একটা মেয়ের জীবনে তার প্রথম ভালোবাসা অনেক বেশী গুরুত্ব বহন করে।
সেই ভালোবাসার জন্যে মেয়েটা সবকিছুই করতে পারে।নিজের সাধ্যের মধ্যে ভালোবাসার মানুষটার জন্যে সবকিছু করে।
ভালোবাসার জন্যে সর্ব্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে।নিজের বাবা-মার বিরুদ্ধে দাড়াতেও পিছপা হয়না!
যেকোনো মেয়ের সেই প্রথম ভালোবাসার মানুষ হতে পারা ছেলেটা ভাগ্যবান।অনেক বেশী ভাগ্যবান।ছেলেটার ছোট থেকে বড়ো সব উইশ মেয়েটার কাছে অবশ্য পালনীয় বিষয়বস্তু বনে যায়।
ওই প্রথম সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছেলেটা যদি এক পা এগোই তো মেয়েটা এগোই দশপা।
এতোকিছুর পরেও যে ছেলেটা মেয়েটার হাত ছেড়ে দেই সে অনেক বড়ো হতভাগা।শরীর,সামান্য ক্ষনের ভালোবাসা পেয়ে ভাবে সব পেয়েছি।আর পাওয়ার কিছুই নেই!
কিন্তু যদি এটা জানতে যে মেয়েটা তার জন্যে সারাজীবন কি কি করতে পারতো তাহলে হয়তো মেয়েটার হাতটা ছাড়তে ১০০ বার চিন্তা করতো।
হতভাগা তখুনি না হোক ভবিষ্যতের কোনো সময় ঠিকি আফসোস করবে!
করবেই!!
এরপর আছে কিছু দুর্ভাগা!মেয়েটার পরবর্তী ভালোবাসার মানুষ!
যদিও প্রথম ভালোবাসার ঘোর হতে বের হতে না পারা মেয়েটার কাছে এই সম্পর্কের সংজ্ঞা একটু ঘোরালো-প্যাঁচালো টাইপের হয়।
নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা থাকেনা এই সম্পর্কের।চাইলে এটাকে আপনি এটাকে ভালো আশা কিংবা ভালোবাসার মাঝখানের কিছু একটা ভাবতে পারেন।
মেয়েটার সাথে এই দুর্ভাগার সময় কাটে "সম্পর্কে কি যেনো নেই " টাইপের চিন্তা করতে করতে!
কিন্তু কি যে নেই সেটা ভাবতে ভাবতেই হয় ব্রেকাপ নইতো তুমুল ঝগড়া!
এই সম্পর্কের স্থায়ীত্ব সাধারণত খুবি সামান্য।কারণ এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েদের ডেডিকেশন থাকে খুবি সামান্য।আর দুর্ভাগা ছেলেটা তো বুঝেই উঠতে পারেনা যে সে আসলে করছেটা কি!!
এরপর আছে মোটামুটি টাইপের সৌভাগ্যবান মানুষগুলো।
মেয়েটার পরবর্তী প্রেম।এই প্রেমের ক্ষেত্রে সাধারণত মেয়েরা প্রথম প্রেমের বিরহ অনেকাংশেই কাটিয়ে উঠে।যার কারণে এই পর্যায়ের প্রেমিকরা মোটামুটি লেভেলের সৌভাগ্যবান হয়।
যদিও সেটা প্রথম ভালোবাসার তুলনায় কিছুনা।
তবুও মোটামুটি পাওয়া না পাওয়ার দোলাচলে চলে যায়।
যতোটুকু বুঝলাম ততোটুকু আইডিয়া থেকে লিখা।
এটাকে আপনি সিরিয়াস কিংবা ফান যেকোন ক্যাটাগরিতে ফেলতে পারেন!