সকাল সকাল একটা ইমেজ পেলাম ইনবক্সে; একেবারে তাজ্জব বনে যাওয়ার মতো বক্তব্য! একদম সত্যি কথা- কোনো সন্দেহ থাকার সুযোগ নেই- আমিও বক্তব্যের সাথে পুরো একমত।
উত্তরে কি বলা উচিৎ ঠিক বোধগম্য নয়; বোধগম্য নয় এই যে অন্যের জন্য বাঁচা- নিজেকে নিংড়ে দেওয়া- এর ভেতরের কারণটা কী?
ভাবছিলাম অনেক ক্ষণ! পরে অন্যের জন্য বেঁচে থাকার কারণ হিসেবে যা পেলাম- তা আমার ভাবনার জগতে ভিন্নভাবে আঘাত করেছে।
আমার মনে হয় - দুনিয়ায় কেউ কারোর জন্য বাঁচে না; প্রত্যেকে নিজের জন্য- নিজের সুখের জন্য বাঁচে। তবে হ্যাঁ - এই প্রত্যেকের নিজের জন্য বাঁচার প্রয়োজনে প্রত্যেকেরই কাউকে না কাউকে আশ্রয় করে- কাছে নিয়ে- ভালোবেসে বাঁচতে হয়; কারণ একার জন্য বেঁচে ষাট সত্তর কিংবা আশি বছর অথবা তারও বেশি দিন একাকী পার করা সম্ভব না।
আবার 'পৃথিবীতে কেউ পরনির্ভরতা ছাড়া স্বনির্ভর নয়'। তবে কারো ক্ষেত্রে পরনির্ভরতা বেশি কারো ক্ষেত্রে কম; আর এই পরনির্ভরতার মাধ্যমে স্বনির্ভরতা যার বেশি তিনিই এই জগতে বেশি সুখী; তাঁর জীবনই বেশি আনন্দদায়ক, বর্ণময় আর স্মরণীয়।