somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ; 'জাবি' যখন 'জীবন' হয়ে উঠে, 'আবেগ' হয়ে অস্ত যায় !!!

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বাংলাদেশ এর রাজধানী কি ?=> জাহাঙ্গীরনগর ।
বাংলাদেশ এর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কি?=> জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ।

কি?
কি?
কি?

এখন এমন হাজারোটা "কি? জাতীয় প্রশ্নের" উত্তর খুজতে আসবেন না আমার কাছে,কারন উত্তরগুলো আপনার কাছে পাগলের প্রলাপ বলেই মনে হবে । কারন যে প্রশ্নই আসুক না কেন আমার কাছে, এখন উত্তর পাবেন একটাই ,,,,,=>জাহাঙ্গীরনগর । কারো চিন্তায় আমার কিছুই আসে যায় না কারন উত্তর নয় শব্দগুলো যে এখন আমার কাছে সীমাহীন আবেগ ।।

নিজেকে সেই মুঘল আমলের সুবাদার ইসলাম খান বলে মনে হচ্ছে । এখন আমার প্রানের বিশ্ববিদ্যালয়টার প্রতিটা ইটের লালচে আভা আর অতি অল্প সময়ে গড়ে ওঠা স্বর্গীয় সম্পর্ক, মীর মশাররফ হোসেন হল এর সেই গনরুম এর প্রতিটা বন্ধুচরিত্র(Badhon,আমার মিতা Saurav, Morshed,Upol,Mohibullah,Ali,Atik,Monzur,Jhenaidaha Coram Shohel,Emon,Pharmacy Coram,
আমাদের নাম ডাকা চেয়ারম্যান Shafiq.....সবাই), প্রতিটা দৃশ্যপট আর কিছু কাছের বড়ভাইদের সাথে কাটানো অমলিন মুহূর্তগুলো দাগ কাটছে মনের ব্লাকবোর্ডে । যে স্মৃতিগুলো দাগ কাটে,মুছবে না কখনো,আর না লিখে পারছি না।

১.আমার Orientation Class এর আগের রাতে আমাদের বিখ্যাত KFC তে Arjo দা,Mahabub Rinad ভাই,Akash ভাই, Rupa ভাই দের এর সাথে কাটানো সেই 10.25PM to 12am ।
২.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের 146 নম্বর রুম এর সব গুলা ভাইদের (এত্ত Creative কেমনে হন আপনারা!!) সাথে সন্ধ্যার সেই special বিতর্ক, সাহিত্য চর্চা । UFF!!!! অস্থির হইয়া যাই এখনো মনে পরলে । আবারো ফিরে পেতে ইচ্ছা করে মুহূর্তগুলো ।
৩.আর আমার নিজের মীর মশাররফ হোসেন হলের ভাইদের কথা বলতে গেলে শব্দও ক্লান্ত হয়ে যাবে । তবু Specially JOLIL ভাইয়ের কথা না বললেই না । জলিল ভাই একটু দানশীল প্রকৃতির । আমরা প্রথম প্রথম ফ্রি ফ্রি খাইতে লজ্জা পাইতাম, কিন্তু জলিল ভাইয়ের মুখ দেখলেই বুঝতাম,ভাই মনে মনে কইতেছে ,"পুলাপাইন খাইতে চায় না ক্যান? ফ্রি ফ্রি খাবি তাও এত কিসের চিন্তা?" আমাদের চুপ থাকা দেখে ভাই শেষমেশ নিজে নিজেই জিজ্ঞাস করতেন,"সৌরভ, সাদি,আনিক...তোমরা কিছু খাও?" আর ঠিক তখন আমাদের মুখে খই না ফুটলেও, পেট এ খই ভাজি শুরু হত ।

হ্যা, এমন ই চলেছে আমাদের সময়। সিনিয়র ভাই রা আছে তো চিন্তা কি??খা প্রান খুলে, আর Bill?? আমাদের অভিধান থেকে "বিল দেয়া" শব্দটা বিলোপ পেয়েছিল তখন ।

হৈ হুল্লোড় ,নিশাচরিতা ,রাতে অভিযান, রাত এ কদম ফুল পাড়া(Credit goes Anik,Sadi,Nasimul) আর হাজারটা নাম, হাজারটা অভিযান, হাজার টা আড্ডাবাজি এত কিছু চোখে ভাসছে ।

আজ বিয়োগ ঘটতে যাচ্ছে প্রানের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, আমি তবুও জানবিবির ছাত্র হয়েই থাকতে চাই । তোরা আমার বন্ধুরা যতদিন আছিস আমার অন্তর এর অন্তঃস্থলেই থাকবি । আমাকে ভুলে যাস না, ভুল বুঝিস না হয়ত কোন কারন এ সব সময় সবাইকে ফোন করা হয়ে ওঠে না ।১০ টা দিন ফোন না দেয়া হলে আমি FORMALITY Prblm এ ভুগি, এ যেন ভাই আমাকে মনে রেখেছে কিনা? বন্ধুটা চিনতে পারবে কিনা?এভাবেই দিব দিব করে আর ফোন দেয়া হয়ে ওঠে না । কিন্তু আমি জানি ১৫০ বছর পরেও যেদিন তোরা আসবি আমার কাছে আমি সেইদিন ও থাকব এমনই_জাবি ৪৩ তম আবর্তন হয়ে।
আবার জানি হয়ত আমি হারিয়ে যাব বড় ভাইদের অন্তর থেকেও,বন্ধু বান্ধবদের মন থেকেও । তবুও আশায় বসে থাকি সেই দিন এর জন্য যেদিন এই কাছের ভাই বা বন্ধুদের কাছে ফোন দিলে তারা বলবেন না যে কই,চিনলাম না তো?

সিনিয়র জুনিয়র এমন সম্পর্ক এ বুঝি শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে আরো আছে বন্ধু বান্ধবী নিয়ে আড্ডাবাজি,নারী পুরুষ সমতা,স্বাধীনতা । ভাঙ্গা চোখ নিয়ে ক্যাম্পাস এ এসেছিলাম, এই অসীম সবুজ আর প্রজাপতিময় সৌন্দর্য দেখে আমার চোখ সকাল দুপুর যে পরিমান ব্যায়াম করতে পেরেছে তার সৌজন্যেই হয়ত চোখে আজ গঠন হয়েছে তথাকথিত SIX PACK .....:-P

সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ এই কারনে যে, আমি জাবিতে পড়ার,থাকার সুযোগ পেয়েছি আবার যে Medical College এ পড়তে যাচ্ছি সেই Shaheed Zia Medical College,Bogra এর ক্যাম্পাসটাও অনেক সুন্দর । Dhakar কোন Medical এ থাকতে পারিনি আমার বার্থতায় । ক্যাম্পাস পড়া করিয়ে দেয়না জানি তবুও এখান থেকেই ভাল কিছু করার সুযোগ আছে এবং আমি যেন ভাল কিছু করতে পারি তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থী ।।
POST টাতে ব্যাক্তিগত আবেগ এর বেগ দেখে কেউ অহংকার , আর নিচুমনা সাহিত্য খুজে পেলে নিজেকে ব্যর্থ মনে করব । সামুকে আমি আমার Dairy বলেই মনে করি, তাই ব্যাক্তিগত অনুভুতি প্রকাশ করাটাকে কোন অমার্জনীয় ভুল বলেও মনে করি না।







PHOTO CREDIT GOES TO MAHABUB RINAD VI OF JU
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১১
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×