somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষের পরে বুদ্ধিমান প্রানী পিঁপড়ে ( পর্ব-৫)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পিঁপড়েদের মধ্যে এক শ্রেণির পিঁপড়ে আছে যাদেরকে সৈনিক পিঁপড়ে বলে। এই সৈনিক পিঁপড়ে আবার কয়েক প্রকার যেমন- আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী পিঁপড়ে, কলোনী নিরাপত্তা পিঁপড়ে, গুদাম নিরাপত্তা পিঁপড়ে, দাঙ্গা পিঁপড়ে, বিশেষ নিরাপত্তা পিঁপড়ে ও শত্রু প্রতিহত পিঁপেড়ে। পিঁপড়া সমাজবদ্ধ প্রাণী। একটি কলোনীতে কয়েক লক্ষ এমনকি কোটি পর্যন্ত পিঁপড়ে থাকতে পারে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী পিঁপড়েরা কলোনীর সার্বকি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। নিজেদের মধ্যে যেন কোন বিশৃঙ্খলা না ঘটে সে দিকে তারা সতর্ক খেয়াল রাখে। পিঁপড়েরা তাদের স্ব-স্ব কাজ ঠিকভাবে করল কিনা সে বিষয়টিও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সৈনিক পিঁপড়ের দেখার দায়িত্ব। দায়িয়ত্বে অবহেলা করলে শাস্তিসহ কলোনী থেকে বহিস্কারের পর্যন্ত বিধান আছে। কলোনীতে আরেক ধরণের পিঁপড়ে আছে যাদের কাজ হচ্ছে কলোনীকে নিরাপত্তা প্রদান করা। বহি শত্রুর আক্রমন থেকে কলোনীকে সুরক্ষা করা তাদের কাজ। কলোনী রক্ষা পিঁপড়েদের একজন প্রধান আছে যার কমান্ডে সৈনিক পিঁপড়ারা কয়েক স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয় তৈরির মাধ্যমে কলোনীকে নিরাপত্তা প্রদান করে। পিঁপড়েরা খাদ্য সংরক্ষন করে রাখে। যখন বর্ষার পানিতে সব কিছু তলিতে যায় তখন এই সংরক্ষিত খাদ্য পিঁপড়েদের ক্ষুধা নিবারণ করে। তাই এই খাদ্য পাহাড়ার জন্য সুদক্ষ বাহিনী থাকা প্রয়োজন। তা না হলে পিঁপড়া জাতি অলস হয়ে যেত কারণ খাদ্য সংগ্রহ না করে সংরক্ষিত খাদ্য চুরি করে খেয়ে ফেলত। গুদাম পাহারার কারণে কোন পিঁপড়ে রাজা ও রানীর হুকুম ছাড়া একটু খাবারও খেতে পারে না। অনেক সময় অন্য প্রানী দ্বারা কলোনী আক্রান্ত হয় অথবা নিজেদের মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হয় সে সময় কলোনীতে এক বিশেষ ধরণের পিঁপড়ে আছে যারা দাঙ্গা পিঁপড়ে নামে পরিচিত তারা বহি: শত্রুর আক্রমণ হতে কলোনীকে রক্ষা করে। তাদের দেহে এক বিশেষ ধরণের পদার্থ থাকে যা ফরমিক এসিড নামে খ্যাত তা কোন প্রানীর দেহে প্রবেশ করলে দেহে জ্বালা শুরু হয়। যখন কোন শত্রু কলোনী আক্রমণ করে তখন দাঙ্গা পিঁপেড়ারা তাদের দেহের ফরমিক এসিড দ্বারা শুত্রুকে প্রতিহত করে কলোনীকে রক্ষা করে। প্রতিটি কলোনীতে রাজা , রানী ও মন্ত্রী থাকে । তাদের নিরাপত্তার জন্যও বিশেষ ধরণের নিরাপত্তা পিঁপড়ে আছে যারা সারাক্ষণ রাজা,রানী ও মন্ত্রীদের নিরাপত্তায় ব্যস্ত থাকে। বন্যার পানিতে যখন মাঠ, ঘাট সব তলিয়ে যায় তখন পিঁপড়েদের কলোনীও পানিতে তলিয়ে যায়। তখন পিঁপড়েদের মধ্যে এক বিশেষ ধরণের বৈজ্ঞানিক পিঁপড়ে আছে তারা সকল পিঁপড়েকে দলা পাকিয়ে ফুটবলের মত করে পানির উপর দিয়ে ভেসে যায়। এতে পিঁপড়েদের কোন ক্ষতি হয় না কারণ চলার সময় ফটবল যেমন গড়িয়ে চলে তেমনি পিঁপড়েদের দলাটিও সে রকম গড়িয়ে চলে। এতে তাদের শ্বসনের কোন অসুবিধে হয় না। কেননা কোন পিঁপড়ে সব সময় নীচে থাকতে হয় না। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নীচের পিঁপড়ে আবার উপরে উঠে আস।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৮
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×