আমাদের জন্য গ্রীকদের একটি মহামূল্যবান অবদান হল তাদের উপকথাগুলো।এদের কাহিনী না জানলে সংস্কৃতির এক মূল্যবান অংশ অজানা থেকে যাবে। প্রকৃতি আর জীবন সম্পর্কে তাদের মিশ্রধারনা গড়ে তুলেছে একের পর এক নতুন গল্প কাহিনী।বাংলা রূপকথায় সাধারন মানুষেরা থাকতেন , থাকত তাদের হাসি কান্না আর চাওয়া পাওয়ার নানা রূপক।সর্বোপরি বাংলা রূপকথা পুরোটাই মানুষকে নিয়ে।যেমন রাক্ষসকে পরাজিত করে এখানে রাজকুমার বা কোন একরাখাল বালক।কিন্তু গ্রীক বা রোমান উপকথা গুলা মূলত নানা রকম দেবতা দেবীদের নিয়ে ।এককালে এগুলোকে তারা সত্যি বলে মনে করলেও কালের গর্ভে তাদের সে ধারনা সম্পুর্ন লোপ পেয়েছে। আসুন জেনে নেয়া যাক গ্রীসদেশের কিছু পরিচিত এবং অপরিচিত রূপকথা।
**সৃষ্টির অন্তরালে** - দেবতাদের সম্পর্কে সেকালের গ্রীকদের ধারনা
ছিল বড় বিচিত্র। তারা মনে করত দেবতারা হল টাইটান বা দৈত্যদের সন্তান। কিন্তু তারা ছিল তাদের পিতামাতার চাইতে উন্নততর। গ্রীক উপকথা মতে পৃথিবীর দেবি গায়া (অথবা জীয়া) আকাশ ও স্বর্গের প্রতিনিধি ইউরেনাস বিয়ে করেন।তারা টাইটানস নামক এক দল দানব এর জন্ম দেন। সময় দেব ক্রোনাস তাদের একজন। গায়া ও ইউরেনাস ক্রোনাস কে ভবিষ্যত বাণী করেন যে তার পতন হবে তার এক সন্তানের হাতে। আর এই ভবিষ্যত বাণীকে ঠেকাতে ক্রোনাস তার স্ত্রী রিহার গর্ভজাত সকল সন্তানকে গিলে ফেলে। কিন্তু কনিষ্ঠ সন্তান জুপিটার জন্ম নিলে গায়া ক্রোনাসকে একটা পাথর কাপড়ে পেচিয়ে দেয়। ক্রোনাস তাই তার সদ্যোজাত সন্তান মনে করে পাথরটিকেই গিলে ফেলে। আর গায়ার কাছে বেড়ে উঠে জুপিটার ।
হয়ত এজন্যই সন্তানদের সম্পর্কে টাইটানদের ছিল সন্দেহ আর ভয় যেটা শেষে একটি যুদ্ধের সূচনা করে যা এক যুগ স্থায়ি হয়েছিল।একসময় জুপিটার হেইডেস, হেস্টিয়া,হেরা, ডেমেটার ও পসাইডিওন মিলে টাইটান দের মূলতঃ ক্রোনাস কে আক্রমন করে।শেষে দেবতারা ছিনিয়ে নেয় সকল ক্ষমতা।অলিম্পাসের চুড়ায় স্থাপিত হয় তাদের আনন্দঘেরা সর্গলোক।তাই গ্রীক রূপকথার এক গুরুত্বপুর্ণ অংশ হল অলিম্পিয়াস পর্বতের দেবতারা ।আর এদের মধ্যে প্রধান দেবতা হল জিউস। কিন্তু যতই দিন যায় একটু একটু করে দেবতারা অমনোযোগী হয়ে উঠলেন পৃথিবী সম্পর্কে। দেবতাদের এহেন নির্মম ব্যবহারে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে লাগল।
