somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার কথা -২৪

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"আমার কথা -২৩" পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা -২৩

কিংবদন্তী শিক্ষক JRS
এমসিসি তে এসে প্রথম যেদিন থেকে ক্লাসে যোগদান করলাম, সেদিন থেকেই জেনেছিলাম এখানকার শিক্ষকগণ তাদের নামের আদ্যোক্ষর দিয়ে পরিচিত। যেমন নাজমুল আহসান-NA, নূরুল ইসলাম-NI, হায়দার আলী-HA, ইত্যাদি। প্রথম দিনের ইংরেজী ক্লাসের শিক্ষক হিসেবে ক্লাস রুটিনে দেখলাম নাম লেখা আছে JRS। কল্পনা করতে থাকলাম, নামটা কি হতে পারে! জাবেদুর রহমান, জয়নুর রহমান জাতীয় কিছুর সাথে S দিয়ে কোন নাম? কৌ্তুহল নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম। ঘন্টা বাজার পর যিনি ক্লাসে এলেন, তাঁকে দেখে একাধারে বিস্মিত ও চমৎকৃ্ত হয়ে তাকিয়ে রইলাম তাঁর মুখের দিকে, তিনি কী বলেন তা শোনার জন্য। তিনি একজন বিদেশী, হ্যাংলা পাতলা কিন্তু দীর্ঘদেহী সৌম্যকান্তি সুদর্শন পুরুষ, মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি, কিছুটা কুঁজো হয়ে হাঁটেন। প্যান্টের পেছনের দুই হিপ পকেটে দুই হাত ঢুকিয়ে শরীরটাকে ব্যালেন্স করে হাঁটেন। পরে জানতে পেরেছিলাম, কোন একটা দুর্ঘটনার কারণে তাঁর stiff spine ছিল, অর্থাৎ তাঁর শিরদাঁড়ায় সমস্যা হয়েছিলো। সে কারণে তিনি বেশীক্ষণ মেরুদন্ডটাকে একেবারে সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে বা হাঁটতে পারতেন না। প্রথম ক্লাসে শিক্ষকগণের নিজেদেরকে পরিচিত করানোর রেওয়াজ ছিল। তিনি বাম হাত হিপ পকেটে রেখে ডান হাতে চক ধরে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে উল্টো ফিরে ক্যাপিটাল লেটার্সে তাঁর নাম বড় বড় করে লিখলেনঃ JAMES ROGER SIMPSON। এতক্ষণে আমার কৌ্তুহল দূর হলো।

তিনি জানতেন, আমাদের ক্লাসে রাজধানীর নামী দামী ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে পড়া কিছু চোস্ত ইংরেজী জানা ছাত্র যেমন ছিল, তেমনি ছিলো মফস্বল জেলাশহর থেকে আগত অখ্যাত বাংলা মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রও। শেষোক্ত শ্রেণীর ছাত্রদের বোঝার সুবিধার্থে তিনি তাঁর কথাগুলোকে অত্যন্ত ধীরে এবং পরিস্কার ভাবে উচ্চারণ করছিলেন, যেন সবাই বুঝতে পারে তাঁর কথা। তাদের প্রতি তিনি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল ছিলেন। এর পরেও প্রথম প্রথম তাঁর অনেক কথাই তাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যেত। প্রথম ক্লাস থেকেই তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব ভালো লেগেছিলো তাঁর এই আন্তরিকতার জন্য। তাঁকে ভালো লাগার আরেকটা কারণও ছিলো। আমরা প্রথম কয়েক সপ্তাহেই বুঝে গিয়েছিলাম যে তিনি ৭ম-৮ম শ্রেণীর শিশুতোষ বালকদেরকে শারীরিক শাস্তি দেয়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন। ছোট খাটো ব্যত্যয়ের জন্য তিনি এক্সট্রা ড্রিল (ইডি) দিতেন না। বড় জোর এক্সট্রা প্রেপ দিতেন। এক্সট্রা প্রেপ মানে এক্সট্রা প্রিপারেশন, অর্থাৎ একজন শিক্ষকের তুত্বাবধানে অতিরিক্ত এক ঘন্টা সময় পড়ার টেবিলে বসে পড়াশোনা করা। ইডিতে শারীরিক কষ্ট হতো, গরম পীচের রাস্তার উপর ক্রলিং করতে করতে হাতের কনুই এর চামড়া কালো হয়ে যেত, কখনো ফোস্কাও পড়ে যেত। আর এক্সট্রা প্রেপ এর কারণে মানসিক চাপের সৃষ্টি হতো। সতীর্থরা যখন কমন রুমে খেলতে যেত, এক্সট্রা প্রেপ এর শাস্তিপ্রাপ্তরা তখন পড়ার টেবিলে বসে হাঁসফাঁস করতো। JRS ৭ম/৮ম শ্রেণির ক্যাডেটদের প্রতি অতি সদয় থাকলেও বড়দের শৃঙ্খ্লার ব্যাপারে আপোষহীন ছিলেন। আমার আবছা মনে পড়ছে যে ৬৯ সালের শেষের দিকে অথবা ৭০ এর প্রথম দিকে একবার একাদশ শ্রেণীর (২য় ব্যাচ) বড়ভাইদের একসাথে অনেককে তিনি ইডি দিয়েছিলেন। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে অনেকটা বিদ্রোহের ভাব দানা বাঁধছিলো। এমন কি কলেজ কর্তৃপক্ষও চাচ্ছিলেন কিছুটা নমনীয় হতে। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত নমনীয় হননি।

