
খাবারে নতুন অতিথি টিয়াকে ভাগ বসাতে দেখে বুলবুলি তো রীতিমত রেগে টং
আমি প্রতিদিন আমার মেহমানদের খাবার দেয়ার জন্য বারান্দার বিভিন্ন জায়গায় ব্যবস্থা করেছি । বছর খানেক হবে মনে হয় আমার এই অতিথিদের আনাগোনা । তবে তারা সবাই মুক্ত বিহঙ্গ । খাচায় ভরা পাখি আমার ভালোলাগেনা । আমার আপ্যায়নে প্রথম আসলো চড়ুই ও তার দলবল । তাদের খাবার হিসেবে দেই চাল , কাউন অথবা ধান ।

এন্টিক সাজে চড়ুই দম্পতি

টবের ফাকে চড়ুই

সেই চড়ুই

স্ত্রী চড়ুই খেতে ব্যাস্ত আর স্বামী মশাই গ্রিলে বসে পাহারা দিচ্ছে। বিপদ দেখলেই চিক চিক করে গিন্নিকে সতর্ক করবে।
এরপর আসা শুরু হলো শালিকের । ক ক করে সংগীকে ডেকে আনে আর চড়ুইর খাবারই ভাগ করে খেয়ে যায় চড়ুই গুলোকে তাড়িয়ে দিয়ে , তবে তারা মহা চালাক , ছবি তোলা খুব কষ্টের ।

একাকী শালিক

ইতি উতি দৃষ্টি , তাঁর এই কাজ কারবার কেউ লক্ষ্য করছে কিনা তার জন্য সতর্ক শালিক !
এরপরের অতিথি হলো বুলবুলি । তারা আবার ঐসব ধান চাল খেতে চায়না। তাদের জন্য ভিন্ন আয়োজন। নিত্য ফল পাকুড়ের জোগান দিতে হয় তাদের জন্য। কখনো পাকা কলা , পাকা পেপে। আমের দিনে পাকা আম । তাদের সেই তৃপ্তি করে খাওয়ার ভঙ্গীটা দেখার মত । আমি পর্দার ফাক দিয়ে চুপি চুপি দেখি ।

বুলবুলি কলা খেতে ব্যাস্ত

বুলবুলি

বুলবুলি
এরপর আমাদের অবাক করে আজ চারদিন হলো অতিথি হয়ে আসছে টিয়া । দুটো অথবা কখনো একটি । তবে তাদের দলে মোট তিনটি পাখি আছে ।

আমার শিকলি কাটা পাখি

জোড় বেধে বসে আছে

খুটে খুটে খাচ্ছে গম

খেতে ব্যস্ত দুজনা

বনের পাখি বলে 'আকাশ ঘন নীল কোথাও বাধা নাহি তার '

খাবারের পাত্রটি খালি থাকায় মনমরা একাকী টিয়া
টিয়া পাখীরা যখন খেতে আসে তখন বুলবুলিগুলো পাশের বাড়ীর ছাদের থেকে তীক্ষ নজর দিয়ে বসে থাকে । কখন তারা যাবে আর কখন ওনারা এসে খাবেন । এবার আর ধৈর্য্যের বাধ মানলো না বুলবুলিটির । লাফ দিয়ে এসে আমাদের বেধে রাখা ডালে বসে পড়লো ।

টিয়া পাখীটার চলে যাবার অপেক্ষায় বিরক্ত বুলবুলি অন্য দিকে ফিরে বসে আছে

বাসার পাশে আগুনে পলাশ ফুলে টিয়া

আমার প্রিয় ব্লগের মাথার উপর এই বিজ্ঞাপন দেখার পর নিখাদ একটা ছবি ব্লগ দেয়ার উৎসাহ পেলাম
শেষের বিজ্ঞাপনের ছবিটি ছাড়া বাকি সব ছবি আমাদের ক্যমেরায় তোলা
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