**অগ্নীবাহক প্রমিথিউসঃ** দেবতাদের উদাসিনতায় মানুষের এই দুর্গতি
দেখে একজনের কিন্তু মন বড় আকুল হল।তার নাম প্রমিথিঊস। প্রমিথিউস আসলে ছিলেন একজন টাইটান।প্রমিথিউস মানে 'ভবিষ্যতদৃষ্টি'। নামের মতই ভবিষ্যতের সবকিছু ছিল তার নখদর্পনে।মূলতঃ এই প্রমিথিউসের কারনেই ভবিষ্যতের সাহায্য নিয়ে দেবতারা টাইটানদের সাথে যুদ্ধে জয়ী হতে পেরেছিলেন। কিন্তু পরবর্তিতে দেবতাদের এহেন আচরনে তিনি যারপরনাই নিরাশ হলেন। অনেক চিন্তা করে বের করলেন মানুশের জন্য তিনি নিয়ে আসবেন আগুন।বলাই বাহুল্য যে, তখনও পর্যন্ত এই আগুন ছিল শুধুমাত্র দেবতাদের দখলে,তাদের শক্তির প্রধান উৎস। দেবতাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে গেলেই তার উপরে এশে পড়ত জিউসের ব্জ্রাঘাত।দেবতাদের সাথে অন্যদের এই বিষমানুপাত কমানর জন্যই তিনি ঠিক করলেন সূর্যদেব এপোলোর রথ থেকে একটি শিখা চুরি করে আনবেন মানুষের জন্য।
একদিন সত্যি সত্যি বের হলেন তিনি এই অভিযানে।আগুনের সেই রথ থেকে সবার অলক্ষ্যে ধরিয়ে নিলেন একটি মশাল আর নিয়ে এলেন পৃথিবীতে।আলোক বর্তিকাটি প্রমিথিউস যখল তুলে দিলেন মানুষের হাতে তখন তাদের জীবনে এলো নতুন সূর্যোদয়।মানুষ হয়ে উঠল নতুন বলে বলীয়ান।যন্ত্রপাতি,আসবাবপত্র নানা কিছু তৈরী করে হয়ে উঠল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী জীব,অগ্রসর হল সুখি ও সভ্য জীবনের পথে ।
কিন্তু এতকালের একচেটিয়া অধিকারে হাত পড়ায় দেবতারা প্রমিথিউসের উপরে দারুন ক্রুদ্ধ হলেন।তারা কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা করলেন প্রমিথিউসের জন্য।দেবরাজের আদেশে প্রমিথিউসকে নিয়ে যাওয়া হল সদূর ককেসাস পর্বতে,কঠিন শৃঙ্খলে বেধে রাখা হল পর্বতের গায়ে। বিরাটাকার এক ঈগল এসে প্রতিদিন তার রক্ত পান করে যেত।প্রতি রাত্রিতে সেই ক্ষত সেরে উঠত কিন্তু পরেরদিনই চলত সেই একই যন্ত্রনার পূনরাবৃত্তি।এমনি করে বয়ে চলল যুগের পর যুগ।
জুপিটারের এহেন শাস্তির অসহায় শিকার হলেও প্রমিথিউসের ছিল এক গোপন অস্ত্র।ভবিষ্যতের ইশারা নিয়ে প্রমিথিউস জানতে পারেন যে দেবরাজের পতন হবে তারই এক ছেলের হাতে।এদিকে জুপিটারও জানতেন তার জীবনকাঠি আছে প্রমিথিউসের হাতে।কারন কেবল প্রমিথিউসই বলে দিতে পারেন কি করে এড়াতে হবে শেষ বিপর্যয়।তাই শেষ পর্যন্ত জুপিটারকে নতি সীকার করতেই হল প্রমিথিউসের কাছে।গো্পন সংবাদ লাভের ভিত্তিতে চুক্তির শর্তানুসারে মহাবীর হারকিউলিস অনুমতি পেলেন প্রমিথিউসকে মুক্ত করে আনার।যুগ-যুগান্তের যন্ত্রনার শেষে মুক্ত হলেন প্রমিথিউস।খুশির হিল্লোল বয়ে গেল পৃথিবীতে। এমনিভাবে
