আবোল তাবোল হিজিবিজি ... ...
আজ নিজের ব্যবচ্ছেদে নেমে পড়লাম। একটা কথা মানতেই হবে, বাস্তব জীবনে ব্যস্ততা যার যত বেশী, ভার্চুয়াল জগতে তার সময়ের তত আকাল। আর, একটা বিশাল কমিউনিটি ব্লগে যথেষ্ট সময় না দেয়া, যথেষ্ট ইন্টারঅ্যাকশনে না যাওয়া - একজন ব্লগারকে দীর্ঘ সময় পরেও মোটামুটি অচেনাই রেখে দেয়। ঘরকুণো লোক - বাস্তবে হোক কিম্বা ভার্চুয়াল, অশ্রুতই থেকে যায়।
মাঝে সামুটা বড্ড বেশী ক্যাচালসর্বস্ব হয়ে উঠছিল, এখন মনে হয় কিছুটা থিতু হয়েছে। প্রায়ই অনেককে আফসোস কিম্বা অভিযোগ করতে শুনি, আগের মত কোয়ালিটি পোস্ট এখন আর আসে না। এখানে একটু দ্বিমত। কোয়ালিটি পোস্ট বলতে যেরকম পোস্ট প্রত্যাশিত, সেরকম পোস্ট গুচ্ছাকারে আসবে - এমনটা আশা করাও হয়তো ঠিক না। পাঁচ দশটা সাধারণ মানের পোস্টের পর একটা ভাল পোস্ট - অনেকদিন মনে রাখার মত লেখা আশা করা যায়। হ্যাঁ, এটা ঠিক, প্রাপ্তি প্রত্যাশা অনুপাতে একটু কমই।
প্রথম যখন সামুর সম্পর্কে জেনেছিলাম, তখনও রেজি করাইনি, মাঝে মাঝে এক আধটু পড়তাম - চমৎকার বেশ কিছু লেখা পড়েছিলাম। এখনও ভাসা ভাসা মনে আছে। এরপর দীর্ঘ সময় ওয়াচে থাকাকালীন পরিবর্তনের হাওয়া টের পেলাম। যতদিনে সেফ হলাম, এখানে তখন তুমুল লঙ্কাকান্ড অবস্থা - এ ওর নামে পোস্ট, নর্দমার কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি, গালিগালাজ, স্প্যামিং, ব্লগ-প্রতারণা - সব মিলিয়ে, কেমন যেন অসুস্থ, দুর্বিষহ একটা পরিবেশ।
ব্লগে কি থাকবে আর কি না থাকবে, সেটা নির্ধারণ করার আমি কেউ নই। তবে হ্যাঁ, একজন সাধারণ, অপাংক্তেয় এবং প্রায় অচেনা একজন ব্লগার হলেও, অন্তত নিজের মতামত হয়তো ব্যক্ত করতে পারি, আর সেটা হল, বিজ্ঞাপন মার্কা পোস্ট নিরুৎসাহিত করা উচিৎ। অনলাইনে আয় কিম্বা ডেসটিনি কিম্বা এরকম আরও অনেক আবজাব - মনে হয় সংকলিত পাতার স্পেসের অপচয়।
তবে সামুকে এখন বিকল্প নিউজ মিডিয়া বললে ভুল হবে না। বেশ কিছু সাম্প্রতিক ইস্যুতে সংবাদ মাধ্যমের তাঁবেদারীবৃত্তি আর এর বিপরীতে ব্লগের বলিষ্ঠ ভূমিকায় সামুর ঔজ্জ্বল্য ছিল দৃষ্টিনন্দন।
এখানে থেকে আরো কিছু বিষয়ে উপলব্ধি হয়েছে। আমরা যারা ব্লগে লিখছি বা লিখতে শেখার চেষ্টা করছি, আমাদের অনেকের মাঝে, (সবার মাঝে নয় কিন্তু) তিনটি সমস্যা প্রকট। এক, এলিটিসম - এর বাংলা হিসেবে “আভিজাত্য” নয়, “উন্নাসিকতা”ই বেশী মানানসই। এই ‘মুই কি হনু রে’ মানসিকতার জন্য অনেকেই সমালোচনা সহজভাবে নিতে পারেন না, স্বাভাবিক গঠনমূলক আলোচনাও বিষাক্ত মনে হয় কারও