আমার দেখা সিম্পসন আর আজকের সিম্পসনের মাঝে অতি সামান্যই পার্থক্য। তখন মাথাভর্তি চুল ছিলো, এখন নেই। তখন চুল কালো ছিলো, এখন সাদা। এ ছাড়া আর সবই মিল, শুধুই মিল। খুব পরিপাটি পোষাক পড়তেন। সাদা আর নীল রঙের সার্ট বেশী পড়তেন। টাইটা একটু লম্বা করেই বাঁধতেন, খুব সুন্দর সুন্দর প্রিন্টের টাই পড়তেন, খুব অভিজাত লাগতো দেখতে। নীচে ছবি দিয়েছি, ছবি দেখেই সহজে বোঝা যাবে যে আমার কথাটা কতটা ঠিক! তাঁর হাসিটা মুচকির মতই লাগতো, কিংবা তার চেয়ে একটু বেশী। ভিনদেশী মানুষ, কিন্তু আমরা তাঁকে মোটেই ভয় পেতাম না। তাঁর ক্লাসগুলো খুবই উপভোগ করতাম আমরা, আমি বিশেষ করে। দেবতাতুল্য মনে হতো তাঁকে। পরীক্ষায় নম্বর দেবার ব্যাপারে খুবই ফেয়ার ছিলেন। একবার একটা পরীক্ষায় আমি কাঙ্খিত নম্বরের চেয়ে অনেক কম নম্বর পেয়ে মনোক্ষুন্ন হয়েছিলাম। ওনার কাছে সেটা প্রকাশও করেছিলাম। উনি ধৈর্য্যের সাথে আমাকে বুঝিয়েছিলেন যে উনি ওনার প্রশ্নে আমার থেকে কী জানতে চেয়েছিলেন, আর আমি স্পেসিফিক না হয়ে কিভাবে শুধুই বীটিং এরাউন্ড দ্য বুশ করেছিলাম। সেজন্য তিনি আমাকে মোটেই নম্বর দেন নাই ও প্রশ্নটাতে। খাতা দেখার ব্যাপারে ভীষণ পাংচুয়াল ছিলেন। যেদিন পাক্ষিক পরীক্ষার খাতা দেখাবার কথা থাকতো, ঠিক সেদিনই দেখাতেন। কখনো একদিনের জন্যেও দেরী করেন নাই। খাতায় নম্বর কেটে থাকলে ঠিক কী কারণে কেটেছেন, সে ব্যাপারে প্রতিটি খাতায় একটি নোট লিখে দিতেন। আরও সুন্দর করে কিভাবে লেখা যায়, সে ব্যাপারে উদাহরণ দিয়ে পথ বাৎলে দিতেন।

