somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফরম্যাট নিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পৃথিবীতে নানা রকম যুদ্ধ হয়। কমার্শিয়াল যুদ্ধগুলো আমাকে বারবারই আকর্ষন করে। এন্টারটেইনমেন্ট জগতে ফরম্যাট ওয়ার নামে একটা মজার যুদ্ধ আছে। আমরা গান শোনা, মুভিদেখার জন্য একের পর এক নতুন প্রযুক্তি দেখে আসছি। এই প্রযুক্তিগুলো কি আবিষ্কার হয়েই আমাদের দরজায় এসে পড়েছে? তা কখনোই সম্ভব নয়। এই নতুন প্রযুক্তিগুলো প্রচুর কাঠখর পুড়িয়ে বাজারে আসে। অনেক সময় বাজার থেকে ভো দৌড় দিয়ে এরা তাদের গর্তে গিয়ে লুকায়। অনেক সময় ভালো প্রযুক্তিগুলো আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে যায়। এসবই কর্পোরেট বানিজ্যের ফসল।

বাজে কথা ছেড়ে কাজের কথায় আসা দরকার। গত ১০০বছর জুড়ে ফরম্যাট ওয়ার একটি ক্রুশাল জায়গে হয়ে গিয়েছে মানুষের লাইফস্টাইলে। এরকম কয়েকটা ওয়ার নিয়েই আজকে এই পোস্ট লিখতে বসলাম। আমার পছন্দ অনুসারে কয়েকটি ফরম্যাট যুদ্ধ নিচে বর্ননা করলাম।


০১। Phonograph Cylinder Vs. Gramophone Record



বিশেষজ্ঞদের মতে এটা দ্বিতীয় ফরম্যাট ওয়ার। ফোনোগ্রাফ সিলিন্ডারের আবিষ্কারক হলেন আমাদের সবার পরিচিত টমাস আলভা এডিসন। ১৮৭৭ সালে তিনি এটা আবিষ্কার করেন। তবে এটি প্রোডাকশন এ আসে কয়েক বছর পর। এরপর এটা অনেক জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু এরই মধ্যে একটি কান্ড ঘটে যায়। উদ্ভব হয় গ্রামোফোন রেকর্ড এর। আর এর আবিষ্কারের পরই সিলিন্ডারের ত্রুটিগুলো ধরা পরে। সিলিন্ডারে কর্নার থেকে কেন্দ্রের দিকে যয়ই অগ্রসর হতে থাকে ততই ভোকালের আওয়াজ বদলে যায়, যা গ্রামোফোন রেকর্ড এ ঘটে না। ফলে সিলিন্ডারের একধিক উন্নত সংস্করন বের করার পরও পৃথিবীর সেরা আবিষ্কারক এডিসনকে এখানে মুখ থুবরে পড়তে হয়। বিজয় হয় গ্রামোফোন রেকর্ড এর। আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন না, গ্রামোফোন রেকর্ড এখনো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাবহার করা হচ্ছে।


০২। 8-Track Tape Vs. Compact Cassette



ছবিটা দেখেই আপনারা বলুন কোনটা আপনারা দেখে আসছেন। আমি অবশ্য এটা বেশিদিন দেখিনি। এটার সাথে পরিচয় হওয়ার কয়েকমাসের মাথায় আমার সিডির সাথে পরিচয় হয়। যাই হোক ৮-ট্র্যাক ফরম্যাটে (১৯৪০) গানের ৮টা ট্র্যাক ধরত। আর ক্যাসেট (১৯৬৪) এ ধরত প্রায় ১২টা। কিন্তু কোয়ান্টিটি ক্যাসেটকে জাতায় নি। বরং ৮-ট্র্যাক ফরম্যাট এ কিছু ট্যাকনিকেল প্রব্লেম ছিল। অডিও কোয়ালিটি ভালো থাকার ক্ষেত্রে ক্যাসেট অনেক বেশি বিশ্বস্ততা অর্জন করে, তাছাড়া ডুয়াল সাইডেড হওয়ায় এটা ১২টা (প্রতি সাইডে ৬টা) গান দিতে পারত। যেখানে ৮-ট্র্যাক এর নির্মাতারা গানের বাইরে আর কিছু চিন্তা করেনি, সেখানে ক্যাসেটের নির্মাতা অনেক বুদ্ধির পরিচয় দেন। প্রাথমিক মাইক্রোকম্পিউটারগুলোর ডাটা স্টোরেজ (বর্তমানে আমাদের হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ বা হাল আমলের সলিড স্টেট ড্রাইভ) হিসেবে ক্যাসেট ব্যাবহৃত হয়। ১৯৯০ পর্যন্ত এটা উন্নত বিশ্বে টিকে ছিল। কিন্তু আমাদের দেশে মনে হয় এখনো পাওয়া যায় (উৎপাদনটা কোথায় হয়?)। যাই হোক ক্যাসেট, গ্রামোফোন রেকর্ড (তখন বলা হত ভিনাইল রেকর্ড) কেও রিপ্লেস করে। উল্লেখ্য যে, ক্যাসেট এ সিডি কোয়ালিটির সমান পর্যায়ের গান দেয়া যায়।


