বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি – সময়ের দাবি।
রাজনীতি ও রাজনৈতিক আদর্শ হচ্ছে একটা দেশ ও সমাজের অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। স্থিতিশীল রাজনীতি আর শক্তিশালী আদর্শ যেকোনো দেশ বা জাতিকে দ্রুত উন্নতির পথে চালিত করে। আর উন্নত আদর্শিক রাজনীতিই জন্ম দেয় সাহসী আর বিচক্ষণ নেতৃত্ব।
এই জিনিসটার অভাব আজ আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় অনেক সাহসী নেতৃত্ব আমরা দেখেছি। তার ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান আমলেও কিছু ভাল নেতৃত্বের দেখা পাওয়া যায়। যারা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে। কিন্তু বড়ই আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে স্বাধীনতা উত্তর এদেশে কোন আস্থাশীল নেতৃত্বের দেখা পাওয়া যায় নি। তাই এদেশের রাজনীতি এখন দুইটি পরিবারেরে কাছে জিম্মি।
স্বাধীন দেশে দীর্ঘ দিন স্বৈরশাসন চলে। আর এই স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেয়ে মানুষ যখন নিজের মত প্রকাশের অধিকার পেলো তখন মানুষের মনে আশার জেগে উঠল। কিন্তু অঙ্কুরেই নষ্ট হয়ে যায় সমস্ত আশা।
স্বৈরতন্ত্রের সাথে আপোষহীন নেতৃত্বই আপোষ করলো দুর্নীতি আর স্বজন প্রীতির কাছে। যে স্বৈরতন্ত্রকে তারা গদি থেকে টেনে নামিয়ে ছিল তারাই আজ গণতন্ত্রের মুখোশে স্বৈরতন্ত্রকেই কায়েম করলো। জনগণের ভোটে সংসদে গিয়ে যা খুশি তা করতে লাগল।
বাংলার মানুষ পরিবর্তনের আশায় দুটো দলকেই সুযোগ দিলো। জনগণের আশা আর স্বপ্ন দলগুলোর মৃত আর জীবিত নেতাদের স্বপ্নের কাছে পাত্তা পেলো না। জনমতকে পাত্তা না দিয়ে দলগুলো নিজেদের খেয়াল খুশি মত দেশ চালাতে লাগলো।
মানুষ আজ হতাশ হয়ে রাজনীতিকে ঘৃণা করতে শুরু করেছে। এবার কেউকেউ বলেন সেনাশাসনই ভাল। ভাল মানুষরা রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছেন। রাজনীতি মানে এখন অবৈধ অর্থ উপার্জনের মাধ্যম।
লক্ষ্য করুন গণতান্ত্রিক সরকারের অবস্থা শেয়ার বাজারের কেলেঙ্কারির রিপোর্ট প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছে সরকার। ৩৩লাখ সাধারণ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলল কিছু অসাধারণ ব্যক্তি। তারা এত প্রভাবশালী যে তাদের নাম পর্যন্ত প্রকাশ করতে ভয় পায় সরকার। এসব দলই আবার শ্লোগান দেয় যে ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’, ‘জবাবদিহি মূলক শাসন’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখন শুধু নেতারই নয় বরং তৃনমূল সদস্যরাও পর্যন্ত দুর্নীতি, হত্যা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণের মত কাজে জড়িয়ে পরেছে এই সাহসে যে আমি অমুক দল করি পুলিশ আদালত আমার কাছে কিছু না।
এদের অপকর্মের কথা লিখে যে কেউ একটা থিসিস পেপার লেখতে পারবেন। যদি কারও চক্ষু খোলা থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন আমরা কত ভয়াবহ স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে আছি। আর কত, আরতও চলতে দেয়া যায় না।
যাদের বুকে বল নেই তাদের কথা আলাদা। যারা কাপুরুষ, পরাজিত মন মানসিকতা সম্পন্ন লোক তাদের না হয় বাদ দিলাম। কিন্তু যারা বাঁচার মত বাঁচতে চান তাদের কাছে আমার একটাই আহবান আসুন কণ্ঠকে উচ্চ করি, হাতে হাত রেখে সংগ্রাম করি। আসুন যারা দেশের, দশের, নিজের ভাল চান তারা বিকল্প শক্তি গড়ে তুলি। বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি এখন সময়ের দাবী, গন-মানুষের দাবী।
আমরা পারব আমরা করব ইনশাআল্লাহ্ ।
আসুন উচ্চ কণ্ঠে বলি “ দ্বিদলীয় স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক বাংলার মানুষ মুক্তি-পাক”।
Facebook Page

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