কারও। দুই, জেনারালাইজেশন। গড়পড়তাভাবে দোষারোপ করে তালগাছবাদী মানসিকতাও অনেক তিক্ততার জন্ম দিয়েছে। এসব বেশী দেখা যায় নারীর বিরুদ্ধে, যেমন, কোথাও কোন এক মডেলের সংক্ষিপ্ত পোশাকের ছবি তুলে দিয়ে দাবী কিম্বা আহাজারি করা হয়, পুরো দেশের আপামর নারী সমাজ ঐ স্রোতের অনুগামী! তিন, এইটা আমার মধ্যেও দীর্ঘদিন ছিল - একটা ভুল ধারণা পোষণ করা যে, পোস্টে মন্তব্যের সংখ্যা বাড়া মানেই ব্লগীয় সেলিব্রিটি হয়ে যাওয়া। বরং, সংখ্যার চেয়ে মন্তব্যের মান আর বিষয়বস্তুই মুখ্য হওয়া উচিত। (এক্ষেত্রে আমি নিজে অবশ্য দরিদ্রতম, একদম ক্লিশে, আফসোস!)
এছাড়া আমরা অনেকেই খুব একটা কমফোর্ট জোনের বাইরে যেতে চাই না। নতুন অনেক ব্লগারের অনেক পোস্ট হয়তো অগভীর, চটুলতা সর্বস্ব কিম্বা অন্তঃস্বারশূন্য হতে পারে - কিন্তু এদের মধ্যে অনেকেই আবার অসাধারণ লিখেও ব্লগার-চক্ষুর অন্তরালেই থেকে যাচ্ছেন। পুরনো নামী ব্লগারদের মধ্যেই দেখা যায় আমাদের অনেকের বিচরণ সীমিত।
আরেকটা ব্যাপার দেখি, যেটা এলিটিসমের বিপরীত। এটা হল তৈলবৃত্তি। নিজের পোস্ট দেয়ার আগে পরেই শুধু অল্প সময়ের জন্য সমসাময়িক সব পোস্টে ধুমধাম হুমহাম করে, আবার হারিয়ে যাওয়া। আর এই সন হুমহামের মধ্যেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মৌলিক চিন্তার প্রকাশ দেখা যায় না। “হুম”/ “ভাল লেগেছে”/ “পিলাচ” - এরকম দায়সারা কমেন্ট দিয়ে, অথবা অন্য কারও প্রাগুক্ত কমেন্ট হুবুহু কপি পেস্ট করে পোস্টদাতার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা! (অবশ্য এই পয়েন্টে আমার সাথে অনেকেরই দ্বিমত থাকতে পারে)
কি লিখতে কি লিখে বসে আছি কে জানে! পাঁচ মিনিট বা তারও কম সময়ের জন্য প্রথম পাতায় থাকা এই পোস্ট ক’জনের চোখে পড়বে কে জানে। তবু, যদি কেউ কষ্ট করে এতদূর এসে থাকেন, তাঁর জন্য একটা বিশাল ধন্যবাদ। আর একটা ছোট্ট খবর, ব্লগের এবং ব্লগের বাইরের বাঘা বাঘা সব লেখকদের অজস্র বইয়ের ভীড়ে, এবার আমারও একটা বই আসছে বইমেলায়। একটা উপন্যাস, নাম “পারভার্ট”। সামুতে এর অনেকগুলো পর্ব ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এটা পাওয়া যাবে শৈলী প্রকাশনের স্টলে। দাম ১৩০টাকা মাত্র।
যার ব্লগে লেখা তেমন কেউ বিনামূল্যেও পড়ে দেখেনি, তার লেখা কেউ বইমেলা থেকে পয়সা দিয়ে কিনে পড়বে - এমন আশা করার ধৃষ্টতা আমার নেই। অযত্ন আর উপেক্ষাই আমার সম্বল হোক। অন্তত এটুক শুভকামনা চাইব, লেখার উদ্যমটা যেন কখনো হারিয়ে না ফেলি।
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।