somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেমন আছে কঙ্কাবতী - ৫

১৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইদানিং যে আমি বড় বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছি তা মনে হয় আমাকে একটু খেয়াল করলেই আমার বাস্তব পরাবাস্তব বা অন্তর্জালের প্রায় সকল মানুষই মোটামুটি বুঝতে পারবে। এইভাবে যে কোনোদিন আমি আমার সম্পূর্ণ চিন্তার বাইরের কোনো কিছুতে ঠিক এমন অতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাবো এবং তাই নিয়ে এত মেতে উঠবো বা মেতে থাকবো সত্যি বলতে স্বপ্নেও ভাবিনি আমি।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমার পূণর্জন্ম হয়েছে। মাঝে মাঝে ভাবি এ আমার কোনো অচেনা জগৎ বা কোনো ঘোরের মাঝেই চলেছি আমি। কিন্তু সবচাইতে যেটা মনে হয় এই জীবনটা না দেখা হলে আমি জানতামই না যে আনন্দধারা বহিছে ভূবনে। হ্যাঁ একটা কথা সত্যি মানুষ দুঃখকে আকড়ে ধরে রাখতে চায়। আমি সেটা কখনই করিনি। প্রায় সকল বাধা বিপত্তি দুঃখ বেদনাকেই উপেক্ষা করে বা পায়ে দলে চলে আসতে পেরেছি আমি। তবুও জীবনের প্রতিটা ধাঁপেই যেন ছিলো কিসের এক হাহাকার। আমার জীবনে এই হাহাকার বাবার জন্য হতে পারতো। মায়ের জন্যও। তবুও বাবার বিহনে যত না কষ্ট ছিলো মায়ের উপেক্ষা তার থেকেও শত সহস্র গুণ সুতীব্র ছিলো।

সে সব পেরিয়ে যখন জীবনের আরেক ধাপে পৌছুলাম তখন আকড়ে ধরেছিলাম যাকে তাকেও হারাতে হয়েছিলো। সেই অপ্রাপ্তি, ব্যাথা বা বেদনার হাহাকারের সাথে জন্মেছিলো এক অকারণ অভিমান। সেই অভিমান নিয়েই বুঝি কেটে গেলো এতটা বছর। অবশ্য আরবাজ প্রথম থেকেই আমার জীবনে এসেছিলো অসহ্য গুমোট হাওয়ার মাঝে এক ঝলক দমকা সুশীতল হাওয়ার মতন। তাই চমকেছিলাম আমি। খুব সহজেই নিঃশ্বাস টেনে নিয়েছিলাম ওর এক রাশ বিশুদ্ধ বাতাস। আরবাজ একজন খাঁটি মানুষ এর প্রমান বহু আগেই পাওয়া হয়েছে আমার।

মনে আছে একরাতের কথা। সে সময় ঘন্টার পর ঘন্টা আরবাজের সাথে ফোনে কথা বলে কেটে যেত আমার। কত রাত্রীর কত প্রহর যে কাটিয়েছি আমি আরবাজের মনোমুগ্ধকর কথার যাদুতে। কেউ হয়ত বিশ্বাসই করবেনা একটা সময় আমার কথাই বলতে ইচ্ছে হতনা কারো সাথে। আমি খুব কম কথা বলতাম সে সব দিনে। আরবাজ বলে যেত আমি হু হা করতাম। এক রাতে আরবাজ আমাকে বলেছিলো একটা গান শুনাতে। আমি গেয়েছিলাম আকাশে কার বুকের মাঝে ব্যথা বাঁজে, দিগন্তে কার কালো আঁখি, আঁখিজলে যায় ভাসি। এরপর কেঁদে ফেলেছিলাম আমি নিজেই। আরবাজ বলেছিলো আমি আমার মনটাকে ফেলে এসেছি কোনো এক মায়াবী অতীতে। সেই মায়াবী জালে আটকা পড়েই আছে আমার হৃদয় আর সেখান থেকে হয়ত ছাড়া পাওয়া হবে না তার। তবে সেই মনটাকেই আজ কুড়িয়ে এনেছি আমি। ছাড়িয়ে এনেছি হয়ত সেই মায়াবী জালের বন্ধন থেকেও।

