somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার কথা -২৫

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"আমার কথা -২৪" পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা -২৪

কিংবদন্তী শিক্ষক JRS (দ্বিতীয় পর্ব)
“কিংবদন্তী শিক্ষক JRS” এর উপর আমার আগের লেখাটা পড়ে অনেকেই অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন। কেউ টেলিফোনে, কেউ ই মেইলে, কেউ ফেইসবুকে জানতে চেয়েছেন তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়েছে কিনা, তাঁর আরো কোন ছবি আছে কিনা। উত্তর দুটোরই ইতিবাচক। হয়েছে, আছে। তবে তার আগে আমি তাঁর মানবিক গুনাবলী সম্পর্কে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই। গল্পটা আমি আমার প্রয়াত অংক শিক্ষক মরহুম মাহতাব উদ্দিন আহমেদ স্যারের কাছ থেকে তাঁর নিজ মুখে শুনেছি। পেশাগত জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মাহতাব স্যার এমসিসি’র প্রিন্সিপাল পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। এক প্যারেন্টস ডে তে তিনি আমাকে দেখে তাঁর অফিসে ডেকে নিলেন। এটা সেটা গল্পের মাঝে এক পিকনিকের কথা বলতে গিয়ে JRS এর প্রসঙ্গ উঠলো। ৬৭-৬৮ সালে আমরা পুরো কলেজ পিকনিকে গিয়েছিলাম মধুপুর বনে। তখনকার বন আজকের বনের মত ছিলনা। ঘন জঙ্গলে দিনের বেলাতেও কেমন অন্ধকার অন্ধকার লাগতো। আমার স্পষ্ট মনে আছে সেই পিকনিকের কথা। এক গারো যুবকের খেলাচ্ছলে গর্ত থেকে জীবন্ত সাপ ধরে আনা নিজ চোখে দেখেছিলাম। যদিও তখন সেখানে বনবিভাগের একটা রেস্টহাউজ ছিল, কিন্তু এতগুলো লোকের খাবার দাবার আয়োজন করাটা চাট্টিখানি কথা ছিলনা। এছাড়া বনের মাঝে হাঁটাহাঁটি ছোটাছুটি করে আমাদের ক্ষুধাও প্রচন্ড বেড়ে গিয়েছিলো। ফলে দুপুরে লাঞ্চ কিছুটা শর্ট পড়েছিলো। মাহতাব স্যার তখন কনিষ্ঠতম শিক্ষক, তাই খাওয়া দাওয়া আয়োজনের তদারকি করার দায়িত্ব মেসিং অফিসার ছাড়াও তাঁর মত আরো কয়েকজন কনিষ্ঠ শিক্ষককে দেয়া হয়েছিলো। খাওয়া শর্ট পড়ার জন্য তাঁরা যারপরনাই লজ্জিত ও ভীত ছিলেন। ব্যাঘ্রসম প্রিন্সিপাল কর্ণেল আনসারীর ভয় তো ছিলই। সেদিন তাঁর প্লেটে কিছুই জোটে নাই। এটা মিঃ এবং মিসেস সিম্পসন দূর থেকে খেয়াল করেছিলেন। তাঁরা তাঁকে তাঁদের ছোট্ট অস্টিন গাড়ীটার কাছে ডেকে নিয়ে গেলেন। সেখান থেকে মিসেস সিম্পসন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল (পরবর্তীতে ঢাকা শেরাটন) থেকে আনা কেক বের করে তাঁকে খেতে দিয়েছিলেন। মাহতাব স্যার তাঁদের এই এহসানটুকুর কথা ভুলতে পারেন নাই। পরে অবশ্য এ কথাটা জানাজানি হয়ে গেলে তাঁর কলিগরা এ নিয়ে তাঁর লেগ পুল করতে ছাড়েন নাই। উল্লেখ্য, মাহতাব স্যার তখন ছিলেন সদ্য ভার্সিটি থেকে বের হওয়া এলিজিবল ব্যাচেলর। যদিও তিনি খুব নিরীহ, নির্বিরোধ, শান্তশিষ্ট প্রকৃতির ছিলেন, তাঁর উজ্জ্বল ফর্সা চেহারাটা, ক্লীন শেভড মুখ, পরিপাটি পোষাক ইত্যাদি খুব আকর্ষণীয় ছিলো। মিসেস সিম্পসনের কাইন্ডনেসটাকে তারা একটু অন্যভাবে রিলেট করে মজা পাচ্ছিলেন।


