল হামলার কথা বলছে । এবং এটাই সত্য । শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বিশ্ব আরেকটি ভয়াবহ যুদ্ধ থেকে হয়ত রক্ষা পাবে । প্রেসিডেন্ট ওবামা রাশিয়ার সঙ্গে এই সমঝোতাকে গূরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিনন্দন জানালেও তিনি এবং তার ইউরোপিয়ান ও আরব মিত্ররা জানেন এই সমঝোতার ফলে আমেরিকার যুদ্ধনীতি একটা বড় ধাক্কা খেয়েছে । রাশিয়া কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছে এবং আমেরিকার নীতিকে সাফল্যজনক পশ্চাদপসরণ বলা যায় । সিরিয়ার জনগণ এই সমঝোতাকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং মার্কিন বোমা হামলা থেকে বাচানোর জন্য রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ।
রাশিয়ার আরেকটি কুটনৈতিক সাফল্য অত:পর আমেরিকার পশ্চাদপসরণ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।