সেদিন রাতে আমাকে আরবাজ বললো, মনে আছে রাজকন্যা? কত রাত জেগে আমরা কথা বলতাম। তুমি তোমাদের ছাঁদে আর আমি আমার বারান্দায়। চলো আজ রাতে সেসব দিনের মত ছাঁদে বসে সারারাত গল্প করে কাঁটাই আরেকবার। আমরা ছাঁদে গিয়ে বসলাম। সেসব দিনের মত আজকালকার রাতগুলো আর নিশুতী হয় না। রাত ৩ টাতেও ঠিকই শোনা যায় দু একটা গাড়ি বা মোটরবাইকের হর্ণ বা রাতের আকাশ চিরে প্লেনের গুড় গুড়ু শব্দ। তারই মাঝে রাত জাগা পাখিদের ডাকে বুঝতে পারা যায় এখন নিশুতী রাত আর রাত বড় রহস্যময়। মনটাকে কেমন যেন বদলে দেয়।

সে যাইহোক, তখন আমাদের বিয়ের দু,মাস পেরিয়েছে। বসন্ত আসি আসি করছিলো। গাঢ় রাত্রীর ছাঁদের সুশীতল হাওয়ায় প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছিলো। আরবাজ বললো, সেই রাতগুলোর মত আজও তোমার গান শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে আমার। প্লিজ একটা গান শোনাও। আনন্দের গান। আমার ওর সামনে বসে গান গাইতে খুব লজ্জা করছিলো। জানিনা এতগুলো দিন পরে এসেও আমার লজ্জা কই থেকে আসে এত। আমি গান গাইতেই পারছিলাম না। হাসি পাচ্ছিলো আমার। আমি বললাম, আমি পারবো না। আরবাজ বললো, পারবে। আমার জন্য একটু চেষ্টা করো। আমার জন্য একটা গান গাও প্লিজ! অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে আমি গাইলাম-

তুমি হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা ধন
তাই হঠাৎ পাওয়ায় চমকে ওঠে মন .....
গোপন পথে আপন-মনে
বাহির হও যে কোন্‌ লগনে,
হঠাৎ-গন্ধে মাতাও সমীরণ ॥

নিত্য যেথায় আনাগোনা
হয় না সেথায় চেনাশোনা,
উড়িয়ে ধুলো আসছে কতই জন।
কখন পথের বাহির থেকে
হঠাৎ-বাঁশি যায় যে ডেকে,
পথহারাকে করে সচেতন ॥

গান শেষে নিজের কান্ডে নিজেই লজ্জা পেয়ে গেলাম। আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছিলো। কেনো আমি তা জানিনা। হয়ত অনেকগুলো বছর কোনো অকথিত কথন চেপে রাখবার বেদনাতেই। কিন্তু কি সেই বেদন জানিনা আমি। হয়ত এ জীবনের সকল অপ্রাপ্তি বা না পাওয়ার বেদনগুলিই জড়ো হয়ে নেমেছিলো আমার চোখের পাতায় সেই নিশুতী রাত্তিরে। আরবাজ বললো তোমার কি আজও দোলনের জন্য কষ্ট হয় রাজকন্যা? আমি মাথা নাড়লাম। নাহ দোলনের জন্য কোনো কষ্ট ভালোবাসা বা অন্য কোনো আবেগই আর কাজ করে না আমার মনে। নিজের অজান্তেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম, মানুষ কি সময়ের সাথে সাথে ভালোবাসতেও ভুলে যায়? হয়ত তাই। হয়তোবা হ্যাঁ হয়তো বা না।