JRS ক্লাস সেভেনে আমাদেরকে শুধু গ্রামার পড়িয়েছিলেন। এইটে ওঠার পর আস্তে আস্তে লিটারেচারের সাথে পরিচিত করাতে শুরু করেন। যাই পড়াতেন, তা যেন আমাদের কাছে মজাদার হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতেন। তিনি আমাদেরকে দিয়ে নাটক করিয়েছিলেন। সেই নাটকের একটা দৃশ্যে ফেনী রেলওয়ে স্টেশন কে depict করেছিলেন। আমাদের ব্যাচের চল্লিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে যমুনা রিসোর্টে একত্রিত হয়েছিলাম। সেখানে বন্ধু মোস্তাফিজকে (সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক) এটা নিয়ে এখনো গর্ববোধ করতে দেখেছি, কারণ তার দেশের বাড়ী ফেনী। দুবাই প্রবাসী বন্ধু মহীউদ্দিন জামানকে আমরা সেদিন স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে পড়ে থাকা এক মৃত সৈ্নিকের ভূমিকায় তার উজ্জ্বল অভিনয়ের কথা!

তিনি আর্থার কোনান ডয়েলের "শার্লক হোমস" সংগ্রহ করে এনে দিয়েছিলেন আমাদেরকে পড়তে। "The Adventures At Dabanga School" নামে এক ভারী মজার বই পড়িয়েছিলেন, যেখানে এক ব্রিটিশ বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রদের কথা বলা হয়েছিলো, যাদের কার্যকলাপ, চিন্তা চেতনা, দুষ্টুমি ইত্যাদির সাথে আমাদের হুবহু মিল ছিলো। আমরা তাই বইটি পড়ে ভীষণ রকমের মজা পেয়েছিলাম। ক্লাসের পড়া ছাড়াও JRS আমাদেরকে শেক্সপীয়রের নাটকের কথা বলতেন, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মূরাল চিত্রকর্ম ‘দ্য লাস্ট সাপার’ এর কথা বলতেন, তাঁর প্রিয় কবি Alfred Lord Tennyson এর কথা বলতেন। এ ছাড়াও তিনি কবি W.B.Yeats (১৯২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী) এর কথাও প্রায়ই বলতেন। তখন পর্যন্ত ইংরেজী সাহিত্য সম্পর্কে আমার যেটুকু জ্ঞান ছিল, তাতে বায়রন শেলী ছাড়াও ইংলিশ রোমান্টিক কবি John Keats এর নামের সাথে (শুধুমাত্র নামের সাথেই) পরিচিত ছিলাম, কিন্তু আইরিশ কবি W.B.Yeats এর নাম তখনো শুনিনি। তাঁর কথা শুনেই একদিন লাইব্রেরীতে গিয়ে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা ঘেটে W.B.Yeats সম্পর্কে জেনেছিলাম। এটা জেনে মুগ্ধ হয়েছিলাম যে Yeats আমাদের কবিগুরুর ‘গীতাঞ্জলী’র ভুমিকাপত্র (introduction) লিখেছিলেন। আরও জেনেছিলাম যে তিনি তাঁর চেয়ে বিশ বছরের ছোট আমেরিকান ইমপ্রেশনিস্ট কবি এজরা পাউন্ডের খুব ভালো বন্ধু ছিলেন।

JRS কে আমি খুবই ভক্তি শ্রদ্ধা করলেও তাঁর প্রতি আমি মনোক্ষুন্ন হয়েছিলাম যেদিন তিনি আমাকে জোর করে একটা ইংলিশ ডিবেটের জন্য মঞ্চে তুলে দিয়েছিলেন। অনেক অনুনয় বিনয় করেও রক্ষা পাইনি। আমার আপত্তির মুখে তিনি আমাকে মৃদু ভর্ৎসনাও করেছিলেন। সেদিন জেনেছিলাম হাঁটুকাঁপানি কাকে বলে! রোস্ট্রামের পেছনে আমি লিটারেলী ঠকঠক করে কাঁপছিলাম। কোনরকমে ঢোক টোক গিলে দু’চারটে বাক্য হয়তো বলতে পেরেছিলাম, কিন্তু এতেই চোখে অন্ধকার দেখা শুরু করেছিলাম। জীবনে আমার কোন গোপন দুর্বলতাকে কেউ কখনো এতটা প্রকাশ্যে নাঙ্গা করে দেয়নি। নিজের একটা বিরাট গলদ সেদিন আমাকে প্রায় গ্রাস করে ফেলেছিলো। গোপনে গোপনে এই গলদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি, মহড়া দিয়েছি, কিন্তু শেষ তক সুবিধে করতে পারিনি। এ দুঃখটা অনেকটা কাটিয়ে উঠি যখন আমার বড় ছেলে বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃক আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় একই কলেজের প্রতিনিধি হয়ে ইংরেজী ও বাংলা উভয় বিতর্কে অংশগ্রহণ করে একটাতে প্রথম আর অপরটাতে দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করে। ঐ প্রতিযোগিতার একটাতে সঞ্চালক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রধান ডঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, অপরটাতে আমারই ব্যাচমেট সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ডঃ মোস্তাফিজুর রহমান। পরেরজন তখনো জানতেন না যে প্রথম স্থান অর্জনকারী আদনান তাঁর ব্যাচমেট এর ছেলে। অনুষ্ঠানের পরে ওকে তাঁর সামনে নিয়ে গিয়ে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। কথা বলতে বলতে কী কাজে আমি যেন একটু অন্যত্র সরে গিয়েছিলাম। তখন তিনি আমার স্ত্রীর কাছে ওর অনেক (এবং আমার কিছুটা) প্রশংসা করেছিলেন, আমার স্ত্রী ফেরার সময় গাড়ীতে বসে এ কথা বলেছিলেন।

