আমি লুঙ্গি পরি না। কারণ, লুঙ্গি পরে কখনই আমার 'কাপড়-চোপর পরার' - আত্মবিশ্বাস হয় না। প্রথমবার লুঙ্গি পরার পরে মনে হয়েছিল, বিবস্ত্র হয়ে হাঁটছি কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেটা কেউ খেয়াল করছে না! .হাজার বছরের এই ঐতিহ্যকে কেন যেন কখনোই নিজের মাঝে ধারণ করতে পারলাম না।
লুঙ্গি নিয়ে আরেকটা কথা কই। ছোটবেলায় হুজুরের কাছে পড়তে গেলে কইত লু্ঙ্গি হাঁটুর উপরে তোলা যাবে না, অজু ছুটে যাবে, কারণ শয়তান ছতর দেখে ফেলবে। এই ভাবনায় প্রতিবার লুঙ্গি গিট দেয়ার আগে ঝাড়া দেয়ার সময় মনে হইত, শয়তানটা আমার মাথার ঠিক উপরে না থাকলেই হয়
আমি অবশ্য গতবার দেশ থেকে ফেরার পথে এয়ারপোর্টে অন্য দৃশ্য দেখেছি। তখন পহেলা বৈশাখ চলছিল। বিমান বন্দরেও দেখলাম পহেলা বৈশাখ বয়ে নিয়ে এসেছে কয়েকটা এমেরিক্যান যুবক। সবাই বাটিকের লুঙ্গী পরিহিত। ওদের চামড়া সাদা হওয়াতে দেখতে অতোটা ভয়ঙ্কর লাগছিল না। আমাদের দেশীদের যেখানে অভ্যেস হচ্ছে প্লেনে ওঠার আগে জীবনের সেরা এবং সবচাইতে জাঁকজমকপূর্ণ পোশাকটি পড়ার (পারতপক্ষে স্যুট-কোট), সেখানে এই বিদেশীদের এমন বঙ্গীয় পোশাকে দেখতে খারাপ লাগছিল না।
যেভাবে পোশাক মিক্সিং হচ্ছে এই দেশে, ফতুঞ্জি(ফতুয়া+পাঞ্জাবি), 'কাতুয়া' - কামিজ আর ফতুয়া মিলিয়ে তৈরি! এমনকি টকশোতেও একজন ডিজাইনারকে বলতে শুনলাম, ওনারা ব্লেজার, ফতুয়া আর পাঞ্জাবী মিলিয়ে নতুন কি একটা পোশাক বাজারজাত করতে যাচ্ছেন - সেটা নাকি ব্যপক আলোড়ন তুলবে!
সো প্যান্ট -লুঙ্গি- পাজামা এইসব নিয়াও ঘবেষনা হওা দরকার!
কোন এক পুরুশবাদি বলিয়াছিলেন,
লজজা নারির ভুষন হইলেও উহা পুরুশের লুঙ্গির ও মতন! চাইলেই খুলে ফেলা যায়না!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




