somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুধু মজা নিলেই হবে?

০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নারায়ণগঞ্জ তো সেই কবে থেকেই শামিম ওসমান সাহেবের বাপ দাদার সম্পত্তি। তার কথা বলার ধরন দেখলে কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। তার এলাকায় তিনি কোন সন্ত্রাসী থাকতে দেবেননা, তিনি একাই থাকবেন। ;) তার এলাকায় কোন মাদক ব্যাবসা চলবে না, তিনি যদি সেখানে পার্টনার না হন।

তিনি তো এলাকার এম পি কেও হুমকি দিতে ছাড়েননা। কবরী ম্যাডাম যদিও কম না। লবিং আর দুর্নীতিতে তিনিও বেশ পাকা প্রমাণ করেছেন নিজেকে। যাই হোক তারপরেও একজন এম পি কে হুমকি দেয়ার শক্তির উৎস কি তা মনে হয় কিছুটা আন্দাজ করা যায়।

ডাঃ আইভি মেয়র হওয়ার পর ওসমান সাহেবের এর কর্মকাণ্ড একটু “পোতায়ে” যায়। এই সাহসী ও সৎ (মনে হয় তো তাই। যদিও আজকাল আর কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয়না। সবাইকেই পলটি-শিয়ান মনে হয়। ) মহিলার সাথে ভয় দিয়ে কাজ করতে না পেরে ওসমান ভাই একটু বেকায়দায় পড়ে যান আর কি!

তবে দুইজন একই দলের লেঞ্জা ধরে আছেন। এতগুলো লাশ যে পাওয়া গেল তাও তাদের দল বা দলের সাথে জড়িত লোকজন। তারাও খুনিদের বিচারের কথা বলে যাচ্ছেন। আওয়ামীলীগ ও আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। কথা হল নারায়ণগঞ্জ এমন একটা এলাকা যেখানে এত বড় কিছু ঘটবে তাও নিজের দলের মাঝে আর এলাকার মাথারা জানবেন না তা মানতে একটু কষ্ট হয়। তাছাড়া শামিম সাহেব তো নিজেই বলেন তার অগোচরে নারায়ণগঞ্জে কারো ঢোকার সাহস নাই । :P

সরকার ও ধরতে পারল না এখনো এই নাটকের পরিচালককে। পুলিশ, র্যা ব আর ডিজিএফআই দিয়েও কাজ হলনা যারা কিনা এর চেয়েও বড় বড় নাটকের গল্প ফাঁস করেন আশ্চর্য দ্রুততায়!!! সবকিছুতেই কি আর বিরোধী দলকে দোষ দিলে হবে? সব কিছুতেই কি আর তদন্ত কমিটি আর বিউটি কুইন সাহেরা খাতুন এর “২৪ ঘণ্টার মাঝে ধরা হবে” চলবে? নারায়ণগঞ্জ এ গদফাদার আছেই কয়টা!?

এত পাশ কাটিয়ে গেলে কিভাবে হয়? ঘটনা তো কম ঘটল না গত ৬ বছরে। সরকারে থেকে শুধু মজা নিলেই হবে দায়িত্ব নিতে হবেনা? একটা গল্প একটু বিকৃত করে বলি (সুশীলদের জন্য নহে)।

এক ২ বছরের বাচ্চাকে আশ্রমে দিয়ে দেয়া হল তপস্যা করে বড় গুরু হওয়ার জন্য। সেখানে সব মোহ মায়া থেকে দূরে থেকে তিনি ৩০ বছর তপস্যা করলেন। একদিন ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ছিলেন। এক রূপসী ষোড়শী হোঁচট খেয়ে তার উপর এসে পড়ল। চোখ খুলে দেখে তিনি একটু থতমত খেয়ে ভাবলেন ‘ইহা কি জিনিস? এমন তো আগে দেখিনি।’ একটু স্পর্শ, কিছু কথা ঘটনাক্রমে আদিম খেলায় রূপ নিল। খেলা শেষে ষোড়শী চলে যেতেই তিনি ভগবান কে বললেন, “ হে ভগবান এত সুখ যে এতদিন আমার কাছে লুকাই রাখলা তাহলে এক কাজ কর আমার এতদিনের তপস্যার ফল হিসেবে এই সাধন দণ্ড আমার সারা শরীরে দিয়ে দাও যাতে আমি বাকি পড়া সুখ ও উসুল করতে পারি।” ভগবান তার আশা পূর্ণ করে দিলেন। সাধু সাহেব ও এই অবস্থায় লোকালয়ের দিকে দৌড় লাগালেন। যে রূপসী দেখেন দৌড়ে তার দিকে যান। কিন্তু সবাই ভয়ে পালায়। আর সারা শরীরে এমন সাধনদণ্ড দেখে লোকেরা কিছুই বুঝল না ভাবল হয়ত কোন রোগ। তারা ঢিল ছুড়তে শুরু করল।

সাধু পালিয়ে আবার তপস্যার জায়গায় এসে ভগবানকে জিজ্ঞেস করলেন যে এমন কেন ঘটল।

ভগবান বললেন, “তুমি সাধন- দণ্ডের বর নিয়েই চলে গেলে। সাথে যে থলেটা ঝুলে থাকে, যা বীর্য উৎপাদন করে সেটাও তো দরকার। ওইটা না থাকায় তো কেউ বুঝেনি তোমার গায়ে ওগুলো কি। শুধু মজা নিলেই কি হবে? You have to take the reponsibility. ” :P

বিঃ দ্রঃ আওয়ামীলীগ কে নিয়ে কিছু লিখলে আজকাল অনেকে ছাগু বলে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে, একজন আওয়ামী ভোটার হিসেবে, একজন প্রাক্তন ছাত্রলিগার হিসেবে নাহয় মেনে নিলাম যে আমি ছাগু। কোথায় যেন পরেছিলাম “তুমি মহারাজ চেতনাবাজ হলে আজ, আমি আজ ছাগু বটে!”
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×