JRS কে ভালোবাসতাম, কারণ তিনি ক্লাসে খুব ইনফর্মাল ছিলেন। সময় পেলেই ছোটখাট ফান করতেন। একদিন ক্লাস টেস্টের সময় এক বন্ধু অপর বন্ধুর খাতার দিকে বারবার তাকিয়ে কিছুটা সাহায্য নেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলো। ব্যাপারটা তাঁর নজরে এলে তিনি তাকে উঠে দাঁড়াতে বল্লেন। সে দাঁড়ালে তাকে পাশের জনের খাতাটা ভালো করে দেখতে বল্লেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, “ক্যান ইউ সি ইট বেটার নাউ?” বন্ধুটি সলজ্জ হাসি দিয়ে সাথে সাথে নিজ আসনে বসে পড়েছিলো। আমাদের স্টেশনারী শেষ হয়ে গেলে একটা ডিমান্ড স্লিপে যে কোন একজন শিক্ষকের স্বাক্ষর নিয়ে স্টোরে জমা দিলে রিপ্লেসমেন্ট পাওয়া যেতো। একদিন আমার বন্ধু ফজলু (ডঃ ফজলুল হক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ ফিজিশিয়ান হিসেবে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত) একটা ডিমান্ড স্লিপ বানিয়ে তাঁর স্বাক্ষর নিতে গেলে তিনি সই করে দেন। স্বাক্ষরের নীচে কোন বিষয়ের শিক্ষক তা উল্লেখ করতে হতো। আমি ফজলু’র পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। ফজলু’র প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য JRS বিষয়ের জায়গাটা খালি রেখে স্লিপটা ওর হাতে ফেরৎ দেন। ফজলু তাঁকে অনুরোধ করলো “Lecturer in .....” এর খালি জায়গাটা পূরণ করে দিতে। তিনি খসখস করে খালি জায়গাটাতে ‘URDU’ লিখে (যা ছিল অকল্পনীয়, সিম্পসন উর্দু পড়াবে!) ফজলু’র দিকে একটা funny gesture করলেন। ফজলু মুখ টিপে হাসি চেপে নিজ আসনে ফেরত এসেছিলো। তাঁর এসব কৌতুকের কথা মনে করিয়ে দিলে তিনি গত বছর আমার একটা মেইলের জবাবে লিখেছিলেন, “Many of the incidents referred to I had long forgotten. I have to laugh and sigh at some of the things said and done by me in my naïve youth.”

একদিন JRS ক্লাসে এসে ব্ল্যাকবোর্ডে বড় করে লিখলেন, INDEPENDENCE DAY। তারপর আমাদের দিকে ঘুরে তাকিয়ে বল্লেন বিষয়টির উপর রচনা লিখতে। এটা ছিল আমাদের জন্য এক আচমকা বিস্ময়! তখন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হতো ১৪ আগস্ট তারিখে। কিন্তু ঐদিন তারিখটা মোটেও INDEPENDENCE DAY এর ধারে কাছে ছিলনা। রচনা লিখতে বলে তিনি চুপ করে বসে থাকলেন, সারাটা ক্লাসে একটা কথাও বলেন নি। তিনি যে কোন কিছু নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, যেমন ক্লাসে বসে আগের পরীক্ষার খাতা দেখা বা কোন কিছু মন দিয়ে পড়া, তাও নয়। শুধু আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখছিলেন আমরা কে কি করি। ঘন্টা বাজলে তিনি নীরবে চলে গেলেন, একবারও খাতাগুলোর কথা কিছু না বলেই। এখন ভাবি, হয়তো এটা ছিল কোন সাইকোলজিকাল টেস্ট।