তিনি একজন অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট ছিলেন, কিন্তু একজন অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট যে কি জিনিস তা বোঝার মত সম্যক ধারণা তখনো আমাদের হয়নি। তবে এখন ভেবে অবাক হই যে সেই তখনকার দিনে, অর্থাৎ ১৯৬৬-৬৯ সালের মত সময়ে একজন ব্রিটিশ অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট কি ভেবে তাঁর নিজ দেশের লোভনীয় কর্পোরেট চাকুরীর মোহ উপেক্ষা করে শিক্ষকতাকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গোড়াই (মির্জাপুর) এর মত একটা ঘোর মফস্বলে শিক্ষকতা করতে এসেছিলেন! প্রথম দিকে তিনি আমাদের শুধু গ্রামার পড়াতেন। গ্রামারের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোকে তিনি এমনভাবে তুলে ধরতেন যে তাঁর কথা মনযোগ দিয়ে শুনলে গ্রামার পরীক্ষার আগে আর বই ধরতে হতোনা। বোঝার সুবিধার্থে তিনি নানারকমের কেরিকেচার করতেও দ্বিধা করতেন না। যেমনঃ sit up (শোয়া থেকে উঠে বসা) আর sit down (দাঁড়ানো থেকে বসা) এর পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে একদিন তিনি আমাদের চঞ্চল বন্ধু ফাহিয়ানকে বল্লেন, ‘Fahian, stand up!’ ফাহিয়ান উঠে দাঁড়ালো। তারপর বললেন, ‘Now sit down!’ ফাহিয়ান চেয়ারে বসে পড়লো। তারপর তিনি বললেন, ‘Now sit up!’ ফাহিয়ান এবারে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। কী করবে তা বুঝতে না পেরে দুই হাত দিয়ে পশ্চাদ্দেশে চেয়ারটা চেপে ধরে আস্তে আস্তে চেয়ারসহ উঠে দাঁড়াতে থাকলো। তিনি মুচকি হাসতে শুরু করলেন, আর আমরা ক্লাসের বাকী সবাই না বুঝেই তাঁর সাথে হাসতে থাকলাম। তবে আমরা এটুকু বুঝতে পেরেছিলাম যে ফাহিয়ান যা করছিলো sit up বলতে নিশ্চয় তা বুঝায় না। তিনি তখন তাকে টীচার্স প্লাটফর্মে (দুটো চৌকি জোড়া দিয়ে বানানো উঁচু জায়গা যেখানে দাঁড়িয়ে টীচাররা লেকচার দিতেন) ডেকে নিলেন এবং শুয়ে পড়তে বললেন। ফাহিয়ান চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে তিনি তাকে বললেন, Now you sit up, without standing. এবারে ফাহিয়ান এবং সেই সাথে গোটা ক্লাস বুঝে ফেললো, sit up মানে শোয়া থেকে উঠে বসা।

ঢাকা থেকে আমাদের কলেজে যাওয়া আসার পথে চন্দ্রা বা মৌচাকের কাছাকাছি নূরবাগ নামে একটা জায়গা ছিল। রাস্তা নির্মাণে কোন ত্রুটির কারণে ঐ এলাকাটা দিয়ে যখন গাড়ী চলতো, তখন যাত্রীরা খুব ধাক্কা খেতেন। একদিন ক্লাসে পড়ানোর সময় ইংরেজী শব্দ Jerk বোঝাতে গিয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা যখন ছুটিতে ঢাকা যাই, তখন নূরবাগ অতিক্রম করার সময় আমরা কোন কিছু অনুভব করি কিনা। আমরা সহজেই বুঝে ফেললাম, তিনি কোন জায়গা আর কোন অনুভূতির কথা বলছেন, কেননা জার্কিং এর জন্য জায়গাটা কুখ্যাত ছিল। তিনি বুঝিয়ে বল্লেন, নূরবাগে আমরা যে ধাক্কা খাই, সেটাই হলো Jerk।

JRS এর একটা দুই দরজা বিশিষ্ট মিনি অস্টিন গাড়ী ছিল। প্রতি সপ্তাহান্তে তিনি স্ত্রী আর তখনকার ৩/৪ বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে ঢাকা চলে আসতেন। তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে ইংরেজী ভাষা প্রসারের এক কর্মসূচীতে ঢাকা এসেছিলেন। একই কর্মসূচীতে মিঃ জনসন নামে আরেকজন ব্রিটিশ শিক্ষকও তাঁর সাথে এসেছিলেন, কিন্তু পরেরজন কখনো আমাদেরকে পড়ান নাই। তিনি পড়ানোর চেয়ে খেলাধূলায় বেশী আগ্রহী ছিলেন এবং ক্যাডেটদের সাথে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন। JRS যখন গাড়ী চালিয়ে ঢাকা আসতেন, মাঝে মাঝে মিঃ জনসনও তাদের সাথে চলে আসতেন। JRS পুত্র সেদিনের সেই শিশুটি এখন একজন বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে উচ্চপদে কর্মরত। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের প্রত্নতত্ত্বের উপর একজন বিশেষজ্ঞ বলে বিবেচিত। উল্লেখ্য, আমাদের কলেজ ছেড়ে আসার পর JRS দীর্ঘদিন বাহরাইনে শিক্ষকতা করেছিলেন। তিনি তাঁর কর্মজীবনের একটু শেষের দিকে এসেই ১৯৮৮ সালে Ph.D ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি Norwich, London এ (লন্ডন থেকে ট্রেনে দুই ঘন্টার দূরত্বে) বসবাস করেন এবং ৭৭ বছর বয়সে এখনও University of East Anglia তে অধ্যয়নরত বিদেশী ছাত্রদেরকে ইংরেজী পড়ান। তিনি ও তাঁর স্ত্রী দু’জনেই নরউইচে সক্রিয় অবসরোত্তর জীবন যাপন করে চলেছেন। তাঁরা মূলতঃ শিল্প সাহিত্য বিষয়ে এবং স্থানীয় চার্চের কর্মকান্ডে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখেন।

