দুনিয়ার মাটিতে যেই পরিমানে ধুলিকণা আছে, ক্বদরের রাতে দুনিয়ায় ফেরেশতাদের সংখ্যা তার থেকেও বেশী থাকে।আমাদের আশেপাশেই ফেরেশতারা ঘুরাঘুরি করবেন। রীতিমতো ফেরেশতাদের একটা বন্যা তৈরি হয় এই রাতে। তিল পরিমাণ জায়গায়ও খালি থাকে না।
প্রত্যেক ফেরেশতাগনদের নিজস্ব কাজ থাকে। সবারই ডিপার্টমেন্ট আলাদা করা আছে। কেও ১ম আসমানে আছেন, কেও ২য় আসমানে। কেও অন্য কোনো কাজে আছেন। তারা প্রত্যেকেই আল্রাহর নির্দেশে আলাদা আলাদা আলাদা কাজ পালন করেন থাকেন ।
আজকে সবার কাজ একটাই। দুনিয়ায় এসে আল্লাহর বান্দার খোঁজ নেয়া। কার কি সমস্যা আছে সেটা জানা, কার কি দরকার সেটা জানা। পারিবারিক বিষয় হোক, ব্যক্তিগত বিষয় হোক , অর্থনৈতিক হোক, যে বিষয়ই হোক, তাদের কাজ আজকে একটাই। বান্দার খবর জানা্, বান্দার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতাদের বহর নিয়েই ক্বদরের রাতে দুনিয়ায় হাজির হয়ে যান জিবরাঈল (আ)। সেই জিবরাঈল (আ) যিনি মুসা (আ) এর কাছে কিতাব এনেছিলেন, এনেছিলেন ঈসা (আ) এর কাছে, এনে ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (স) এর কাছে। এই রাতেই নিয়ে এসেছিলেন কুরআন। আর এই রাতকেই উদযাপন করতে আজ আবার নেমে আসবেন দুনিয়ায়।
গভীর রাতে গিয়েই ইবাদত করতে হবে এমন কোনো কথা নাই। মাগরিবের পর থেকেই ক্বদর শুরু হয়ে যায়। বেশী বেশী করে পড়বেন “ আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্বি”- ''হে আল্লাহ! তুমি তো ক্ষমার আধার, আর ক্ষমা করাকে তুমি ভালবাস। কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও”
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৪