Preposition পড়াতে গিয়ে তিনি ব্ল্যাকবোর্ডে লিখেছিলেন, “My watch has run DOWN, because I forgot to wind it UP last night"। সেই থেকে run DOWN আর wind UP এর Preposition জীবনে কখনো ভুল হয়নি। আরেকদিন ক্লাসে এসে ব্ল্যাকবোর্ডে তিনি লিখলেন, " When I see dark clouds, I feel......"। তারপর আমাদেরকে বল্লেন আমরা কে কী ফীল করি, দাঁড়িয়ে সেটা একে একে বলতে। মনে পড়ে আমাদের বন্ধু নজরুল (হার্ভার্ডের প্রাক্তন অধ্যাপক, বর্তমানে জাতিসংঘে উচ্চ পদে কর্মরত) শূন্য জায়গাটায় “রোমান্টিক” (ক্লাস এইটেই!) বসিয়ে বাক্যটি উচ্চারণ করেছিল। এটা অনেকেরই মনের কথা ছিল, নজরুল সেটা নির্দ্বিধায় বলতে পেরেছিল বলে শিক্ষক, ছাত্র সবাই খুশী হয়েছিলো।

আমাদের সাথে তাঁর সর্বশেষ ক্লাসটার পর ক্লাস ক্যাপ্টেন তাঁকে হোম ওয়ার্ক দেয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি উলটো ঘুরে ব্ল্যাকবোর্ডে লিখেছিলেন, “ENJOY YOURSELVES”! এটাই ছিল একটা হোম ওয়ার্ক! ভাবতে পারা যায়? কেন্দ্রীয়ভাবে দেয়া তাঁর বিদায়ী অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণের শেষ বাক্যটি ছিল “LONG LIVE EAST PAKISTAN” (পাকিস্তান নয়), যা শুনে প্রিন্সিপাল তার চশমাটা চোখ থেকে কপালে তুলেছিলেন, আর তিনি তাঁর কুঁজো শিরদাঁরা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ডানে বামে তাকিয়ে আমাদের করতালি উপভোগ করছিলেন। গত বছর জুলাই মাসে তাঁর সাথে আমাদের যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হবার পর আমরা অনেকেই উল্লসিত হয়ে তাঁর সাথে ই মেইলে যোগাযোগ করি। আমাদের মেইল পেয়ে তিনি অভিভূত হয়ে যান। আগের পর্বে বলেছি, আমাদের বন্ধু ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি’র প্রফেসর সালেহ আহমেদ তানভীর গত বছরে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে “একাডেমিক ভিজিটর” হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি আমাদের সবার পক্ষ থেকে তাঁর সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ কামনা করলে তিনি তানভীরের একাডেমিক সাফল্যের কথা শুনে চমৎকৃ্ত হন এবং নিজে নরউইচ থেকে ট্রেনে দু’ঘন্টার জার্নি করে এসে তানভীরের সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ করে ছাত্রের প্রতি একজন শিক্ষকের বিরল সম্মান প্রদর্শন করেন। তাঁরা উভয়ে একত্রে বসে কয়েক ঘন্টার মত মধুর স্মৃতিচারণ করেন এবং তানভীরের সাথে লাঞ্চ করে হাইড পার্কে কিছুক্ষণ সময় কাটান। এ সময়ের কয়েকটা ছবি এখানে সবার শেষে দিচ্ছি।

আমাকে একটি মেইলের জবাবে তিনি লিখেছেন, “Little did I realise in my youth that I was in contact with so many young men like yourself who would have such satisfying and distinguished careers. It is a humbling thought for me. At church this morning I said a prayer for you and others who have kindly remembered me. In meeting such people my life has been blessed. The whole occasion was like a happy dream for me. My best wishes to you for a long and well-deserved retirement.” আমার সাদামাটা career টা মোটেই distinguished ছিল না। তা না হলে কি হবে, একজন কাইন্ড টীচার তাঁর ছাত্রের যৎসামান্য সাফল্যকেও এতটা বড় করে দেখতেই পছন্দ করেন! অথচ তাঁর নিজের career যে কতটা distinguished ছিল, সে সম্বন্ধে আপনারা জানতে পারবেন এখানেঃ

http://www.clytiar.org/investigadores/16.php

চলবে…



ঢাকা
০৮ অক্টোবর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।


প্রফেসর সালেহ তানভীরের বাসায় JRS।


JRS at Albert Memorial


বিশ্ব যখন অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত, এক বিমুগ্ধ ছাত্র, ক্যামেরা নিয়ে যে মোটেই সিদ্ধহস্ত নয়, তাঁর কৈশোরের শিক্ষকের ছবি তুলে চলেছেন। অবশ্য শিক্ষক বা ছাত্র, কারোই ছবি তোলাতুলির ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই। আমাদের সবার অনুরোধেই প্রফেসর তানভীর এ কাজটি করতে ও করাতে রাজী হয়েছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩০
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×