আরবাজকে একটা কথা বলিনি আমি। আমার বিয়ের ঠিক দুদিন পরেই হঠাৎ ফেসবুকে আমার ইনবক্সে দোলনের মেসেজ এসেছিলো। ওর নামটা দেখে প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি আমার। কিছুতেই নিজের চোখকে বিশ্বাসই হচ্ছিলো না আমার। ওর ছবিটার দিকে তাকিয়ে প্রথমে চিনতেও পারিনি ওকে। কপালের উপরের চুলগুলিতে রুপোলী আভাস। একটু মোটাও হয়েছে যেন। সেই মোটা ফ্রেমের চশমার বদলে চিকন গ্লাসে চোখ দুটি স্পষ্ট। ওর প্রফাইলে গিয়ে দেখলাম ওর হাসি হাসি মুখের সুখী পরিবারের ছবি। ওর বউ, দুই মেয়ে। মেয়ে দুইটা কি যে সুন্দর! দীর্ঘশ্বাস পড়লো আমার। দোলনের সাথে আমার সংসার হলে ওমন দুটি মেয়ে আমারও থাকতে পারত। খুব ভালো লাগছিলো আমার এতগুলো দিন পরেও দোলন যে খুব ভালো আছে সুখে আছে এ কথাটি জেনে। সেই দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে। আর তখনই বুঝলাম দোলনের জন্য সেই মন কেমন করা দিন বা বয়স ফেলে এসেছি আমি হয়তোবা বহু দিন আগেই। হারিয়ে ফেলেছি সেই মায়াময় আবেগী আবেগ।


আমি দোলনের প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলাম। জানিয়েছিলাম আমি খুব ভালো আছি। আরবাজকে বিয়ে করার কথা জানাতেই দোলন বলেছিলো দোলন খবর পেয়েছে আমি যে বিয়ে করেছি। দোলন যে আমার সকল খবরই রাখে সেদিনই জেনেছিলাম।কিন্তু কিভাবে বা কার থেকে জানতে চাইনি আমি। দোলন বললো,
- খুব ভালো লাগছে তুমি ভালো আছো জেনে। তুমি যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছো এবং তুমি ভালো আছো এটা দেখার পরে আমার মৃত্যু হলেও আর দুঃখ নেই কোনো। আমার নিজেকে খুব অপরাধী মনে হত। মনে হত তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করে আছো। নিজেকে কখনই ক্ষমা করতে পারিনি আমি। একটা কথা কি জানো? সেদিনের পর থেকে অনেক অনেকগুলো বছর আমি শুধুই তোমাকে স্বপ্নে দেখেছি। তুমি হয়ত কখনই বিশ্বাস করবে না এমন একটা দিন নেই তোমার স্বপ্ন দেখে আমার ঘুম ভাঙ্গেনি। আমি চুপ করেই ছিলাম। তবে আমি বিশ্বাস করেছিলাম। আমি আজও দোলনকে বিশ্বাস করি। ভালোবাসা হারিয়ে গেছে তবুও বিশ্বাস আজও হারিয়ে যায়নি। অবাক হয়ে নিজের দিকে চাইলাম আমি।