মহাবীর হারকিউলিস লাভ করলেন মৃত্যুহীন খ্যাতি আর জয় হল মুক্তি-পূজারী মানব-বন্ধু প্রমিথিউসের।
প্যানডোরার বাক্সঃ দেবতাদের কাছে থেকে লুকিয়ে প্রমিথিউস আগুন
এনেছিলেন মানুষের জন্য।এজন্য জুপিটার কঠোর শাস্তিও দিয়েছিলেন প্রমিথিউসকে।কিন্তু আগুন মানুষের কাছে রয়েই গেল,আরো সুখী সমৃদ্ধশালী করতে লাগল তাদের জীবন।এ পরাজয় দেবতারা কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন না।মানুষকে জব্দ করার জন্য তাই দেবতারা আঁটলেন এক নতুন বুদ্ধি।একে একে প্রায় সকল দেবতাই এ চতুর কাজে অংশ নিলেন।তিল তিল করে সকল সৌন্দর্য মিশিয়ে তারা গড়ে তুললেন এক অনিন্দ্যসুন্দরী রমনী-নাম তার প্যানডোরা।রূপ লাবন্যতে পূর্ণ করে তারা তাকে পাঠিয়ে দিলেন মানুষের কাছে, তার জীবনের সঙ্গিনী হতে। সঙ্গে করে পাঠিয়ে দিলেন সুন্দর একটি কৌটা।অপরূপ কারুকার্যময় এই বাক্সটি দেখলেই মন কেড়ে নেয়।কিন্তু মানুষের প্রতি দেবতাদের কঠোর নির্দেশ যেন এক মুহূর্তের জন্যও না খোলা হয় এই বাক্স।
যাই হোক, দেবতাদের কথা মত প্যানডোরা পৃথিবীতে এসে ঘর বাঁধল মানুষের সাথে। নিয়ে আসা বাক্সটা সে তুলে রেখে দিল ঘরের এক কোনে।কিন্ত একদিন তার ভয়ানক ইচ্ছে হল বাক্সটি খুলে দেখতে কি আছে ভিতরে।
নিজের ইচ্ছে মত দেবতাদের নিষেধ না মেনে খোলার পরেই প্যানডোরা বুঝতে পারল কি নিদারুন ভুল সে করেছে।বাক্স খোলার সাথে সাথেই ধোঁয়ার মত কুন্ডলী পাকিয়ে বের হয়ে আসল রাজ্যের যত বিভীষিকাময় বস্তুঃ যুদ্ধবিগ্রহ, রোগ, শোক, দুঃখ, বেদনা, জরা, ব্যাধি, অহংকার, ঘৃনা আর হিংসা। এইসব দেখে ভয়ে আঁতকে উঠল প্যানডোরা।সাথে সাথে মুখ বন্ধ করে দিল সে বাক্সটির। কিন্তু যা হবার তা হয়েই গেছে এর মধ্যে, ছাড়া পেয়ে নানা অশুভ শক্তি আর দুর্দশায় মানুষের জীবন হল আচ্ছন্ন। মুহূর্তের অবসাদ কাটিয়ে প্যানডোরা যখন বাক্সটি বন্ধ করে দিল তখন তার তলায় পড়ে থাকল কেবল ‘আশা।‘
তাই মানুষের যতই দুরাবস্থা হোক,যতই অসহনীয় হক তার জীবন,তবুও তার জন্য অবশিষ্ট থাকে কোথাও না কোথাও, কোন না কোন ভাবে একটু খানি আশা। ঃ)
**কিউপিড আর সাইকিঃ** গ্রীক অনেক দেবতাকেই আমরা চিনি। কিন্তু
এমন কোন দেবতা কি আছে যাকে আমরা সেই ছোটবেলায় কার্টুনেও দেখেছি কিন্তু হয়ত সবাই তার নাম জানিনা? মনে পড়ে বিভিন্ন কার্টুনে হাতে তীর ধনুক আর ডানাওয়ালা কোন ছেলের কথা যে তীর ছুড়ে মারত কার্টুনের বিভিন্ন চরিত্রের মাঝে আর তাদের মাঝে চরম প্রেম হয়ে যেত।
