somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গ : টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ।

১৪ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জ্ঞাতার্থে

১০ মে ২০০৯ "টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ।"শীরণামে ইমন১৯২৪ ভাইয়ের একিট কলাম লিখেন সামেহায়ার-ইন- ব্লগে লেখাটি খুব ভালো ও তথ্য বহুল।আমার প্রিয় লেখার তালিকা ভুক্ত করতে বিলম্ব করলাম না।
Click This Link

দুৎখজনক ভাবে লেখাটি অতিবিলম্ব আমার চোখে পরে।মন্তব্যের ঘরে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করলে বেশির ভাগ পাঠকরে চোখে বিষয়গুরো এরিয়ে যেতে পারে বলে আমি আমার নতুন ব্লগে কিছু লিখতে বসলাম।

আমার উপলদ্ধি:

উপরের লিংকের "টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ।"শীরণামে ইমন১৯২৪ ভাইয়ের সুপাঠ্য লেখাটির কয়েকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন না করে পারছি না।

এক:
সরকারের নিশ্চুপতা বলতে আমরা যদি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কে শুধু মাত্র বুঝে থাকি তা হলে বিরাট ভুল করা হবে। ভারত বিগত এক-দুই বছরে এ পরিকল্পনা হাতে নেয়নি, বিষয় টি আরও অনেক পুরাতন। মনিপুর রাজ্যের জনগণ বহু আগ থেকে লড়াই করে আসছে। নিচের লিংক এ দেখুন সে রকম একটি ২০০৬ সালের চিত্র



প্রশ্ন আসে বিগত বি এন পি জামাত জোট সরকার কিংবা দু'বছরের সেনা মদদপুষ্ট কেয়ার টেকার সরকার কি করেছে। কিংবা সে সময়ের বিরোধী দলের ভূমিকা কি?

দুই:
সরকার পরিবর্তন হয়েছে সত্য ; কিন্ত পানি সম্পদ সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রানালয়ের আমলারা কি নিয়মিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেনি।এটা বিশ্বাস যোগ্য নয়।Institute of Water Modelling নামক পানি উন্নয়ন বোর্ডে সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ২০০৫ সালে এ বিষয়ে একটা গবেষনা পরিচালনা করে।আসা রাখি খুব মীগ্রই উক্ত প্রতিবদেনের বিস্তারিত নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হতে পারবো। WARPO ২০০৭ সালে একটা গবেষনা চারিয়েছে সরকারের অর্থে।

তিন:

"টিপাইমুখ বাঁধ সম্পন্ন হলে, বাংলাদেশের সুরমা-কুশিয়ারা ও মেঘনার ধারা মরে যাবে। গোটা সিলেট অঞ্চলে নেমে আসবে প্রাকৃতিক মহাবিপর্যয়। এজন্য সিলেটের দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের নাগরিকরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ পর্যন্ত করেছে। তবে সরকার এ ধরনের জাতীয় ইস্যুতে জনগণের প্রতিবাদের মধ্যে রাজনীতির গন্ধ শুঁকতে শুরু করেছে। অর্থাৎ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে দেশব্যাপী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো যেসব কর্মসূচি নেবার কথা ভাবছে, সরকার তাকে দেশের রাজনৈতিক স্থিতি বিনষ্ট, বন্ধু দেশের সাথে সম্পর্ক খারাপ করে তোলা এবং সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছে।"

লেখককের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে কিছু বলার প্রয়োজন। টিপাই মুখ বাঁধ ইসুতে গণজারন ঘটানোর অন্য কোন বিকল্প নেই। ভারত এ বিষয়ে এতো বেশি অগ্রসর হয়ে গেছে এবং উত্তর ভারতে টিপাইমুখ ব্যারেজ নিয়ে গণ আন্দোলন এতো বেশি অগ্রসর হয়ে গেছে যে , এ অবস্থায় পিছিয়ে
আশা ভারতের আভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য বিরাট সহজ কথা নয়। জাতিসংঘের মতো ফোরামেআরোচনা করে খুব একটা পর পাওয়া যাবে না। এ ধরণের উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু মাত্র ক্ষমতাশীনরা বাহবা কুড়াতে পারে।সুতরাং , গণ আন্দোলন গড়ে তোলার কোন বিকল্প নাই। এ গণ আন্দোলনের জোয়ার বাংরাদেশের ৫৫৬০০ বর্গ মাইরল সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। যুক্ত করতে হবে সারা বিশ্বের পরিবেশ সচেতন মানুষ কে । এ আন্দোলনের বিপুলতা চিন্তা করতে আমাদের ভারতের ভূখন্ডের দিকেই তাকাতে হবে " নর্মদা বাচাও আন্দোলন" আমাদের শিক্ষার উৎস হতে পারে।

চার
আমার জানা মতে,১৭ হতে ১৯ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত 'Regional Cooperation on Transboundary Rivers: Impact of the Indian River-Linking Project' শর্ষিক কনফারেন্স প্রথম বারের মত 'টিপাইমুখ ব্যারেজের বিষয় টি আলোচনায় আসে। অন্তত প্রথম আমার চোখে আসে।

তার পরবর্তীতে তৎকালীন বিএনপি জামাত সরকারের কোন উদ্যোগ আমরা লক্ষ্য করি নি। কিংবা বিরোদী দল আওয়ামী লীগ ও নিরব ছিল। " টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ।" বলতে বৃহৎ সকল রাজনৈতিক দলের নিরবতা কে বুঝায়।

আজ আমি কয়েকটি দলের নির্বাচনী ইমতেহার এ চোখ বুললাম। না চারদরীয় জোট না মহাজোট কারও নির্বাচনী ইশতেহারে এ সংক্রান্ত কোন বক্তব্য খুজে পেলাম না।

উপসংহার

সুতরাং, টিপাইমুখ বাধকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার বাইরে কোন রাজনৈতিক শক্তি সংর্কীণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের যে প্রয়াস চালাতে চাইবে না , তা কিন্তু ভাবা যায় না।কেউ ভারত প্রীতি আবার কেউ সস্তা বারত বিরোধীতার শ্লোগান তুলে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলের চেস্টা করলে তা 'টুপাইমুখ ব্যারেজ' প্রতিরোধ আন্দোলনের মূলে কুঠারাঘাত করা হবে।


পাদটিকা

উল্লেখ্য দুই জোটের মেরুকরণের বাইরে একটি বাম রাজনেতিক দল তাদের সীমিত শক্তিতে ২০০৫ সালের প্রথম থেকে যে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে তা উল্লেখ না করলে অন্যায় হবে। তাদের নির্কাচনী ইশতেহারেও সংশ্রিষ্ট বিষয়ে পরিস্কার বক্তব্য রয়েছে।অনুসন্ধিসুরা 'দা ডেইলি স্টারের' ২ মার্চ সংখ্যায় একরা চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেন। নিচের লিংক

Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×