===================================
বাৎসরিক করযোগ্য আয় না থাকলেও TIN থাকার অপরাধে নির্বিশেষে সবাইকে নূন্যতম দুই হাজার টাকা কর (রাষ্ট্রীয় আইন সিদ্ধ চাঁন্দবাজি) দিতেই হবে। মনিবের পদলেহন করা সুপার-চামচা প্রায় সবস্থানেই পরিলক্ষিত হয়। সেইরকমই কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী চাপিয়ে দেওয়া এই করকে সমর্থন করছেন। এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, ‘আয়কর হিসেবে দুই হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে দিয়ে উন্নয়নে শামিল হওয়া গর্বের ব্যাপার।(প্রথম আলো-০৬-০৬-২০২৩)।
আচ্ছা, না হয় তর্কের খাতিরে ক্ষনিকের তরে মেনে নিলাম দেশের উন্নয়নে সব নাগরিককে অংশগ্রহন করতে হবে (তা কিন্তু ইতিমধ্যেই করছে বিভিন্ন পর্যায়ে মোসক/ভ্যাট/কর প্রদানের মাধ্যেমে)। আমরা আমজনতা না হয় আরো দিবে সেচ্ছায়, গ্যারান্টি দেন যেনো ঘুষ/দূর্নীীত/হয়রানী ছাড়া রাষ্ট্রীয় সেবাগুলো জনগন পাবে।
ব্যারিষ্টার সুমন একটা ভিডিও দেখলাম যেখানে বনানীতে একটা জমি লিজ বাবদ সিটি কর্পোরেশন পাওনা প্রায় ৬০০ কোটি টাকা যা আদায়ে কোন আগ্রহ নাই কারো -
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাবে এই পরিমাণ প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা। (বিবিসি নিউজ বাংলা-২৯-০৫-২০২৩)
সরকারের কোষাগার/ব্যাংক/অফিস খালি করে যাদের কাঁঠাল (পাছা) ফুলে কলাগাছ তারা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অথচ,স্বাধারন কৃষক-শ্রমিক-মজুর-চাকরীজিবী-গৃহিনী যাদের রয়েছে সীমিত সঞ্চয় (ব্যাংক হিসাব/সঞ্চয়পত্র/ডিপোজিট) তাদের আয়ের অবস্থা হাড্ডিসার কঙ্কাল টাইপের হলেও দেশের গর্বিত করদাতা হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