সারা বিশ্ব জুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা ছড়িয়ে পড়েছে, আমাদের দেশেও তার প্রভাব এসে পড়ছে। পৃথিবীর অনেক বড় বড় কোম্পানী ইতিমধ্যেই দেউলিয়া। ফোর্ড কোম্পানীর লাল বাতি জ্বলে গেছে। এক বন্ধুর কাছে জানতে চাইলে সে বলল, আমেরিকায় নাকি মানুষ জন পেপার রাখাও বন্ধ করে দিয়েছে, নিউ ইয়র্ক টাইমস এর মত পত্রিকা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার চিন্তা ভাবনা করছে। লোকের পত্রিকা রাখারই পয়সা নেই, গাড়ি কিনবে কোথা থেকে??
আমাদের দেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে এখনি বোধহয় এর প্রভাব লাগা শুরু হয়েছে। সম্ভবত তারা তাদের কর্মী ছাটাইও শুরু করে দিয়েছে, যদিও আমি এখনো এর কোন প্রমাণ পাইনি।
তবে আইটি ফার্মগুলোর অবস্থা আসলেই খারাপ। কয়েক মাস আগেও আমাদের আইটি সেক্টর ছিল রমরমা, আর এখন অনেক ফার্মই নতুন কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, এমনকি পুরোনোদেরকেও নাকি ছাঁটাই করার চিন্তা ভাবনা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে যারা স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে যেতে আগ্রহী ছিলেন, তারাও নাকি বাইরের ভার্সিটিগুলো থেকে প্রয়োজনীয় ফান্ডিং পাচ্ছেন না। আমেরিকাতে অনেকেই বেকার হয়ে যাওয়াতে তারা এখন মাস্টার্স, পিএইচডি করার দিকে ঝুঁকছেন, ফলে ফান্ড দেওয়ার সময় তাদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই পত্রিকাতে দেখলাম, দেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো সরকারের কাছে বিশাল পরিমাণের টাকা বিজনেস স্টিমুলেশন হিসেবে চাচ্ছে। সরকার এত টাকা কোথা থেকে দেবে, কে জানে।
আবার দেখলাম সার কারখানাগুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যাতে গ্যাসের অপচয় কমিয়ে সেই গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। এমনিতেই সারের মওসুমে সার ঠিকমত পাওয়া যায় না, এইবার যে কি হবে, তা আমি মাথাতেই আনতে পারছি না।
সব মিলিয়ে আমার মনে হ্ল, আমরা এখন এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
আমি সকল ব্লগার ভাই ও বোনদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন বাসায় শুধুমাত্র একটি ম্যাচের কাঠি বাঁচানোর জন্য তাদের গ্যাসের চুলাটা জ্বালিয়ে না রাখে। এতে মনে হয় আমরা অপচয় কিছুটা হলেও বাঁচাতে পারব।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



