ইসলাম-এর বয়স এবং খাত্না প্রসঙ্গে
-------------------------------------------------------
যারা আরব্য ক্বূরআন পড়েছে, তারা জানে যে, নবি ইব্রাহিম যার অনুসারী ছিলেন (সূরা সাফ্ফাত # ৩৭/ ৮৩) সেই Noah বা নুহ্ নবির ধর্মটিও ছিল ‘শান্তিতে সমর্পণ’, আরবি ভাষার নামকরণে শব্দটি ‘ইসলাম’। (দ্রষ্টব্য: সূরা হাজ্জ্ব # ২২/ ৭৭, ৭৮; সূরা ইউনুস # ১০/ ৭১, ৭২; সূরা ইউনুস # ১০/৮৪; সূরা শুরা # ৪২/১৩; সূরা জারিয়াত # ৫১/ ৩১-৩৭)।
নবি নুহ্-এর অনুসারী রূপে পাচ্ছি আমরা নবি ইব্রাহিমকে এবং নবি লুতকে। লুত নবি ছিলেন ইব্রাহিম-এর সামসময়িক। সকলের-ই ধর্মের নাম আরবিতে ‘ইসলাম’। নবি ইব্রাহিম এবং নবি লুত- দুজনের মধ্যে একজন নবি ইব্রাহিম, তিনি নিজের এবং নিজের অনুসারী পুরুষদের জন্যে পরিচিতি-চিহ্ন হিসেবে খাত্নার প্রবর্তন এবং প্রচলন করেছেন।
নবি লুত, নবি নুহ্ বা অন্যান্য নবিগণ খাত্না করেননি। যাদের পরিচিতি-চিহ্নে খাত্নার অনুসরণ নেই ঐ নবিগণ বা ওনাদের অনুসারীগণ ‘মুসলিম নন’ বা ওনারা ‘অমুসলিম’- এমন শয়তানি দাবি কেবল তারাই করতে পারে যারা ‘ইসলাম’ বলতে ‘খাত্না’-কে বোঝে অর্থাৎ পুরুষাঙ্গের চামড়ার আগা থেকে কিছুটা কেটে ফেলাকে বোঝে।
এখানে যারা ক্বূরআন পড়েনি, তাদের ধারণায়, ‘ইসলাম’ কোনো একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের কাছে এসেছে আরব্য ক্বূরআন আসার পরে। এদের ধারণাতে অন্যান্য ধর্মপ্রচারকগণের অনুসারীরা শান্তিতে সমর্পিত নয় বা তারা ‘অমুসলিম’।
নুহ্-এর বয়স এখন কত?- যারা জানে, তারাই ইসলামের বয়সটাও জানে।
এখানে যারা নিজেদের ভাষায় ক্বূরআন প’ড়ে দেখেনি, তারাই নিজেদেরকে ধর্ম বা ‘ইসলাম’-এর স্বঘোষিত সুরক্ষাকারী সাজিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়ে যাচ্ছিল, আর তাদেরই দাপাদাপি-উন্মাদনা-উগ্রতার পাণ্ডিত্য সহ্য ক’রে যেতে হচ্ছিল শান্তিধর্মী ধার্মিকগণকে।
তবে, উন্মাদগুলোর সংখ্যা অনেক কমেছে। আশা করা যায়, আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে তাদেরকে আর খুঁজেও পাওয়া যাবে না। তলানিতে তাদেরই কিছুকে এখনো ফেইসবুকেও দেখা যাচ্ছে এবং আমরাও দেখছি।
------------------------------------------------------------------
দর্শক : আখতার২৩৯
ইসলাম-এর বয়স এবং খাত্না প্রসঙ্গে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