০৩। Compact Cassette Vs. Compact Disc



এন্টারটেইনমেন্ট জগৎ এবার অপ্টিক্যাল যুগে প্রবেশ করে। এই যুগে আমরা এখনো ভেসে যাচ্ছি। আরও কত বছর ভাসতে হবে কে জানে? যাই হোক সিডি (১৯৮২) শুরু থেকেই ক্যাসেট এর একটা প্রধান প্রতিদ্বন্দী হয়ে দাঁড়ায়। সিডি বাজারে আসে সনি ও ফিলিপস এর যৌথ প্রচেষ্টায়। মুল কৃতিত্বটা ফিলিপস এর হলেও সারা বিশ্ব সিডি বলতে সনিকেই চেনা শুরু করে। শুরুর দিকে সিডির জোয়ার কমে যায়, কারন সিডি প্লেয়ারগুলো ততটা স্টেবল ছিল না। কিন্তু ৯০ এর দশকে ভালো ভালো সিডি প্লেয়ার এসে পড়ল, আর আধুনিক ফ্যাশন হিসেবে সিডি ক্যাসেটকে মুহুর্তেই রিপ্লেস করে ফেলল।


০৪। ডিজিটাল যুগঃ MP3 Vs. Ogg Vorbis Vs. AAC Vs. WMA Vs.
FLAC

ডিজিটাল যুগ দেখেই বোধহয় এটা দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধ না হয়ে বহুপক্ষীয় যুদ্ধ হয়েছে। প্রত্যেকটি তার নিজস্ব গুনাগুন নিয়ে এখনো টিকে আছে। এটি ফরম্যাট ওয়ার এর অমীমাংসিত একটি যুদ্ধ। তবে, MP3 কে প্রাথমিকভাবে জয়ী বলা যেতে পারে। প্রথম দিকে যুদ্ধটা ছিল কে কত কম জায়গায় সবচেয়ে ভালো কোয়ালিটি দিতে পারে। এক্ষেত্রে অনেকের মতে WMA (উইন্ডোজ মিডিয়া অডিও কোডেক) সেরা, আবার অনেকের মতে MP3 (এমপিইজি১ লেয়ার ৩ কোডেক) অদ্বিতীয়, Ogg Vorbis ও AAC (এডভান্স ওডিও কোডেক) এ আলোচনাতে কোন স্থান পায়নি। কিন্তু মেমোরী স্টিক এর দ্রুত উন্নতির ফলে এই যুদ্ধতে "কম জায়গা" কথাটি ডিলিট হয়ে যায়। ভালো কোয়ালিটি >> মানুষ তাই খুঁজতে থাকে। তখন আবির্ভাব হয় LWMA (লসলেস WMA) ও FLAC (ফ্রি লসলেস অডিও কোডেক) এর। সবদিক দিয়ে LWMA ভালো হলেও ওপেন সোর্স এর কল্যানে FLAC কোডেক সাবাই বিনামুল্যে ব্যাবহার করতে পারে ও উইন্ডোজ ছাড়া অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম FLAC কে সাদরে গ্রহন করে। কিন্তু কাহিনী এখানেই শেষ হয়ে যায় নি। বর্তমান যুগ হাই ডেফিনেশন এর যুগ। এই যুগে পুর্বের ২চ্যানেল এর সাউন্ডকে রিপ্লেস করে ফেলে ৬চ্যানেল এর ডলবি সারাউন্ড সাউন্ড (AC3), প্রায় একই সময়ে আবির্ভাব হয় ৭চ্যানেল এর ডিজিটাল সারাউন্ড সাউন্ড (DTS) ও ৮চ্যানেল এর সনি ডায়নামিক ডিজিটাল সাউন্ড (SDDS)। কর্পোরেট বানিজ্য SDDS কে প্রথমে প্রতিযোগীতা থেকে সরিয়ে দিলেও তা পরে ফেরত আসে। চ্যানেল সংখ্যা যত বেশি জায়গা তত বেশি। তাই এই সময় আবার শুরু হয় "কম জায়গা" নিয়ে হাহাকার। এবার MP3, WMA দুইটাই ফেল মারল। ২চ্যানেল এর উপরে এই কোডেকগুলো আর ভালো কাজ করতে পারল না। তখন AAC বিজয়ের হাসি হাসল। তা কম জায়গায় অনেক ভালো হাই ডেফিনেশন সাউন্ড দিতে থাকলো। এখন হাই ডেফিনেশন রিপ এর ক্ষেত্রে AAC বহুল ব্যাবহৃত কোডেক। তবে গত এক বছর ধরে আবার "কম জায়গা" কথাটি উঠে যাচ্ছে। "Give me the highest QUALITY. I don't care about space." স্লোগান নিয়ে অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ফলে AC3 ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে।