সেই বালকই হল গ্রীক প্রেমের দেবতা কিউপিড।রোমানরা যাকে বলে ঈরোস।চঞ্চল এ দেবশিশুর পিঠে ডানা, হাতে তীর ধনুক আর চোখ দুটি অন্ধ।ভালবাসার কোন বয়স নেই, তাই কিউপিড চির কিশোর। ভালবাসার না আছে কোন বিচারবুদ্ধি, কিউপিড তাই অন্ধ।আর ভালবাসার কাছে দূর কখনো দূর নয়,তাই সে ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে যেখানে খুশি সেখানে।
ভিনাস, যিনি ছিলেন সৌন্দর্য আর ভালবাসার দেবী, হলেন কিউপিডের মা। ভিনাস নিজেকে খুব সুন্দরী মনে করতেন। তার চেয়ে সুন্দরী কোন দেবী বা নারী জন্ম নেক এটা তিনি সহজ ভাবে নিতে পারতেন না। এই সময়ে সাইকি নামে ছিল এক অনিন্দ সুন্দরী রাজকুমারি।তার রূপের কথা গল্পের মত ছড়িয়ে পড়ল দিকে দিকে।এমন কি দেবী ভিনাসের মন্দির শূন্য হয়ে লোকেরা ভীড় জমাতে লাগল সাইকির রাজপ্রাসাদে।তখন দেবী ভিনাসের টনক নড়ে।
রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে ভিনাস কিউপিডকে পাঠান সাইকির কাছে যেন তার সাথে পৃথিবীর কুতসিততম মানুষের বিয়ে হয়। মায়ের আদেশ পালনের জন্য।কিউপিড চলল তার তীর ধনুক নিয়ে।কিন্তু সাইকির সামনে আসতেই তার রূপ দেখে সে এমন হকচকিয়ে গেল যে আচমকা খোঁচা খেল তার নিজেরি তীরে।ব্যাস,সংগে সংগে সে নিজেই ভালবেসে ফেলল সাইকিকে।
এদিকে দেবীর অভিশাপে সমাজে সাইকির কোন ঠাঁই নেই,সবার সেরা রূপ নিয়েও তার আর বর জোটে না।শেষে অনেক প্রতীক্ষার পরে একদিন দৈব বাণী হলঃ সাইকিকে রেখে আসতে হবে এক পাহাড়ের উপরে,সেখানে তাকে গ্রহন করবে এক অজানা প্রাণী। চূড়ায় পৌছে সে যখন গভীর ঘুমে বিভোর,তখন অন্ধকারে তার কাছে এসে উপস্থিত হল এক রহস্যময় ব্যাক্তি।পরিচয় দিল সেই তার সামী।আসলে এ কিন্তু ছিল কিউপিড।প্রতি রাতে সে সাইকির কাছে যেত যখন ঘর অন্ধকার থাকত।ফলে সাইকি কখনও কিউপিডকে দেখতে পেতনা।শুধু যে দেখতেই পেত না তাই না কিউপিড তাকে কঠোর ভাবে নিষেধ করে দিয়েছে যেন সাইকি তাকে দেখার চেষ্টাও না করে।
কিন্তু এভাবে আর কতদিন। একদিন সে আগ্রহভরে কিউপিডের চেহারা দেখার জন্য আলো জ্বালে।কত সন্দেহ, কত রটনা, কত কি--সবইতো মিথ্যে।কি অপরূপ দেখতে তার সামী;দেহ কান্তিতে দেবতা বৈকি।আরেকটু কাছে থেকে দেখার জন্য প্রদীপটা একটু উচু করে ধরতেই ঘুমন্ত কিউপিডের মুখে একফোঁটা তেল পড়ল। চমকে জেগে উঠল কিউপিড আর নিমেষের বিস্ম্য় কাটিয়েই ডানা মেলে উড়ে পালাল জানালা দিয়ে।
