
মঙ্গলবার বিচারপতি এএইচএম শাসছুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের যৌথ বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
পাবনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসিকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতকে জানাতেও নির্দেশ দেয়া হয়।
সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ির জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ এবং আইনি কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং বাড়ি সংরক্ষণে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তাও সরকারকে জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, ভূমি সচিব, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, পাবনার জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও পাবনা সদর ওসিকে- এর জবাব দিতে বলা হয়।

এর আগে গত ১৩ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হিউম্যান রাইটস অ্যাণ্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী।
দেশ ভাগের আগে উপমহাদেশের প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী সুচিত্রা পাবনার ওই বাড়িতে থাকতেন। সেখানে তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তিনি পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তেন।
সপরিবারে সুচিত্রা সেন ভারতে চলে যাওয়ার পর বাড়িটি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় এবং এখানে কিছুদিন সরকারি লোকজন বসবাস করতেন।
পরে ১৯৮৭ সালে ইমাম গাযযালি ইনস্টিটিউট ওই বাড়ির জমি ইজারা নেয়। ইনস্টিটিউটের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ জমি ইনস্টিটিউটের অনুকূলে অব্যাহত বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। সেই থেকে বাড়িটি তাদের দখলে রয়েছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