লেখাটার শুরুতে উপ শিরোনাম দিয়েছিলাম “কিংবদন্তী শিক্ষক JRS”। এরকম একজন কিংবদন্তী শিক্ষকের কথা মাত্র একটি পর্বে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই তাঁর সম্বন্ধে বাদবাকী কথাগুলো পরের পর্বে বলে শেষ করবো বলে মনস্থির করলাম। আমার জীবনে তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন কিংবদন্তী শিক্ষক। ছাত্রজীবনে আমি ইংরেজী ভাষার যা কিছু শিখেছি, তার জন্য আমি দু’জনের কাছে আজীবন ঋণী। প্রথমজন আমার মরহুম পিতা, অপরজন JRS। তাঁরা উভয়ে আমার ইংরেজী শিক্ষার ভিত গড়ে দিয়েছিলেন, বাকীটা শিখেছি ব্যক্তিগত পড়াশোনার মাধ্যমে, যার বেশীরভাগই ছিলো ট্র্যাশ। কিন্তু ইংরেজীর কারণে জীবনের বহু বৈতরণী পার হওয়া আমার জন্য অনেক সহজ হয়েছে। শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও ইংরেজীর কারণে আমার বিএমএ’র পাসিং আউট অর্ডার বেশ ভালো ছিলো। পরে সামরিক বাহিনীতে এসে এনডিসি কোর্স করার সময় এসাইনমেন্ট হিসেবে আমার রিসার্চ পেপার এবং পলিসি পেপার, এই দুটো গ্রেডেড পেপারই বেস্ট পেপার এওয়ার্ড পেয়েছিলো। এ দুটো সাফল্য তাই আজ আমি কৃতজ্ঞতাভরে তাঁদের প্রতি উৎসর্গ করলাম। আর এখন পেছনে ফিরে তাকালে মনে হয়, ইংরেজীর কারণেই আমার সেনাবাহিনীতে যোগদানের বন্ধ হওয়া দরজাটা হঠাৎ করে খুলে গিয়েছিলো। কিভাবে, সেটা যথাসময়ে বলবো।


লন্ডনের হাইড পা্র্কে পায়চারীরত JRS। ছবিটি ২০১৪ এর জুলাই এ তোলা হয়।


ক্লান্ত JRS একটু বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। দুটো ছবিই তুলেছেন তাঁর গুণমুগ্ধ ছাত্র ও আমার ব্যাচমেট প্রফেসর সালেহ আহমেদ তানভীর, যিনি প্রায়ই "একাডেমিক ভিজিটর" হিসেবে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে আমন্ত্রিত হন। বর্তমানে তিনি আমেরিকার ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন। ঐ সময় তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে এক গবেষণা কাজের তত্ত্বাবধান করছিলেন। তাঁকে আমরা, তাঁর ব্যাচমেটরা অনুরোধ করেছিলাম, একদিন সময় করে আমাদের সবার পক্ষ থেকে আমাদের প্রণতিটুকু সিম্পসন দম্পতির নিকট পৌঁছে দিয়ে আসতে। তানভীর যখন তাঁর সাথে যোগাযোগ করলেন, তিনি এটা শুনে অবাক হয়ে যান যে তাঁরই একজন ছাত্র লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের মত বিশিষ্ট খ্যাতিমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তিনি তখন তানভীর এর কাছে এ্যপয়েন্টমেন্ট চেয়ে নিয়ে তার সাথে দেখা করতে আসেন। যেতে দু'ঘন্টা, ফিরতে দু'ঘন্টা আর তার সাথে সময় কাটিয়েছেন দু'ঘন্টা। এই ছয় ঘন্টা সময় ব্যয় করে এই ৭৭ বছর বয়সী যুবক শিক্ষক তাঁর গুণী ছাত্রের প্রতি সম্মান দেখালেন। একেই বলে গুণীর সমাদর, আর জ্ঞানের প্রতি অকৃ্ত্রিম অনুরাগ!

চলবে...

ঢাকা
০৮ অক্টোবর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×