আগের পর্ব - Click This Link
ড. জো. এস. ফুট
ফুল ব্রাইট কর্মসূচির আওতায় কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জো.এস. ফুট এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে। প্রায় সাত ফুট লম্বা এ অধ্যাপককে আমি পেয়েছিলাম। এক বছর ছিলেন এখানে। পরে তিনি যোগ দেন সাউদার্ন এলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ( কার্বনডেল) ।
ড. স্কট হজন
সাউদার্ন এলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ( কার্বনডেল) অধ্যাপক ড.স্কট হজন এসেছিলেন এক মাসের জন্য। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ১০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য ফটোগ্রাফি কোর্সের আয়োজন করা হয়েছিলো। আমি এ দলের একজন হিসাবে এ শিক্ষকের কাছে ফটোগ্রাফি সম্পর্কে কিঞ্চিৎ জ্ঞান লাভের সুযোগ পেয়েছিলাম।
ফারুক আলমগীর
ফারুক আলমগীর স্যার ছিলেন বিটিভির উপ-মহাপরিচালক (বার্তা)। পড়াতেন ইলেক্ট্রনিক সাংবাদিকতা। কবি হিসাবে ফারুক আলমগীরের পরিচিতি ছিলো। বেশ কয়েকটি কবিতার বই বের করেছিলেন তিনি।
খণ্ডকালীন এ শিক্ষকদের পাশাপাশি নিয়মিত শিক্ষকদের অনেকেই নানা কারণে খ্যাতিমান ছিলেন। তাঁরা হলেন-
ড.সিতারা পারভীন
আমরা ফাইনাল ইয়ারে এসে পেলাম সিতারা আপাকে। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের মেয়ে। নিরহঙ্কার ও অতি সাধারণ পোষাক পরতেন। ব্যবহারে অমায়িক। পড়াতেন খুব যত্ন করে। যুক্তরাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
ড.আহাদুজ্জামান মো: আলী
সিতারা আপার মতোই নিরহঙ্কার আর সাধাসিধে পোষাক পরতেন তাঁর বর ড. আহাদুজ্জামান। অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের ছোট ভাই। জ্ঞানতাপস মানুষ। সবার প্রিয় শিক্ষক।
ড.আলী রিয়াজ
আলী রিয়াজ স্যার ছিলেন ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মান্না আক্তার প্যানেলে। ছাত্রাবস্থায়ই বের করেছিলেন সাপ্তাহিক খবরের কাগজ। সাথে ছিলেন তার সহপাঠী নাঈমুল ইসলাম খান। পরে নাঈমুল ইসলাম কর্নেল শাহেদ-এর মালিকানায় পত্রিকাটি আবার বের করেন। সেখান থেকে আজকের কাগজ ভোরের কাগজ আমাদের সময় হয়ে নাঈমুল ইসলাম এখন একটা অর্থনীতি বিষয়ক দৈনিকের সম্পাদক। আলী রিয়াজ আবৃত্তি সংগঠন স্বরশ্রুতির সাথেও যুক্ত ছিলেন। আমরা ফাইনাল ইয়ারে ওঠার পর শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। আজীবন বাম থেকে পুরা ডান ( আমেরিকান !)।
(চলবে)