ফেব্রুয়ারি আসে, একটু নড়ে চড়ে বসা হয়। বইমেলা ব্যাপারটাই আলাদা। বেকুবের বাক্সে সরাসরি বইমেলা। নতুন বইএর গন্ধ, টি. এস. সি., বইএর সাথে একটি গোলাপ ফুল কম্বিনেষনে, প্রিয়জনের দিলখোষ। মুখরিত শাহবাগ এলাকা। এবার অপেক্ষায় ফাল্গুনএর। আগুন রান্গা দিনে আগুন হয়ে সামনে হাজীর হবে সে। বুকের ভেতর ধুকপুক। তার পরের দিন ত ভালবাসার জন্যেই বরাদ্দ। বেকুবের বাক্সে মাতামাতি, ন্যাকামো, ক্যামেরার তিলিসমাতি। ভালবাসায় ভালবাসাবাসি, ভালোলাগায় মাখামাখি। তারপর দিন যায়, একুশ আমার চেতনায়। ফুলে ফুলেল ফুলকুমারি। সাদাকালোয় শুভ্রতা। আবারও বেকুবের বাক্সে রফিক, সালাম, জব্বার, বরকতরা। আমি কি ভুলিতে পারি? একুশ গেলে, এবার কি তাহলে। প্রগতিশীল বান্গালী পায়না উৎসবের খো্ঁজ। ফিরে যাওয়া বইমেলায়, শেষের রোজ রোজ।
......৫৭ জন তুখড় সেনা কর্মকর্তার লাশের উপর দাড়িয়ে এনজয় ফেব্রুয়ারি। কবর কথা বলে না, বলে টেলিভিষন নামের বেকুবের বাক্স। এনজয় ফেব্রুয়ারি। রক্তে কোনও আলোড়ন হয় না আমার, তোমার। ২৫ আসে ওদের স্বরণ করি। আমাদের দয়া করে স্বরণ করা পিলখানা হত্যাকান্ড দিবস। ৫৭ জন নির্দোষ বীরের হতবাক চলে যাওয়া একটি দিবস হয়ে রয় মাত্র। সবচেয়ে নিক্রিষ্ঠতম বুদ্ধিজীবি হত্যায় আমরা উৎসব মুখর জাতি কোনও উৎসবের গন্ধ পাই না। আমরা বিবেকহীন, লজ্জাহীন, মেরুদন্ডহীন... ২৫শে ফেব্রুয়ারি যোদি ক্যালেন্ডার থেকে মুছে দেয়া যেত, তাহলে হয়ত অন্তত সেই বীর দের আমরা বাৎসরিক অপমান থেকে মুক্তি দিতে পারতাম, যা আমার, আমাদের নির্লজ্য অক্ষমতার লিস্ট কে সমৃদ্ধ করে মাত্র..

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