০৫। High Definition Optical Disc Format War (HD War)



এ যাবৎকালে সবচেয়ে ব্যায়বহুল ফরম্যাট ওয়ার হল ব্লুরে বনাম এইচডি ডিভিডি। এই যুদ্ধটা শুরু হয় ২০০২ সালে (!!!!)। এই ওয়ারে পুরো বিশ্বের হার্ডওয়্যার কোম্পানী, প্রোডাকশন হাউজ ২ভাগ হয়ে গিয়েছিল। তবে তার আগে এই যুদ্ধকে পাশকাটিয়ে একটা সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ২০০৫সাল থেকে শুরু হয় অর্থের ছড়াছড়ি। সনি তাদের ব্লু-রে আর তোসিবা এইচডি ডিভিডি নিয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করে। এইচডি ডিভিডি ব্লু-রের তুলনায় অনেক দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের জায়ান্ট কোম্পানীগুলো এইচডি ডিভিডিকে সাপোর্ট করা শুরু করে। এই দলে ছিল Toshiba, NEC, Sanyo, Memory-Tech Corporation, Microsoft, RCA, Intel, Venturer Electronics ইত্যাদি। এর পর সনি সরাসরি ব্লুরে ডিস্ক ফাউন্ডেশন গঠন করে। ফলে ব্লুরের দিকে দল ভারী হতে শুরু করে। এখানে ছিল Hitachi, LG, Panasonic, Pioneer, Philips, Samsung, Sharp, Sony, Thomson, Dell, HP, Mitsubishi, TDK, Acer, Alpine, Asus, Kenwood, Lite-On, Meridian, Onkyo, Samsung সহ ৭৩টি কোম্পানি। আর Paramount Pictures, BBC, First Look Studios,Image Entertainment, Magnolia Pictures প্রভৃতি দুটোকেই সাপোর্ট করে। ব্লুরেতে এতো সাপোর্ট পাওয়া সত্ত্বেও এইচডি ডিভিডি দমবার পাত্র নয়। ইতোমধ্যে ২০০৭ এ দুটি দলই প্লেয়ার বাজারজাত করা শুরু করে। দামে কম হওয়ায় এইচডি ডিভিডি কিছুটা পালে হাওয়া পায়।

অন্যদিকে Microsoft তাদের নতুন গেমিং কনসোল এক্সবক্স৩৬০ বাজারজাত করে। এইচডি (৭২০পি) গেমিং এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কনসোলে পরিনিত হয়। অন্যদিকে সনির প্লে স্টেশন টু বাজার হারাতে থাকে। ফলে সনি বের করে প্লে স্টেশনের নতুন ভার্সন প্লে স্টেশন ৩। আর অতি বুদ্ধিমান সনি এই কনসোলে জুড়ে দেয় ব্লু-রে রম। অন্যদিকে এইচডি (১০৮০পি) গেমিং এর জন্য এক্সবক্স৩৬০ এর চেয়ে প্লে স্টেশন ৩ এর পারফর্মেন্স ভালো হওয়ায় মুলত এডভেঞ্চার গেমাররা প্লে স্টেশন ৩ মূখী হত্ থাকে। ফলে তারা একঈ সাথে কনসোল কাম ব্লুরে প্লেয়ার পেয়ে থাকে। ফলে অতিদ্রুত এইচডি ডিভিডি এর জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। এক সময় তা শুন্যের কোঠায় গিয়ে দাঁড়ায়। ফেব্রুয়ারী ৮, ২০০৮ এ এই যুদ্ধ সমাপ্ত হয়। মাঝের পাচটি বছরে খরচ হয় কোটি কোটি ডলার।


এইতো গেল ফরম্যাট ওয়ারের কথা। ভবিষ্যৎ এ আসছে ইউএইচডি। ইউএইচডি চালানোর জন্য এরমধ্যে 5D DVD এর ডেভেলপ করা হচ্ছে। সাথে আরও কয়েকটা অপ্টিক্যাল ডিস্ক ফরম্যাট থিওরী পর্যায়ে আছে। এটা নিয়ে কি হয় কে জানে?!?!?!? আমার কিন্তু জানা নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:২৭
২০টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×