অনেকগুলো বছর আমার যা মনে পড়েনি তাই মনে পড়ে যাচ্ছিলো। আমার মনে পড়ে যাচ্ছিলো সেই গড়ের মাঠ, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সেই সব মেমোরেবল স্মৃতিগুলি। যা আমি প্রায় ভুলতেই বসেছিলাম। দোলন বললো, জানো আমার বড় মেয়েটা তোমার মত গান গায়, ছবি আঁকে তোমার মত কালো আর সবুজ জামা ওর খুব পছন্দের। ওর এখন ১৬। ও যখন হাসে আমার তখন তোমাকে মনে পড়ে। আমি চুপচাপ ওর কথা শুনে যাই। দোলন বলে জানি আমাকে তোমার মনে পড়ে না। আসলে মনে পড়বার কারণও নেই। আমি প্রতিবাদ করি না। চুপ করে শুনে যাই। দোলন বলে, আজ রাখি, আবার কথা হবে।
আমি বলি - না। আর কথা হবে না। দোলন অবাক হয় কিনা জানিনা তবে বলে আচ্ছা তাই হবে। তুমি ভালো থেকো। আমি নিরুত্তর থাকি। দোলনের ভালো থাকা না থাকায়ও মনে হয় আমার আর কিছুই এসে যায় না। তবুও আমি এক নিমিশেই ফিরে যাই আমার ষোড়শী বেলায়। সেই দিনগুলোর গন্ধ আমাকে জড়িয়ে নেয়। সেই মায়াময় স্মৃতিগুলিতে অনেকগুলো বছর পরেও আমি আবেশে জড়াই।


আরবাজকে আমি কখনও জিগাসা করিনা সে আর্শীয়াকে মিস করছে কিনা কিংবা ছেলেদেরকেও না। ওদের বাড়ির পুরোনো কাজের মানুষগুলও কখনই আর্শীয়ার কথা তোলে না। শুধু মাঝে মাঝে ময়নার মা সিড়ি ঝাড়ু দেওয়া বুয়াটাই একমাত্র কাজ সেরে বাড়ি যাবার পথে আমাকে দেখতে এসে আর্শীয়ার গল্প ফেঁদে বসে। অনেক দুঃখ করে বলে, আহারে কি মাডির মানুষ ছিলো গো। আর দিলডা বরা খালি ছিলো ময়া আর ময়া। আমার ছেলের অসুকের কথা হুইনা লগে লগে ৫০ হাজার টেকা বাইর কইরে দিলো। কোনোদিন আবার বলে বড়লোকগো দিলে দয়া নাইগো মইয়া। গরীবের বন্দু আল্লাহ। সে বড়ই সুবিধাবাদী বুঝা যায় তবে আমার বরাবর এমন সুবিধাবাদী মানুষদের গল্প শুনতে ভারী কৌতুক লাগে। আমি মন দিয়ে শুনি। আর মনে মনে হাসি।


ছেলেবেলা থেকেই পুতুলের উপর আমার দারুন এক ভালোলাগা ছিলো। কিন্তু আমার ছেলেবেলায় আমাকে তেমন কোনো পুতুল কিনে দেওয়াই হয়নি। তিতলীর জন্মদিনে সেই চোখ নড়া পুতুলের ভালোলাগাটাই বুঝি অন্তরে গেঁথে গিয়েছিলো। যার সাথে মিশে ছিলো অভিমান ও অপমান। এই কথাটা আরবাজকে কবে কখন বলেছিলাম মনে নেই। তবে আরবাজ ঠিকই মনে রেখেছে আমার পুতুল প্রীতির কথা। আমার ছেলেবেলায় কোনো জন্মদিনে কেউ আমাকে কখনও পুতুল দেয়নি বটে তবে এবারের জন্মদিনে আরবাজ আমাকে যে উপহার দিলো তা শুনলে অনেকেই হয়ত হাসবে আর পুতুলআপা খেপে কাই হয়ে যাবে। জন্মদিনে বউকে কেউ হীরা মোতি মালা উপহার না দিয়ে এই দেয় বুঝি ভেবেই বকা ঝকা শুরু করবে জানি। কিন্তু আমি খুবই মজা পেয়েছিলাম।

