
কেউ এগুলোকে চিতা বাঘ, কেউ মেছো বাঘ আবার কারও মতে এগুলো দুর্লভ প্রজাতির বাঘের বাচ্চা। এ ঘটনায় জেলায় দেখা দিয়েছে বাঘ আতঙ্ক।
কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় দুদিনের ব্যবধানে মারা পড়েছে ৩টি। খাদ্যের সন্ধানে এসে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ছালাভরা গ্রামের মাঠে গ্রামবাসীর লাঠিপেটায় মুমুর্ষ অবস্থায় ধরা পড়ে একটি বাঘের ছানা।
গত বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের গুলশান পাড়ার রাসেল নামের এক পশুপ্রেমী ছালাভরা গ্রামে পাওয়া মুমুর্ষ বাঘ সাবকটিকে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।
প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ভেটেনারি সার্জন পরিতোষ। তিনি জানান, এটি বাঘের প্রজাতি, মেছো বাঘ হতে পারে। তবে শুক্রবার সেটি মারা যায়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা গ্রামে দুটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। মৃত বাঘ দুটি দেখতে এলাকার শ’ শ’ মানুষের ঢল নামে কুশনা গ্রামে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর তার ধানের জমিতে কাজ করার সময় পাশের আখের ক্ষেতে ওই বাঘ দেখতে পায়। জাহাঙ্গীর ভয়ে একা মোকাবিলা করতে সাহস না পেয়ে গ্রামের মানুষকে খবর দিয়ে ডেকে আনে।
এরপর তারা সবাই মিলে ওই আখের ক্ষেত ঘিরে ফেলে বাঘ দুটিকে আটক করে। এ সময় গ্রামবাসীর লাঠিপেটায় বাঘ দুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বাঘ দুটি মারা যায়।
কুশনা গ্রামের ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব ও চাষি লিটন জানান, বেশ কিছুদিন ধরে গ্রামের অনেকের হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল প্রায় হারিয়ে যেত। যা তারা খোঁজাখুজি করেও সন্ধান পেতো না। এ অবস্থায় গ্রামবাসী বাঘ দুটিকে দেখতে পেয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পরে ওই গ্রামের মাটিতে পুঁতে রাখে।
মেরে ফেলা বাঘগুলোর গায়ে গোল ডোরাকাটা দাগের পরিবর্তে সারা গায়ে লম্বা আকৃতির ডোরাকাটা দাগ আছে। কুকুরের চেয়েও বেশি লম্বা ও উচ্চাকৃতির স্বাস্থ্যবান এ সাবকগুলো।
দুর্লভ প্রজাতির এ বাঘের একের পর এক মেরে ফেলার ঘটনায় সচেতন মানুষের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তারা প্রশাসনের মাধ্যমে বাঘ হত্যা বন্ধ ও ধরা পড়লে নিরাপদ মুক্ত জঙ্গলে ছাড়ার দাবি জানিয়েছেন।তথ্য সুত্রঃ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



