একটি জানাজা—কিন্তু সেটি যেন শুধু একজন মানুষের বিদায় নয়, বরং একটি জাতির অনুভূতি, বিশ্বাস ও ভালোবাসার বিস্ময়কর বহিঃপ্রকাশ। শুধুমাত্র এই জানাজায় অংশগ্রহণ করার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার পথে ছুটে এসেছে। কেউ এসেছে জেলা শহর থেকে, কেউবা উপজেলা কিংবা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে। যাতায়াতের কষ্ট, সময়ের সীমাবদ্ধতা কিংবা ব্যক্তিগত ব্যস্ততা—কিছুই তাদের এই সম্মিলিত আবেগকে থামাতে পারেনি।
যারা ঢাকায় উপস্থিত হতে পারেনি, তারাও নিজেদের জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করেছে। দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলা শহর, উপজেলা শহর এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে—বিশ্ববিদ্যালয়সহ—গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে হাজার হাজার মুসল্লীর অংশগ্রহণে। আনুমানিক দশ থেকে বারো লক্ষ মানুষ সরাসরি এই জানাজায় অংশ নিয়েছে। অথচ এই বিশাল জনসমুদ্রের মধ্যে হয়তো মাত্র একশ, পাঁচশ কিংবা হাজারখানেক মানুষ ছিলেন তার রক্তের আত্মীয়; বাকিরা সবাই ছিলেন আত্মার আত্মীয়—আদর্শ, সাহস ও ত্যাগের বন্ধনে আবদ্ধ মানুষ।

এই ভালোবাসা কেবল দেশের ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বাংলাদেশ পেরিয়ে বিশ্ব পরিমণ্ডলেও কোটি কোটি মানুষ তার জন্য দোয়া করেছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এমন সম্মান, গ্রহণযোগ্যতা ও ভালোবাসা অর্জন সত্যিই বিরল। আল্লাহু আকবর! এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দেয়—সম্মান মানুষের হাতে নয়, আল্লাহর হাতে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন, আর যাকে ইচ্ছা পর্যদুস্ত করেন।
এই সাহসী ও অদম্য বীরের জীবনদর্শন আজ বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে গভীরভাবে আন্দোলিত করেছে। তার দৃঢ়তা, নৈতিকতা ও আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মের মনে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তুলুক—এই কামনাই। ইয়া আল্লাহ, এই আলো আমাদের হৃদয়ে স্থায়ী করে দিন—আ-মী-ন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