তত্ক্ষনাত সাইকি বুঝতে পারল কি বিষম ভুল সে করেছে ।দিশেহারা হয়ে পাগলের মত নানা জাগায় খুঁজতে লাগল সাইকি।কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করে ব্যার্থ হয়ে অবশষে এসে পড়ল ভিনাসের মন্দিরে,ভালোবাসার দেবির কাছেই জানালো তার আবেদন।
এতদিন পরে সুযোগ বুঝে এবার মনের ঝাল ঝাড়লেন ভিনাস তার উপর। আর চালাতে লাগলেন একটার পরে একটা ফরমায়েস।অনেক কষ্ট করে সাইকি তার সেসব কাজ করে দেয় কিন্তু খুসি হওয়া ত দূরে থাক,আরও তেড়িয়া হয়ে তিনি বললেন পাতালপুরীর রানী প্রসারপিণা কে বলো তেলের সেকা লেগে অসুস্থ ছেলের সেবা করতে গিয়ে আমি যেটুকু রূপ হারিয়েছি
তার রূপ থেকে সে যেন একফোটা রূপ দিয়ে দেয়।
হতভাগিনি সাইকি, মনের দুঃখে পথ সংক্ষেপ করতে সে এক উঁচু পাহাড়ের উপরে দাঁড়াল,সেখান থেকে ঝাঁপ দিয়ে পড়তে।কিন্তু অলক্ষে থেকে কিউপিড তাকে বারন করে দিল আত্মহত্যার বিষম পাপের পথটি না বেছে নিতে।বলে দিল কিভাবে কোন গোপন সুড়ংগ পার হয়ে পৌঁছতে পারবে সে তার গন্তব্যে।আরও বলে দিল পাতালের রানীর দেয়া রূপের কণা যে কৌটায় করে রানী দিবেন, ভুলেও যেন সেটি না খুলে। কথা মত কাজ করে সাইকি সত্যিই একদিন পৌঁছল পাতালপুরীতে।তার সব কথা শুনে অভিভূত হয়ে রানি প্রসারপিনা তাকে দিয়ে দিলেন রূপের একটি ফোঁটা।
এমন দুরূহ কাজে সফল হয়ে অনেকদিন পরে সাইকির মনে আশা হল সত্যিই হয়ত ফিরে পাবে সে তার সামীকে।কিন্তু এতদিনের লাঞ্ছনা গঞ্জনা আর পথের ক্লান্তিতে তার রূপে যে কালিমা পড়েছে কিউপিডকি আর তাকে গ্রহন করবে আগের মত? বড় সাধ হল প্রসারপিনার রূপের কৌটা খুলে এক তিলমাত্র যদি পাওয়া যায়! মুহূর্তের দুর্বলতায় সাবধানবানী ভূলে যেই সাইকি সেই ঢাকনাটি খুলেছে অমনি এক কাল ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে তার অচেতন দেহ এলিয়ে পড়ল পথের ধারে!
কিন্তু এতদিনে কিউপিড তার ক্ষত থেকে সম্পুর্ন সেরে উঠেছে।মায়ের বারন না মেনে জানালা গলে সে চলে এল সাইকির কাছে।কাল ঘুম তার দেহ থেকে
মুছে নিয়ে আবার কৌটায় পুরে সে সরাসরি গেল দেবরাজ জুপিটার এর সভায়, জানাল তার করুন আবেদন।জুপিটার নিজেও ভিনাসের কাছে অনুরোধ জানালেন কিউপিডের হয়ে।এতদিনে ভিনাসের মন টলল।তার আদেশে সাইকিকে নিয়ে আসা হল দেবসভায়।এম্ব্রোসিয়া নামক অমৃত পান করে সে হল অমর, দেবদেবীদের মধ্যে একজন।
অলিম্পাস পর্বতের এই নতুন দেবী আর কিউপিডের ভালবাসার বন্ধন হল চিরন্তন, হল ভালবাসার জয়।ঃ)
ক্রমশঃ-----------------------
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