এবারের জন্মদিনটা খুবই অন্যরকম আর মজার ছিলো। ঠিক রাত ১২টায় ছেলে দুইটা উইশ করেছিলো আমাকে। খুবই সিনেমাটিক স্টাইলে বিশাল বড় কেটে কেটেছিলো ওরা ঐ রাত দুপুরেই। আমার কি যে লজ্জা লাগছিলো। কখনও কেউ আমার জন্মদিন ওভাবে পালন করেনি তো। তবে কেক কাটাকাটি আর খাওয়া খায়ির পরে আরবাজ আমাকে বলেছিলো তোমার জন্য একটা স্পেশাল উপহার আছে। সেই স্পেশাল উপহার সে লুকিয়ে রেখেছিলো ড্রেসিং রুমের অন্ধকার কোনে। সবাই যে যার রুমে চলে যাবার পর আরবাজ আমাকে টেনে নিয়ে গেলো সেইখানে। তারপর টুপ করে একটা স্যুইচ অন করে দিতেই মিষ্টি সুরের এক পিয়ানোর বাজনার সাথে সাথে আলো জ্বলে উঠলো যেথায় সে যেন এক স্বপ্নের জগত। অদ্ভুত সুন্দর একটি বিশালাকার ডলহাউজ।

সেই ডলহাউজটাতে ডিজনী প্রিন্সেসদের বসবাস। সেখানে রাজকুমারীদের সোনার পালঙ্ক থেকে শুরু করে শুকসারী বসা উদ্যান পর্যন্ত রয়েছে। আমি ভুলেই গেলাম আমি যে বুড়ি হতে চলেছি। আমি সেই ছোট্টবেলার মতই স্বপ্নের জগতেই চলে গেলাম। আরবাজ আমার চোখের সামনে হাত নেড়ে বললো,
- ম্যাডাম এখন ঘুমাতে চলেন। কাল সারাদিন ভর পুতুল খেলা খেলেন। এই খেলনাটা একমাত্র আপনারই। সত্যিকারের জীবন্ত পুতুল আসলেও তাকে দেওয়া হবে না। আরবাজ হে হে করে হাসতে লাগলো। আর ওর কথায় সম্বিৎ ফিরলো আমার। লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম আমি। রাগও লাগলো এটা ভেবে যে কি গাধার মত হা করে তাকিয়ে ছিলাম ঐ ডল হাউজটার দিকে।

যাইহোক ছেলেবেলার না পাওয়া ডলহাউজ এই বুড়ি বেলায় পেলেও তাই নিয়ে খেলা ধুলা করে কি আর চলবে? আমি তারপর মন দিলাম আমার এই সত্যিকারের বিশাল বাড়িটাকেই আমার নিজের হাতে মনের মত করে সাজিয়ে ডলহাউজ বানিয়ে তুলতে। একেবারেই উঠে পড়ে লাগলাম। সারাদিন আমার ধ্যান গিয়ানই হয়ে উঠলো কোন পর্দা দিয়ে কোন জানালা সাজাবো? কোন রঙ্গটা সোফাতে কোন ঘরে মানাবে এই নিয়ে। একটা জিনিস বুঝলাম তারপরই এই কারণেই মেয়েরা ডলহাউজ নিয়ে ছেলেবেলায় খেলে । যেন মাথার ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া এই স্বপ্নের জগত দিয়ে সে একদিন গড়ে তুলতে পারে তার মায়াময় ভূবন।

আমি আমার ছেলেবেলায় কি পেয়েছি আর কি পাইনি তার হিসাব কষিনা আর। আমার সকল অপ্রাপ্তি সকল অপূর্ণতাই ভরিয়ে দিয়েছে আরবাজ। অনেক বিলম্বে হলেও শেষ পর্যন্ত আমার জীবনে এসে পরিপূর্ণ করেছে আমাকে। বিধাতরা কাছে চাইবার আর কিছুই নেই আমার। অনেক ভালো আছি আমি। ঠিক যেমনটা চেয়েছিলাম। তেমনটাই বা আরও বেশি ভালো হাসি আনন্দ আর গানে।




কেমন আছে কঙ্কাবতী...১
কেমন আছে কঙ্কাবতী - ২
কেমন আছে কঙ্কাবতী - ৩
কেমন আছে কঙ্কাবতী-৪
কেমন আছে কঙ্কাবতী - ৫
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০২
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×