মামলা কাহাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি?
মামলা যাহাকেই বলুক, যত প্রকার এবং যাহা যাহাই থাকুক, এসব বিষয়ে এতকাল বিএনপি এবং জামাত আনাড়ি ছিল।
কিন্তু এখন তাদের শিক্ষানবীসকাল চলছে, বলা যায় ইন্টার্নশীপ।
আদালত অবমাননার মামলা, পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের মামলা, দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের মামলা, সেই আগের জামানায় একজনকে খুন করা হয়েছিল, তার মদদ দানের মামলা, যুদ্ধাপরাধীর বিচার ঠেকারনোর পায়তারা করার মামলা, সরকারের ডিজিটাল কাজে বাধা প্রদানের জন্য গোপন বৈঠক করার মামলা, ইসলামী বই নয় বরং জিহাদী বই রাখার জন্য চরমপন্থী মামলা, সরকারের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানোর মামলা প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকার মামলার এখন রমরমা সময় চলছে। আইন শৃংখলা এখন অত্যন্ত ভাল, এমনই ভাল যে এ সংক্রান্ত বৈঠক হওয়ার সময় বকরী থুক্কু কবরী এমপি আর নাসিম ওসমান এমপির মধ্যে বিশৃংখলা বেধে যায়। ক্লাশের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার সময় তাদের ক্লাশরুম থেকে বের করে দিয়ে বাআলের নেতাদের দেশের সেবা করার জরুরী মিটিং করতে হয়। দেশে আপনি সরকারের বিরুদ্ধে যখন যাই বলেন না কেন আপনার নামে মামলা হয়ে যাবে, খুব ভাগ্যবান হলে রাজাকার হয়েও যেতে পারেন। যেমন সিরাজগঞ্জের রফিকুল ইসলাম জামাত নেতা হওয়ার কারণে রাজাকার যদিও ৭১ এ তার বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর। এই যে মামলাবাজ সরকার মামলা করেই চলেছে এখান থেকে বিএনপি জামাত শিক্ষা নিতে পারে কোন কোন খাতে মামলা করা সম্ভব।
অবশ্য বিএনপি জামাত এসব থেকে শিক্ষা নেয় না। বিএনপি'র দালাল আর জামাতের আহাম্মকরা যখন ক্ষমতায় যায় তখন হাছিনা বিবির হম্বিতম্বিতে খুব ভয় পায় তারা। আর স্থানীয় নেতারা যখন বিএনপির নেতাকে দুই প্যাক দামী পানি খাওয়ায় আর ললিতাদের বাড়িতে নিয়ে রংশালা নাচ দেখায় তখন আর বিরোধীতা থাকে না, গলায় গলায় পিরিত হয়। আর জামাতের নেতাদের জন্য তো তাও লাগে না। তাদের লম্বা করে একটা সালাম দিলেই ঠান্ডা হয়ে যায়। তাই তাদের এই শিক্ষার সুসময়েও তারা ভাল করে শিখতে পারবে না কিভাব মামলা করে বিরোধী দল ঘায়েল করতে হয়। এখানেই তাদের ব্যর্থতা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




