
তোমার দীপ্ত চোখ আমাকে টানে,
ডাকে কাছে,
নির্ভয়ে, অবাধে।
ওরা আমন্ত্রণ জানায়—
তোমার গভীর, সতেজ সাগরে ডুব দিতে,
যেন এক পতঙ্গ মোহে বিভোর,
অগ্নিশিখায় বিমুগ্ধ হয়ে ছুটে যায়।
তোমার বাঁক ছুঁয়ে যায়,
উসকে দেয় আমার দেহের আগুন—
যেন গ্যাসোলিনে ছোঁড়া একটুখানি স্ফুলিঙ্গ।
তোমার গভীরতা, তোমার ভঙ্গুরতা
জ্বালিয়ে দেয় সেই অগ্নিকুণ্ড—
এক অভিভূত করা অগ্নিসৌধ,
যেখানে প্রেম ও কামনা
মিশে যায় এক নিখুঁত ভারসাম্যে।
নারীসত্তার মৃদু আহ্বান
আমার আত্মায় ফিসফিস করে—
ধূপের ধোঁয়ার মতো,
নীরবে ভেসে বেড়ায় ঘর জুড়ে।
আর আমি অনুভব করি,
আমার পুরুষ সত্তা সাড়া দিচ্ছে,
চায় তোমার সুগন্ধি ফুলকে
পালন করতে, রক্ষা করতে,
যতক্ষণ না সেটি পূর্ণ প্রস্ফুটিত হয়।
এক স্বপ্নের মিলন,
যেখানে এক আত্মা ভয় পায়—
তবুও মুক্তি চায় তার কোকুন থেকে।
আর আমি বিমোহিত,
এই আকাঙ্ক্ষায়—
তোমার দেবদূত-ডানা খুলে দিতে,
মুক্ত করে দিতে সেই প্রজাপতিটিকে
যে তোমার অন্তরে কাঁপে।
তোমার চাওয়া বলার দরকার নেই—
তোমার উষ্ণতা নিজেই কথা বলে,
অগ্নিশিখার মতো
আমার হৃদয়ের সাথে কথা বলে।
আমার প্রিয় দেবী ... আমি জানি,
তুমি কেমন ভালোবাসা চাও, তোমাকে কিভাবে পূজা করতে হয়,
কীভাবে ঢেউ তোলে তোমার আকাঙ্ক্ষা—
আর আমি বলতে এসেছি,
আমি দিতে পারি
তোমার সব চাওয়ার চেয়েও বেশি।
তাই খোলো তোমার অন্তরের দরজা,
খুলো দুঃখের পোশাক,
ছেঁড়ে দাও প্রতিরক্ষা।
আমাকে দাও তোমার লুকোনো স্বর্গের চাবি।
কারণ রোমান্টিকতাই আমার প্রাণ—
আমার রোমান্টিক আত্মা জাগ্রত,
সর্বদা প্রস্তুত তোমার সৌন্দর্য গ্রাস করতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


