somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সারাদিন বহুত খাটা খাটনি করসেন ,বউ বাচ্চা ঘুম,আশেন একটু হাসতে চেস্টা করি (১৮+)

২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কমন পরলে আমার দোষ দিয়েন না জেন।

কিন্তু আমার রাগটা ঠিক এই কারণে নয়
চায়ের দোকানে এলো মফিজ। তাকে রাগে প্রচণ্ড জর্জর দেখাচ্ছে। চায়ের দোকানি হরিপদ ব্যাপারটা খেয়াল করলো। বললো, “হে ঠাকুর! মফিজদা, তোমার এমন রুদ্রমূর্তির কারণ কী গো?”

“আরে বাল, আর বলিস না। আজ আমার গালফেণ্ড মর্জিনার সাথে একটু ফুর্তি করার সুযোগ পেয়েছিলাম।”, রাগে গজগজ করতে করতে বললো মফিজ।

“সে কী গো!! তো ফূর্তি কী একটু বেশিই করে ফেলেচ নাকি দাদা?”

“দ্যাখ, কথা কম বল শালা ঘটিবদনা। মর্জিনা আমাকে যেচে তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে খানাপিনা গিলে, কাপড়চোপড় খুলে যখনই রেডি হলাম, তখনই শুনি দরজায়- খট খট। মর্জিনার খোদার খাসি স্বামীটা সেই চরম মুহুর্তে খোদাই গজবের মত এসে উপস্থিত। আমি কোন উপায় না দেখে জানালা দিয়ে পড়িমড়ি করে বেরিয়ে তার কিছু নিচেই একটা পাইপ ধরে, গুঁটিসুটি হয়ে আন্দামানের বান্দরের মত ঝুলে রইলাম।”

“হে কেষ্ট নারায়ণ। রাধিকার সাথে লীলা কী শুধু তুমি শুধু একাই করবে, এই গোবেচারা মফিজদার দিকে কী একটুও দয়াদৃষ্টি দেবে না?”, দুহাত উচিয়ে বললো হরিপদ।

“কিন্তু আমার রাগটা ঠিক এই কারণে নয়।” ঠোঁটমুখ খিঁচে বললো মফিজ।

“তাহলে কী গো?”

“আরে তার জামাইটাতো মানুষ না, একটা বুনো গয়াল। ঘরে এসে বউকে ন্যাংটো দেখেই মাথা ঘুরে গেল। বললো, ‘সোনা! তুমি আগে থেকেই রেডি হয়ে বসে আছো। দাঁড়াও আমি আমার ফাইলটা একটু খালি করে আসছি।’”,জগতের বিরক্তি মফিজের চোখেমুখে। “বলেই শুয়োরের বাচ্চাটা টয়লেটে যাওয়ার তোয়াক্কা না করে, তার কুঁচকুঁচে কালো দমকলটা বের করে, জানালা দিয়েই ছির ছির করে মুতে দিল। আর সবকিনা এসে পড়ল আমার কপালে।”

“হে ভগবান। এই অবিচারের সময় তুমি কী বৈকুন্ঠে বসে ঘোল খাচ্ছিলে!!” তির্যক মন্তব্য হরিপদ’র।

“কিন্তু যেটা আমাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে, কারণটা কিন্তু সেটা না।” বললো মফিজ।

“অ্যাঁ, তাই নাকি!! তাহলে কী?” শুধালো হরিপদ।

“এর পরের সময়টা আমি শুধু গোঙানি আর ঘোঁতঘোঁত শব্দই শুধু শুনেছি। ওই পটকা মাছটার থপথপানির শব্দে আর মুতের গন্ধে তো আমার মরে যাবার অবস্থা। হঠাৎ শুনি, কোন শব্দ নেই। মানে তাদের দুই-নম্বরী শেষ।”

“আহাহাহা, ভগবানের কী নিষ্ঠুর বিচার বল! মাখন খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুরটা তো আমাদের মফুদাও তুলতে পারতো! কিন্তু যাই বল দাদা, লীলাকর্মের আঃ উঃ শব্দ শুনলেও কিন্তু মোদ্দা আনন্দই পাওয়া যায়।”, বললো হরিপদ।

