ইসরাইলের উপর ইরানের এই হামলাতে খুশী হওয়ার মতো আসলে কিছুই নেই। আমেরিকার ভালোই ধারণা ছিলো যে ইরান এরচেয়ে বেশী কিছুই করতে পারবেনা। বরং আমেরিকা ইসরাইলকে প্ররোচনা দিয়ে ইরানের সিরিয়া দূতাবাসে হামলা করিয়েছে যাতে ইরান ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে ইসরাইলে হামলা করতে বাধ্য হয়। এতে করে আমেরিকা এবং তার মিত্ররা একটা অজুহাত পেয়ে যাবে ইরানের পারমানবিক স্থাপনার উপর হামলা করার যেখানে কিনা ইরান পারমানবিক অস্ত্র বানানোর জন্যে তৎপরতা সাম্প্রতিক সময়ে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।
সেই তৎপরতা থামানোর জন্যেই আমেরিকার ইন্ধনে ইসরাইলের সেই হামলা। অথবা হয়ে ইসরাইল নিজেই চেয়েছিলো এই হামলা করতে৷
কারণ ইসরাইল জানে পারমানবিক শক্তিসম্পন্ন ইরান তাদের জন্যে হবে মূর্তিমান একটা আতংক। সেই তৎপরতা ঠেকাতেই এই হামলা আর পাল্টা হামলা।
এখন বরং ইরানকেই সর্বক্ষন তটস্থ থাকতে হবে ইসরাইল বা তার পশ্চিমা মিত্রদের হামলার ভয়ে।
আমেরিকা তাদের প্রতিপক্ষদের দমনে এই স্ট্রাটেজি ব্যবহার করছে কয়েক দশক ধরে। রাশিয়ার প্রতিপক্ষ হিসেবে ইউক্রেনকে দাড় করিয়ে; চীনের প্রতিপক্ষ হিসেবে তাইওয়ানকে দাড় করিয়ে এবং সর্বশেষ ইসরাইলকে ব্যবহার করে ইরানের দূতাবাসে হামলা।
কেনো জানি মনে হচ্ছে এই আমেরিকা নিজের স্বার্থেই এই বিশ্বের ধ্বংস ডেকে আনবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