17 ডিসেম্বর একটি নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হলো।এদিন পত্রিকায় আমার লেখা একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। আমি যথাযথ রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম। ছাপাও হয়েছিল যথাযথ। যার কারণে রিপোর্টটা একটি দলের বিপক্ষে ছাপানো হয়েছে বলে মনে করা হলো। পুরো সময়টাতে আমি স্পটে ছিলাম। আমি যা দেখেছি তাই হুবহু লিখেছিলাম পত্রিকায়। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে আমার আড্ডাস্থলে এলো সেই দলের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভিপি। সে আমাকে ভয় দেখানোর জন্য সঙ্গে করে দুইজন ছেলে নিয়ে আসলো যাদের নাম এরশাদ ও আমিনুর। ওরা দুজনেই একসময় আমার কাসমেট ছিল। দুজনেই লেখাপড়ায় টিকে থাকতে পারেনি। এরপর সেই ঐতিহ্যবাহী রাজনীতির সাথে জড়িত। যাহোক, ভিপি সাহেব এসে আমাকে যথেষ্ট পরিমাণ থ্রেট করলেন এবং আমার বিরুদ্ধে মামলা করার ভয়ভীতি দেখালেন। সেইসাথে হুশিয়ার করে দিলেন এরপর তাদের দলের বিরুদ্ধে কোন নিউজ করলে এর পরিণাম ভাল হবে না। হায়রে দেশ, সত্য কথা লিখলে কঠিন পরিণাম গ্রহণ করতে হয়। এমনকি আমি যে ঘটনাগুলো স্পটে থেকে চাক্ষুস দেখেছি সেগুলোকে তারা মিথ্যা বলতে লাগলো। অর্থাৎ আমি যা দেখেছি তার কোনটাই সত্য নয়।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যিনি আমাকে থ্রেট করলেন তিনি ঐ দলের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক, সেইসাথে আবার আমাদের প্রেসক্লাবের সভাপতি। আমি তাকে তার সাংবাদিক পরিচয় মনে করিয়ে দিতেই তিনি বললেন- আমি এখানে সাংবাদিক হিসাবে তোমাকে বকতে আসিনি, এসেছি রাজনৈতিক দলের কমর্ী হিসেবে। একজন সাংবাদিক হয়ে আরেক সাংবাদিক কে থ্রেট করলো। তাও একটি সত্য ঘটনা লেখার অপরাধে। এই হলো দেশের রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র। আমি সাথে সাথে আমার সাংবাদিকতার শিক্ষাগুরুকে জানালাম। সে আমাকে অভয় দিল এবং বলল এরকম ঘটনা কেবল শুরু, ভবিষ্যতে নাকি এরকম আরও থ্রেট খেতে হবে। এই প্রথম নিউজ পাঠানোর ফলে কোন দল থেকে থ্রেট খেলাম। আগে শুধু শুনেছি, কিন্তু আজ নিজেই সেটার শিকার হলাম।
কি আশ্চর্য এ দেশ, রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবার প্রেস ক্লাবের সভাপতি !!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ২:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



