খাঁটি সোনায় গয়না হয় না, ভেজাল দিতে হয় । একইভাবে খাঁটি সত্যি কথায় নারীর মন পাওয়া যায় না, পরিমানমতো মিথ্যা মিশাতে হয় তাতে ।
হ্যাঁ, হাদিসও সমর্থন করে এ কথাকে । মুসলিম শরীফে এসেছে, রাসুল (সা) বলেছেন, তিন পরিস্থিতিতে মিথ্যা একসেপ্টেবল । এক—বিবাদে লিপ্ত দুই দলের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করতে । দুই—যুদ্ধের ময়দানে ফলাফলকে অনুকূলে আনতে । তিন—দাম্পত্য জীবনকে মধুময় কিংবা তিক্ততামুক্ত রাখতে ।
অথচ শিশুর সাথেও মিথ্যা বলা বারণ । প্রাণীর সাথেও মিথ্যা অভিনয় করে প্রতারণা করা যাবে না । সহিহ্ হাদিসেই আছে এসব নিষেধাজ্ঞার কথা ।
--বাবু, কাছে আসো, একটা জিনিস দেবো ।
কিন্তু কাছে এসে শিশু দেখলো তাকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ডাকা হয়েছে ।
--এ দিকে আয়, কিছু করবো না ।
অবুঝ শিশুকে আশ্বাস দিলেন এভাবে । কিন্তু আপনাকে সরল মনে বিশ্বাস করে শিশু কাছে আসার পর কথা রাখলেন না, দিলেন রাম ধোলাই । হাদিসে এমন নির্দোষ মনে হওয়া মিথ্যারও অনুমতি নেই ।
হাতের মুঠোতে খাবার লুকিয়ে রাখার ভান করে অবোধ হাস-মুরগী কিংবা কোন পশু-পাখিকে প্রলুদ্ধ করার মাধ্যমে কাছে ডেকে তাকে খপ করে ধরে ফেললেন । এই প্রতারণাটুকুর অনুমোদনও দেয় না ইসলাম ।
অবুঝ শিশু আর অবোধ পশু-পাখির সাথে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া বারণ । কিন্তু এডাল্ট নারী পুরুষের সাথে মিথ্যা বলার অবকাশ রাখা হয়েছে । কি অদ্ভূত, তাই না ?
তবে সংসারে সুখ রক্ষায় স্ত্রী স্বামীর সাথে যতটা না মিথ্যা বলে, তারচে বেশী মিথ্যা স্বামীকেই বলতে হয় স্ত্রীর সাথে ।
--জানু, তুমি আমার অক্সিজেন । তোমাকে ছাড়া আমি কোথাও গিয়ে একদিনও শান্তিতে থাকতে পারি না ।
--বেহেশতেও যদি যাই, তোমাকে আমি মিস করবো, ডার্লিং ।
--বিলিভ মী, তোমার রান্না ছাড়া অন্য কারো রান্নায় পেট ভরলেও, আমার মন ভরে না একদমই ।
এ ধরনের দু চারটা নির্দোষ কিন্তু রসালো মিথ্যা দিয়ে বউদেরকে সংসার নামক শ্রমশিবিরে চাঙ্গা রাখার পুরুষালী চেষ্টা মোটেও দোষের কিছু হবে না হাদিস অনুযায়ি ।
তবে সাবধান, মিথ্যা প্রশংসা হচ্ছে লবনের মতো । পরিমানমতো হলে স্বাদবর্ধক, মাত্রা ছাড়ালে হিতে বিপরীত ।
আর, নারীরা জটিল জিনিস । কুরআন এবং হাদিস বলে, পুরুষের পাঁজরের বাঁকা হাড় দিয়ে তৈরী প্রডাক্ট তারা । কোয়াইট ইনফ্লেক্সিবল । ভাঙবে, বাট মচকাবে না ।
দে আর ভেরী ফ্র্যাজাইল । সো, হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৪২