মিয়ানমারের দাঙ্গাকবলিত সীমান্ত শহর মংডু ও আকিয়াবের মুসলিম অধ্যুষিত পাড়া-মহল্লাগুলোতে নতুন করে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ খবরে জানা যায়, সশস্ত্র রাখাইনরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের এলাকাগুলো ঘিরে রেখেছে এবং প্রধান সড়ক ও চৌরাস্তায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। ভীত-সন্ত্রস্ত রোহিঙ্গারা নিজ নিজ ঘরে আতঙ্কের মাঝে দিন কাটাচ্ছে। মুসলমান পুরুষরা জীবন বাঁচাতে ঘর-বাড়ি ছাড়ায় তাদের পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
বৃহস্পতিবার রাখাইনদের ধর্মীয় নেতারা বাথিডং থানায় একত্রিত হয়ে ঘোষণা দেয় আরাকান রাজ্যে মুসলমান রোহিঙ্গাদের আবাস থাকতে দেয়া হবে না। এ ঘোষণার পর শুক্রবার সকাল থেকেই মুসলিম পাড়াগুলো ঘিরে ফেলেছে সশস্ত্র রাখাইনরা। এলাকায় পুলিশ বা সেনা বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও তারা রাখাইনদের বাঁধা দিচ্ছে না।
ওদিকে, প্রায় চার মাস ধরে সহিংসতার শিকার হয়ে অনেকেই জীবন রক্ষার জন্য বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাকিরা নিজ ঘর-বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে আতঙ্কের মাঝে দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে মুসলিমবিরোধী রাখাইনদের অস্ত্র সজ্জিত করার আরো খবর আসছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা সীমান্তবর্তী ১ ও ২ নম্বর সেক্টরের গ্রামগুলোর প্রতিটি গ্রামে ১০টি করে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছে। মংডুর দক্ষিণে ম্রাওয়াড্ডি ও জামাড্ডা গ্রামে রাখাইন যুবকদের হাতে ১৫টি করে অস্ত্র দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মার্জালি পাড়ায় আলী মদন নামের এক ব্যক্তিকে খুঁজতে গিয়ে না পেয়ে তার স্ত্রী ও তরুণী কন্যাকে ধরে নিয়ে যায় ৫৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা। তাদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং পরে দু’লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
একইভাবে ওই গ্রামের মৌলভী আমনুল্লাহকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও সদ্যজাত শিশুকে সেনা ক্যম্পে নিয়ে আটকে রাখা হয়। তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসে স্বজনরা।
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