“আরে ধুর ব্যাটা। সবকিছু শেষ হবার পরেই দেখি একটা কণ্ডম জানলা দিয়ে উড়ে আসলো। আর সেই গা ঘিনঘিনে বীর্যভর্তি কণ্ডমটা এসে পড়ল কিনা ঠিক আমার মুখের উপর।”

“অ্যাঁ…..হরি হরি, আমায় তুলে নাও, শ্মশানে পাঠাও!”, হরিপদ পেরেশান হয়ে গেল যেন।

“কিন্তু আমার ক্রোধের প্রকৃত কারণ কিন্তু এটাও না”, চোখ পাকিয়ে বললো মফিজ।

“অ্যাঁ। এটাও না!!”

“চোখ-মুখ খিঁচিয়ে ঝুলতে ঝুলতে কিছুক্ষন পরেই শুনি মাতৃধর্ষকটা বলছে, ‘সোনা, তোমার উপর চড়তে চড়তে তো আমার পেটে হাগুই চড়ে গেছে, যাই একটু হাগুটা সেরে আসি।’ ”

“হুঁ, তা তো করবেই। ভৎস্যন্যের কামসূত্রেও নাকি, কামক্রিয়ার পর একেবারে ভুঁড়ি নিংড়ে হাগদে বলা হয়েচে দাদা।”

“আরে, হাগবি তো হাগ।" রেগেমেগে বললো মফিজ। "টয়লেটে কমোড ভাঙ্গা তো বিছানার উপরে হাগ, নইলে পলিথিনে হেগে ফ্রিজে ভরে রাখ। তা না করে সে কিনা, তার হোঁৎকা পাছাটা জানালার ধারে এলিয়ে দিয়ে আমার মাথার উপরই ভঁতভঁত করে হেগে দিল!!!”

“মা দুগগা, দুগগা, দুগগা!!, মানুষের এত কাণ্ডজ্ঞানশুণ্য বা পায়ুজ্ঞানশুণ্য হওয়াও কি সম্ভব?

“কিন্তু, বিশ্বাস কর হরিপদ, এইটাও সেই কারণটা না, যার কারণে আমি ক্রুদ্ধ।”

এবার হরিপদ চোখ বড় বড় করে তাকালো। মৃদু স্বরে বললো, “তবে কী গো দাদা??”

“আমার মাথা রাগে-ক্ষোভে-ক্রোধে তখনই ফেটে যেতে নিয়েছিল, যখন আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম…বাসাটা একতলা।”


অমন নাচানাচি
এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ফুটবল ম্যাচ দেখতে গেছেন। ভদ্রলোকের স্ত্রী আগে কখনো ফুটবল খেলা দেখেননি।
স্ত্রী: মাঠের পাশে ওই মেয়েগুলো অমন নাচানাচি করছে কেন?
ভদ্রলোক: ওরা হলো চিয়ারলিডার। ওরা দর্শকদের আর খেলোয়াড়দের আনন্দ দেয়।
স্ত্রী: কেন? মাঠের পাশে খেলোয়াড়দের বসার জায়গার সামনে স্যুট-কোট পরা যে লোকটা লম্ফঝম্প করছেন, উনিই কি যথেষ্ট নন?

তুমি ফেসবুক চালাও নাকি??
গৃহকর্ত্রী : তুমি গত তিন দিন কাজে আসোনাই ক্যান??
কাজের বুয়া: আমিতো ফেসবুক এ স্ট্যাটাস দিসিলাম যে আমি বাড়িযাচ্ছি...।
গৃহকর্ত্রী : ও'মা, তুমি ফেসবুক চালাও নাকি??
কাজের বুয়া: ক্যান, আপনি জানেন না? আপনার জামাইতো কমেন্টও দিসে - 'miss u'!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৪৭
১৭টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×